আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
610 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

১। ইবলিশ কি বিবাহিত? বিবাহিত হলে তার বউ এর নাম কি?
২। ইবলিশের বাপের নাম নাকি খবিস আর মায়ের নাম নাকি নাবলিস? এই তথ্য কতটুুুুকু সত্য?
৩। ইবলিশ নাকি জ্বীন জাতির শেষ নবী ছিলো?
৪। ইবলিশের কি ছেলে মেয়ে আছে? থাকলে তাদের নাম কি?
closed

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইবলিশ কি বিবাহিত? এ সম্পর্কে কুরআন হাদীস প্রায় নিরব! তবে ইমাম সুয়ূতি রাহ বলেন,ইবলিশ পাঁচটি ডিম পেরে রেখেছে।প্রয়োজন অনুযায়ী সে ঐ ডিম থেকে বাচ্ছা বের করে থাকে।

(২)
ইবলিশের বাপের নাম বা তার মায়ের নাম কি?এ সম্পর্কে কুরআন হাদীসের কোথাও কিছু আসেনি।

(৩)
ইবলিশ জ্বীন জাতীর অন্তর্ভুক্ত ছিল।তবে যে সে তাদের নবী ছিল! সে সম্পর্কেও কুরআন হাদীসে কিছুই আসেনি।


আমাদের সমাজে এমন ধারণা আছে যে, ইবলিস আসলে একজন সম্মানিত ফেরেশতা ছিল, তারপর তাকে বের করে দেওয়া হয় এবং সে শয়তান হয়ে যায়। এই ধারণা রাখেন, যখন তারা এই আয়াতটি পড়েন—

“যখন ‘আমি’ ফেরেশতাদেরকে বলেছিলাম, ‘আদমের প্রতি সিজদা করো’, তখন তারা সিজদা করেছিল, তবে ইবলিস ছাড়া।…” [সূরা বাকারাহ ২:৩৪]

ইবলিসকে তার জ্ঞান এবং যোগ্যতার জন্য ফেরেশতা উপাধি দেয়া হয় আর তার নতুন নাম দেয়া হয় আজাজিল (“আল্লাহ্ শক্তিদানকারী”  অর্থাৎ ইবলিস জেনেটিকালি জিন হলেও সে ফেরেশতার সম্মান প্রাপ্ত ছিল। এরপর আদমকে সিজদার আদেশ অমান্য করার পর তার নাম হয় ইবলিস বা অভিশপ্ত। তারমানে এখানে ফেরেশতা হিসেবে সম্বোধন করলেও কোন সমস্যা থাকে না।

তাছাড়া আরবি ভাষা এই ধরনের বাক্য গঠন করতে দেয়— “সেদিন সন্ধায় দাওয়াতে আমার সব আত্মীয়রাই এসেছিল, ফখরুদ্দীন ছাড়া।” এখানে ফখরুদ্দীন আমার আত্মীয় ছিল না, সে ছিল বাবুর্চি। [1]

আরবি ব্যাকরণে তাগ্লীব নামে একটা ব্যাপার আছে। এর মানে, যদি Majority-কে সম্বোধন করা হয়, তবে Minority-ও এতে সাড়া দেবে। যেমন, এক ক্লাসে ১০০ জনের মধ্যে ৯৯ জন ছেলে, একজন মেয়ে। যদি বলা হয় আরবিতে, ছেলেরা দাঁড়াও, তবে, সেই মেয়েও উঠে দাঁড়াবে। এটাই তাগ্লীব। মেয়েকে আলাদাভাবে সম্বোধনের দরকার নেই।

একইভাবে কুরআনে আল্লাহ্ যখন ফেরেশতাদের ডাকলেন, তখন আলাদাভাবে জিন ইবলিসকে ডাকার দরকার নেই।

ইবলিস ফেরেশতা ছিল না- এর আরও একটা প্রমাণ হল সে যদি ফেরেশতা হত, তাহলে আল্লাহ্র নির্দেশ অমান্য করতো না। কারণ কুরআনেই ফেরেশতাদের প্রাথমিক গুণ সম্পর্কে বলা হয়েছে- “তারা আল্লাহ্র আদেশ অমান্য করে না, এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তাই করে।” [সূরা আত-তাহরীম ৬৬:৬]

ইবলিস যে জিন ছিল এব্যাপারে কুরআনে পরিষ্কার আয়াত রয়েছে-

“‘আমি’ যখন ফেরেশতাদেরকে বললাম, “আদমের প্রতি সিজদা করো’, তারা সবাই করেছিল, ইবলিস ছাড়া—সে ছিল জিনদের একজন।” [সূরা আল-কাহফ ১৮:৫০] (সুত্র- ইবনে কাছির)(সংগৃহিত)
(৪)
ইবলিসের ছেলে-মেয়ে সম্পর্কে কুরআন-হাদীসে কিছুই আসেনি।তবে তার অনেক সঙ্গ-সাথী রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...