আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (51 points)
না জানার কারণে / অজ্ঞতার কারণে কেউ যদি বলে আল্লাহ সব জায়গায় আছে তাহলে কি টার ঈমানে সমস্যা হবে?
আমি অনলাইনে একটি পোস্ট পড়ি তাতে লেখা আছে -
আল্লাহকে সর্বত্র বিরাজমান মনে করা
এ আকীদা পোষণ করা যে, সবকিছুর মধ্যেই আল্লাহ রয়েছে এবং আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান, সব জায়গায় তিনি আছেন- এ আকীদাকে অহদাতুল উজুদ বলা হয়। এটা শির্কী আকীদা ।
এতে ঈমান ভঙ্গ হয়ে যায়। আল্লাহ কোথায় এ বিষয়ে কুরআনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে । আল্লাহ তাআলা নিজেই তার সম্পর্কে বলেছেন,

“আল্লাহ তাআলা আছেন আরশের উপরে।” (সূরা ২০; ত্বা-হা ৫
এখন আমি চিন্তিত হয়ে পড়ি কারণ অতীতে আমি মনে হয় একবার এই কথা বলেছি কি না মনে হচ্ছে। আমি বিবাহিত ।এই কথা বললে যে ঈমান নষ্ট হয় তা আমার জানা ছিল না।  এতে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


প্রথমেই আমরা কিছু আয়াত দেখে নেইঃ

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

قوله تعالى {وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ}

আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। {সূরা বাকারা-১৮৬}

قوله تعالى {وَنَحنُ أَقرَبُ إِلَيهِ مِن حَبلِ الوَرِيدِ} [ق 16]

আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। {সূরা কাফ-১৬}

فَلَوْلا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ (83) وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ (84) وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لا تُبْصِرُونَ (85)

অতঃপর এমন কেন হয়না যে, যখন প্রাণ উষ্ঠাগত হয়। এবং তোমরা তাকিয়ে থাক। এবং তোমাদের চেয়ে আমিই তার বেশি কাছে থাকি। কিন্তু তোমরা দেখতে পাওনা {সূরা ওয়াকিয়া-৮৩,৮৪,৮৫}

{ وَللَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّواْ فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ } [البقرة-115]

পূর্ব এবং পশ্চিম আল্লাহ তায়ালারই। সুতরাং যেদিকেই মুখ ফিরাও,সেদিকেই রয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বব্যাপী সর্বজ্ঞাত {সূরা বাকারা-১১৫}

قوله تعالى { وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَمَا كُنتُمْ } [ الحديد – 4 ] 

তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন {সূরা হাদীদ-৪}

وقال تعالى عن نبيه : ( إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا (التوبة من الآية40

যখন তিনি তার সাথীকে বললেন-ভয় পেয়োনা, নিশ্চয় আমাদের সাথে আল্লাহ আছেন {সূরা হাদীদ-৪০}

قوله تعالى مَا يَكُونُ مِن نَّجْوَى ثَلاثَةٍ إِلاَّ هُوَ رَابِعُهُمْ وَلا خَمْسَةٍ إِلاَّ هُوَ سَادِسُهُمْ وَلا أَدْنَى مِن ذَلِكَ وَلا أَكْثَرَ إِلاَّ هُوَ مَعَهُمْ أَيْنَ مَا كَانُوا ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا عَمِلُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ( المجادلة – 7

কখনো তিন জনের মাঝে এমন কোন কথা হয়না যাতে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন, এবং কখনও পাঁচ জনের মধ্যে এমন কোনও গোপন কথা হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন। এমনিভাবে তারা এর চেয়ে কম হোক বা বেশি, তারা যেখানেই থাকুক, আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে অবহিত করবেন তারা যা কিছু করত। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু জানেন {সূরা মুজাদালা-৭}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীন ভাই/বোন,
অত্র আয়াতগুলির ব্যখ্যা হল; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমাদের সাথে আছেন দেখার দ্বারা, শ্রবনের দ্বারা।

এ সমস্ত আয়াতের শাব্দিক অর্থ হিসেবে বলতে হবে যে, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। যেদিকে তাকাই আমাদের রব আছেন। কোন ব্যাখ্যা করা যাবে না।

আল্লাহ তায়ালা স্থান কাল ও পাত্র থেকে পবিত্র। তার ইলম ও ক্ষমতা সর্বত্র রয়েছে। তার জাত ও সত্তা বিষয়ে আমরা কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবো। এটাই প্রকৃত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অবস্থান।

আরো জানুনঃ- 

আমরা বিশ্বাস রাখবো যে আল্লাহ বেষ্টনকারী, তথা আল্লাহ ইলম ও কুদরত হিসেবে সর্বত্র তিনি আমাদের মাঝে বিরাজমান আছেন। তাহলে এমন আকিদা বিশ্বাস রাখা যাবে।
,
আরো জানুনঃ 
https://ifatwa.info/17901/

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির ঈমান চলে যাবেনা। 
,
তবে আকীদা রাখতে হবে যে আল্লাহ তায়ালা স্থান কাল ও পাত্র থেকে পবিত্র। তার ইলম ও ক্ষমতা সর্বত্র রয়েছে। তার জাত ও সত্তা বিষয়ে আমরা কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবো। এটাই প্রকৃত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অবস্থান।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...