সুরা নিসার ০১ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اتَّقُوۡا رَبَّکُمُ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ نَّفۡسٍ وَّاحِدَۃٍ وَّ خَلَقَ مِنۡہَا زَوۡجَہَا وَ بَثَّ مِنۡہُمَا رِجَالًا کَثِیۡرًا وَّ نِسَآءً ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ الَّذِیۡ تَسَآءَلُوۡنَ بِہٖ وَ الۡاَرۡحَامَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلَیۡکُمۡ رَقِیۡبًا ﴿۱﴾
হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নফ্স থেকে। আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চেয়ে থাক। আর ভয় কর রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক।
সুরা যুমারের ০৬ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَأَنزَلَ لَكُم مِّنْ الْأَنْعَامِ ثَمَانِيَةَ أَزْوَاجٍ يَخْلُقُكُمْ فِي بُطُونِ أُمَّهَاتِكُمْ خَلْقًا مِن بَعْدِ خَلْقٍ فِي ظُلُمَاتٍ ثَلَاثٍ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ الْمُلْكُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَأَنَّى تُصْرَفُونَ
তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাদের জন্যে আট প্রকার চতুষ্পদ জন্তু অবতীর্ণ করেছেন। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে পর্যায়ক্রমে একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে। তিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ? [ সুরা যুমার ৩৯:৬ ]
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا فَإِنَّهُنَّ خُلِقْنَ مِنْ ضِلَعٍ وَإِنَّ أَعْوَجَ شَيْءٍ فِي الضِّلَعِ أَعْلَاهُ فَإِنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهُ كَسْرَتَهُ وَإِنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَزَلْ أَعْوَجَ فَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা নারীদেরকে সদুপদেশ দিবে। কারণ তাদেরকে পাঁজরের বাঁকা হাড় হতে সৃষ্টি করা হয়েছে, পাঁজরের হাড়ের মধ্যে সবচেয়ে বাঁকা (হাড়) হলো উপরেরটি। অতঃপর তুমি যদি ঐ হাড়কে সোজা করতে চেষ্টা কর, তবে তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি রেখে দাও, তবে সর্বদা বাঁকাই থাকবে। সুতরাং (আমার নাসীহাত) তোমরা নারীদেরকে সদুপদেশ দিবে।
(বুখারী ৫১৮৬, মুসলিম ১৪৬৮, ইরওয়া ১৯৯৭, সহীহ আত্ তারগীব ১৯২৭।)
,
عَنْ قَتَادَةَ قال " جَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا قَالَ : خُلِقَتْ حَوَّاءُ مِنْ ضِلْعٍ مِنْ أَضْلاعِهِ لِيَسْكُنْ إِلَيْهَا .
"تفسير ابن أبي حاتم" (5/ 1631)
সারমর্মঃ হাওয়া কে পাজড়ের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
وعن مجاهد في قوله : ( وخلق منها زوجها ) قال: حواء، من قُصَيري آدم وهو نائم .
"تفسير الطبري" (7 /515)
সারমর্মঃ হাওয়া আঃ কে আদম আঃ এর পাজড়ের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
যেই সময়ে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন।
ثم روى معناه عن ابن عباس والسدي وابن إسحاق .
وقال البغوي رحمه الله :
" خلق الله حواء من ضلع آدم "
"تفسير البغوي" (7 /186)
: "تفسير ابن أبي حاتم" (12/ 410) ، "التحرير والتنوير" (4 /216) ، "فتح القدير" (2 /399) .
সারমর্মঃ আল্লাহ তায়ালা হাওয়া কে আদম আঃ এর পাজড়ের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন।
শুধুমাত্র এতটুকু প্রমাণিত যে আল্লাহ তায়ালা হাওয়া কে আদম আঃ এর পাজড়ের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন।
মেয়ের স্বামী যদি জাহান্নামী হয় আর মেয়েটা যদি জান্নাতি হয় তাহলে সে অন্য জান্নাতি পুরুষ এর স্ত্রী হবে।
স্ত্রী জাহান্নামে গেলে স্বামী জান্নাতে গেলে তখন সে অন্য জান্নাতী নারীকে পাবে,যার স্বামী জাহান্নামে গিয়েছে।
রাসুলুল্লাহ সাঃ কুমারী মেয়েকে বিবাহ করতে উদ্ভুদ্ধ করেছেন,তবে কোনো বিধবা/তালাকপ্রাপ্তা নারীকে বিবাহ করতে নিষেধ করেননি।