আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in সালাত(Prayer) by (18 points)
১)বিনা কারণে নামাজ ভেঙ্গে ফেললে কি গুনাহ হয়?

২)কোন কোন কারণে নামাজ ভেঙ্গে ফেললে গুনাহ হয় না?

৩)যদি নামাজে কেউ এমন কোনো কাজ করে ফেলে এবং সেই  কাজটার মাসয়ালা তার মনে না থাকে বা জানা থাকে, সে জন্য নামাজ ভেঙ্গে ফেললে কি গুনাহ হবে?
৪)নামাজ রত অবস্থায় যদি কারো সতরের দিকে চোখ যায় (যেমন - সতর খোলা রেখে কেউ নামাজরত ব্যক্তির আশপাশে হেঁটে গেলে তখন দেখে ফেললে)তাহলে কি নামাজ ভেঙ্গে যাবে?

৫)কোনো মুসলিমকে দিয়ে ছবি না তুলে যদি কোনো অমুসলিমকে  নিজের ছবি তুলতে দিই তাহলে কি গুনাহ হবে?

৬)যদি মুসলিম নাবালেগ শিশুকে ছবি তুলতে দিই তাহলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,760 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)বিনা কারণে নামাজ ভেঙ্গে ফেললে অবশ্যই গুনাহ হবে।

(২)কোন কোন কারণে নামাজ ভেঙ্গে ফেললে গুনাহ হয় না?

 দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয়,
Fatwa : 323-284/H=03/1441
(۲) بہت سی صورتیں ایسی ہیں جن کی وجہ سے نماز توڑی جاسکتی ہے مثلاً سانپ سامنے آگیا تو اس کے ڈر سے نماز توڑنا درست ہے۔ یا مثلاً کوئی نماز میں ہے اور ہانڈی ابلنے لگی جس کی لاگت ایک درہم کے بقدر ہے تو نماز توڑ کر اس کو درست کرنا جائز ہے۔ اس کے علاوہ اور بھی بہت سی صورتیں ہیں جن کی تفصیل ”بہشتی زیور“ حصہ دوم، صفحہ ۲۷/ پر دیکھی جاسکتی ہے۔
ویباح قطعہا لنحو قتل حیة، وندّ دابة، وفور قدر، وضیاع ما قیمتہ درہم لہ أو لغیرہ (الدر المختار: ۲/۴۲۵، ۴۲۶، ط: زکریا دیوبند)
মর্মার্থ-
অনেক কারণে নামাযকে ভঙ্গ করা যাবে,তখন কোনো গোনাহ হবে না। যেমন,সাপ সামনে চলে আসলে, নামাযে থাকাবস্থা ডেগচীর তরকারি উপড়ে পড়া শুরু করলে,এক দিরহাম সমপরিমাণ কোনো জিনিষকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে, এসব কারণে নামাযকে ভঙ্গ করার রুখসত থাকবে।

(৩) নামাজে যদি কেউ এমন কোনো কাজ করে ফেলে এবং সেই কাজটার মাস'আলা তার মনে না থাকে বা জানা না থাকে, সে জন্য নামাজ ভেঙ্গে ফেললে কোনো গুনাহ হবে না।

(৪)নামাজ রত অবস্থায় যদি কারো সতরের দিকে চোখ যায় (যেমন - সতর খোলা রেখে কেউ নামাজরত ব্যক্তির আশপাশে হেঁটে গেলো, অন্যর সতর তখন দেখে ফেললো)তাহলে এজন্য নামাজ ভঙ্গ হবে না। নামাযে থাকাবস্থায় অন্যর সতরের দিকে ইচ্ছাকৃত দৃষ্টি দিলে গোনাহ হবে।


দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয়,
Fatwa ID: 1496-1505/N=1/1436-U87 
ناف اور اس کے بالمقابل پیٹ، پیٹھ اور دونوں پہلواور ان کے اوپر کا حصہ مرد کے حق میں ستر نہیں ہے، البتہ ان کے نیچے کا حصہ ستر میں داخل ہے، اور ناف سے لے کر پیڑو تک اور اس کے بالمقابل پیٹ، پیٹھ اور دونوں پہلو سب ملاکر ایک ستر ہیں، پس اگر کسی مرد نمازی کا حالت نماز میں اس ستر کا چوتھائی حصہ کھل گیا اور تین بار سبحان اللہ کہنے کے بقدر کھلا رہا تو اس کی نماز فاسد ہوجائے گی؛ لیکن اگر کسی نمازی کی دوسرے نمازی کے کھلے ہوئے ستر پر نظر پڑگئی تو اس کی نماز فاسد نہ ہوگی، اگرچہ وہ تین بار سبحان اللہ کہنے کے بقدریا اس سے زیادہ نظر ڈالے رکھے، البتہ بالقصد نظر ڈالنے یا نظر جمائے رکھنے کی صورت میں وہ گنہگار ہوگا اور ستر کھولنے والا بھی گنہ کار ہوگا اور سہواً نظر پڑنے کی صورت میں صرف ستر کھلا رکھنے والا یا اس میں بے احتیاطی کرنے والا گنہ گار ہوگ


(৫)কোনো মুসলিমকে দিয়ে ছবি না তুলে যদি কোনো অমুসলিমকে নিজের ছবি তুলতে দেয়া হয়, তাহলেও গুনাহ হবে।

(৬) যদি মুসলিম নাবালেগ শিশুকে ছবি তুলতে দেওয়া হয়, তাহলেও গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,760 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...