জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
وَافِي ، وَافٍ مث وَافِيَة [وفي]
[ওয়াফী,ওয়াফিয়া] শব্দের অর্থঃ-
পূর্ণাঙ্গ
পূর্ণ
সম্পূর্ণ
যথেষ্ট
পূরণকারী
বিশ্বস্ত
আয়াত ( آيات ) নামের অর্থ হলঃ নিদর্শন,আলামত, প্রমাণ, বাক্য বা সূত্র ।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কোনো মেয়ে শিশুর জন্য ওয়াফিয়া আয়াত নাম রাখা ঠিক হবে।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، سَأَلَتْهُ: مَا سَمَّيْتَ ابْنَتَكَ؟ قَالَ: سَمَّيْتُهَا مُرَّةَ، فَقَالَتْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ هَذَا الِاسْمِ، سُمِّيتُ بَرَّةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمْ، اللَّهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ فَقَالَ: مَا نُسَمِّيهَا؟ قَالَ: سَمُّوهَا زَيْنَبَ
মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। যাইনাব বিনতু আবূ সালামাহ (রাঃ) তাকে প্রশ্ন করেন, তোমার মেয়ের কি নাম রেখেছো? তিনি বললেন, আমি তার নাম রেখেছি বাররা (পূণ্যবতী)। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরণের নাম রাখতে বারণ করেছেন। আমার নামও বাররা রাখা হয়েছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ‘‘তোমরা নিজেদের পরিশুদ্ধ দাবি করো না। কেননা আল্লাহই ভালো জানেন, তোমাদের মধ্যে কে পুণ্যবান।’’ অতঃপর তিনি বললেন, আমি এর কি নাম রাখবো? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এর নাম রাখো যাইনাব।
(মুসলিম, বুখারীর আদাবুল মুফরাদ.আবু দাউদ ৪৯৫৩)
যায়নাব (রাঃ) বলেন, আমার নাম ছিল বাররাহ্ (পুণ্যবতীর কাছ থেকে উত্থিত হয়েছে)। অতঃপর আমার নাম রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়নাব রাখলেন। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ১৯-[২১৪২])
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উল্লেখিত হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘তোমরা নিজেদের পরিশুদ্ধ দাবি করো না। কেননা আল্লাহই ভালো জানেন, তোমাদের মধ্যে কে পুণ্যবান।’’
সুতরাং যে নাম গুলির অর্থ এমন,যাহা দ্বারা নিজেকে পরিশুদ্ধ দাবি করা মূলক হয়,সেক্ষেত্রে এমন নাম রাখা হতে এই হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে।
তবে এমন নাম রাখা নাজায়েজ নয়।