আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
"Assalamualaikum rahmatullahi wa Barkathu "

প্রিয় শায়েখ আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন সুস্থ আছেন। শায়েখ আমি একটা বিষয় জানতে চাইছি , আশা করছি আমার বিষয় টা বুঝতে পারবেন ।
পশ্চিম বাংলা তে অনেক গুলো জেলা রয়েছে সেখান কার বিভিন্ন রকমের আঞ্চলিক ভাষা বিভিন্ন শব্দ ব্যাবহৃত হয়। ,
আপনাদের একটি ফাতাওয়া তে কেনিয়া শব্দ আছে "তুমি দন্ডায়মান হও (দাড়িয়ে যাও)"

১. স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে, স্বামী কোনো ভাবে ঝামেলা টা কে বন্ধ করতে চাইছে , বা স্ত্রী কে কোনো কথা বলছে কিন্তু স্ত্রী কোনো কথাই শুনছে না, তখন স্বামী বিনিয় এর সঙ্গে যদি বলে, " তুমি আমার কথা শোন plz, একটু থাম, চুপ করো, plz একটু দাড়াও, আর ঝামেলা করো না। এই কথা গুলো বলার উদ্দেশ্য হলো, স্ত্রী যেনো একটু চুপ করে স্বামীর কথা শুনে , সে যেনো ঝামেলা না করে। এর জন্য কি তালাক হবে??
২. স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটা কাটি হচ্ছে, স্ত্রী বক বক করেই যাচ্ছে, স্ত্রী কোনো কথা শুনছে না, স্বামী চাইছে স্ত্রী যেনো তার বক্তব্য টা শুনে, কিন্তু স্ত্রী বক কক করছে স্বামী হয়ত বললো দাড়াও , একটু দাড়াও, একটু থামো আমার কথা গুলো শুনে তার পর তুমি কিছু বলো। এক্ষেত্রে তো স্বামী চাইছে ঝামেলা যেনো না হয়। এর জন্য কি তালাক হবে??
৩. এমনি কোনো ঝামেলা র সময় সেইভাবে রেগে দাড়াও কথা বলা হয়েছে কিনা মনে পড়েনা। বললেও মনে নেই। এ ক্ষেত্রে কি তালাক হবে??

আরো একটি কথা বলে রাখি আমাদের এইখানে চলতি ভাষা " দাড়াও ", এটা একটা অতি সাধারণ চলতি ভাষা। যেকোনো দরকার হলে দাড়াও কথা টা ব্যাবহৃত হয়।

৪. আমাদের এই খানে স্বামী তে রাগ করে স্ত্রী কে বলে "ভাত দিবো না" আমি একটা আমাদের মুফতী কে জিজ্ঞেস করেছি সে বললো কেনিয়া বাক্য , তালাকের নিয়ত হলে তালাক হবে। আমি তাকে বললাম কেনিয়া বাক্য হলেও তো এটা ভবিষ্যত্ সূচক বাক্য " ভাত দিবো না" । সে ও বললো ভবিষ্যত্ সূচক বাক্য।

শায়েখ এটা কি কেনিয়া বাক্য?? আর এটা তো অবশ্যই ভবিষ্যত্ সূচক বাক্য তাই তো শায়েখ।?

৫. আমাদের পশ্চিমবঙ্গে অনেক মুফতি বলে, ডিভোর্স একটি কেনিয়া শব্দ। আমি তাকে কিছু হাদিস তুলে ধরেছি। সে বলছে কেনিয়া বাক্য? এটা শরীও বাক্য না।
এটা কি কেনিয়া বাক্য??

৬. ওয়াসওয়াসা ব্যাক্তির তালাক হয়না। যদি সে ইচ্ছা কৃত ভাবেও তালাক দিতে চাই তাও তালাক হয়না।
কিন্তু এই খানের মুফতি বলে, সে যে কেউ হৌক মুখে বললেই হবে। তাই বলছে। এক্ষেত্রে কোনটা মানব??

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...