আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
১. আসসালামু আলাইকুম শায়েখ একটা মেয়ে প্রেম করতো। মেয়েটার প্রেমিক তাকে বিয়ে করতে চায়নি আর মেয়েটাও চাইতো না সম্পর্ক রাখতে কারণ মেয়ে হাদিস জানতে পারে প্রেম করা গুনাহ। কিন্তু ছেলেটা বিরক্ত করতো। বিয়ে করতে চাইতো না কিন্তু মাঝে মধ্যে ফোন দিতো। মেয়েটা ফোন দিতে মানা করতো কিন্তু তাও ফোন দিতো। তারপর মেয়েটা ফোন দিলে গালি গালাজ করতো৷ তো মেয়েটার মা মেয়েটার এক ফুফুকে বিষয়ে টা বললে মেয়েটার মাকে নিয়ে যায়। মেয়ের মায়ের উদ্দেশ্য ছিল যাতে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। ছেলেটা বিরক্ত না করে। হুজুরের কাছে সে মেয়েটাকে একটা তাবিজ দেয় আর একটা তাবিজ কবর স্থানে পুততে বলে। মেয়েটা হুজুর কে জিজ্ঞেস করছিল এটা কি কুফুরি কালাম সে বলছিল না। তাদের কুফুরি কালাম সম্পর্কে ধারণা ছিল না। মেয়েটাকে যে কদিন তাবিজ পরতে বলছিল মেয়েটা পরে নাই। পরে মেয়েটা বিভিন্ন বই পড়ে জানতে পারে এগুলো সব কুফুরি। মেয়েটা এবং  মেয়েটার মা এভাবে ছেলেটার কাছে ক্ষমা চাইছে যে ক্ষমা করে দাও। ছেলেটা বলছে ক্ষমা করে দিলাম। তওবা করছে মেয়ে এবং মেয়ের মা।  প্রশ্ন হলো তওবা এবং ক্ষমা চাওয়া কি যথেষ্ট হয়েছে?
২. ছেলেটা জানে এগুলো বিষয়ে কিন্তু সে বলছে ক্ষমা করে দিছে এতে কি ক্ষমা পাওয়া যাবে?  ছেলেটার সাথে মেয়েটার বিয়ে হয় নাই।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ " اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ " .

আবূ তাহির (রহঃ) ..... আওফ ইবনু মালিক আশজা'ঈ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাহিলী (মূর্খতার) যুগে (বিভিন্ন) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। এজন্যে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আবেদন করলাম- হে আল্লাহর রসূল! এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার নিকট উপস্থাপন করো, ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই- যদি তাতে কোন শিরক (জাতীয় কথা) না থাকে। (মুসলিম ৫৬২৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৪৪, ইসলামিক সেন্টার ৫৫৬৯)

আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহঃ উল্লেখ করেন-

إنما تكره العوذة إذا كانت بغير لسان العرب ، ولا يدرى ما هو ولعله يدخله سحر أو كفر أو غير ذلك ، وأما ما كان من القرآن أو شيء من الدعوات فلا بأس به

নিশ্চয় নিষিদ্ধ তাবীজ হল যা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় লিখা হয়, বুঝা যায় না তাতে কি আছে? অথবা যাতে জাদু, কুফরী ইত্যাদি কথা থাকে। আর যেসব তাবীজে কুরআন বা দুআ সম্বলিত হয় তা ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই। {ফাতওয়ায়ে শামী- এইচ এম সায়ীদ ৬/৩৬৩}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
তওবা এবং ক্ষমা চাওয়া যথেষ্ট হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ছেলেটির শারীরিক কোনো ক্ষতি হওয়ার মতো তাবিজটি না হলে এক্ষেত্রে ছেলেটির কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। 

(০২)
এতে ক্ষমা হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...