ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে পরিবর্তন আসে।(তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব।(তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮)
তিনদিনের দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম ৭৭কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন।তাই বর্তমানে কেউ ৭৭কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/4429
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার মূল বাড়ি থেকে যেখানে চাকরী করেন, তার দূরত্ব ১৩৪ কিলোমিটার। পড়াশোনা ও এখন চাকরী সব মিলিয়ে ৬ বছর আগে এখানে এসেছিলেন।এবং এখানেই আছেন। অন্যদিকে আপনার বাবা একটা বাসা ভাড়া নিয়েছেন, আপনাদের মূল বাড়ি থেকে ৪০ কিলো দূরত্বে।
(১)এখন আপনি আপনার চাকুরীর জায়গা থেকে বাবার বাড়াকৃত বাসায় পনের দিনের কম সময়ের নিয়তে গেলে কসর করতে হবে।
(২) সেখানে যাওয়ার সময় যাত্রা পথে কসর করতে হবে।
(৩) চাকুরীর জায়গাকে দ্বিতীয় বাড়ি হিসাবে বিবেচনা করা হবে না।বরং ওয়াতানে ইকামত বিবেচনা করা হবে। সোখান থেকে ৭৮ কিলো দূরে গেলে কসর করতে হবে,নতুবা না।
(৪)কোনো মানুষের যদি কোনো হারাম কাজ করতে ইচ্ছা হয় অথবা হারাম কাজে তার কোনো সুবিধা বিদ্যমান থাকে, কিন্তু হারাম হওয়ার সে তা করতে চাচ্ছে না তখন যদি সে নিজের কথা বিবেচনা করে বলে যে , “ এইকাজ হালাল হলে ভালো হতো” / ”এই কাজ গুনাহ না হলে ভাল হতো আমি করতে পারতাম “ এই ধরনের কথা। এতে সেই মানুষ কাফের হবে না।
কেননা সে এই বিবেচনায় বলছে না যে আল্লাহর বিধান এখানে ঠিক নয়, সে শুধু নিজের লাভ বা তার সুবিধা চিন্তা করে এই কথা বলছে , তাই কুফরি হবে না।