আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আস্সালামুআলাইকুম। আমাদের বাসায় একটা মেয়ে থাকে প্রায় ৯/১০ বছর বয়স হতে পারে। মূলত তার ma-বাবার ডিভোর্স হয়ে যায়, এবং তারা আবার আরেকটা বিয়ে করে,এইজন্য তার মা তাকে নিজের কাছে রাখতে পারে নি। সে এখনো আমাদের বাসায় টুকটাক কাজ করে।ও সব কাজেই একদম ই স্লো করে, ইচ্ছা করেই একেকটা কাজে অনেক টাইম নেয়।উদাহরণ স্বরূপ সে একটা জানালা বন্ধ করতে ৩০মিন+ টাইম waste করে ফেলে।। আমার মা এর কাজের কষ্ট হয় তাই তাই ওকে রাখা, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ও বুঝে গেছে ওর দেরি হলে মা ই ওর কাজ করে নিবে। এজন্য সে এই কাজ আরো বেশি ই করে।।মেয়েটা খুব একটা কথাও শুনে না, খুব বেশিই ছোট খাটো ব্যাপারেই মিথ্যা কথা বলে। ওর এসব আচরণে আমরা আসলেই খুব ক্ষিপ্ত।গত ১.৫ মাস ধরে একি রকম কাজ করে তারপর ও তার কোনো পরিবর্তন আসে না।এসব ইচ্ছা করেই করে। কারণ যখন তাকে বলা হয় ওর মামা আসছে বা ভাই আসছে তখন সে সব কাজ ই দ্রুত করে, আর ঠিকঠাক ভাবে করে। যাই হক। এখন আমরা তো হাদিস শুনছি যে আনাস রা ও রাসূল সা এর খিদমত করতেন কিন্তু তিনি কখনো ওনাকে মারেন না কখনো ভ্রু কুঁচকেও কথা বলেন নি। এই ব্যাপারটায় আমাদের ভয় হয়। তারপর ও মাঝে মধ্যে খুব মেজাজ খারাপ হয়েই যায় তার আচরণ এ।আর মাঝে মধ্যে তাকে পড়াইতে বসে সে কিছুই পারে না বয়স হিসেবে ক খ ও পারে না। এগুলো শিখাতে গেলে যদি না পারে খুব মেজাজ খারাপ হয় ১/২ টা বেতের বারি দিয়েই দিই।
আমাদের তার সাথে কেমন আচরণ করা উচিত আর কেমন আচরণ করা উচিত না,এটাই আমার প্রশ্ন।?আর এই মারামারি কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: كُنْتُ أَضْرِبُ غُلَامًا لِي فَسَمِعْتُ مِنْ خَلْفِي صَوْتًا: «اعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ لَلَّهُ أَقْدَرُ عَلَيْكَ مِنْكَ عَلَيْهِ» فَالْتَفَتُّ فَإِذَا هُوَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هُوَ حُرٌّ لِوَجْهِ اللَّهِ فَقَالَ: «أَمَا لَوْ لَمْ تَفْعَلْ لَلَفَحَتْكَ النَّارُ أَوْ لَمَسَّتْكَ النَّارُ» . رَوَاهُ مُسلم

আবূ মাস্’ঊদ আল আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি স্বীয় দাসকে প্রহাররত অবস্থায় আমার পেছন হতে উচ্চস্বরে একটি আওয়াজ শুনলাম, হে আবূ মাস্’ঊদ! সাবধান! তুমি তোমার দাসের ওপর যতটুকু ক্ষমতা রাখ আল্লাহ তদপেক্ষা তোমার ওপর অধিক ক্ষমতার অধিকারী। অতঃপর আমি পিছন ফিরে দেখি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এ কথাটি) বলছেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! তাকে আল্লাহর ওয়াস্তে মুক্ত করে দিলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি যদি এটা না করতে তবে জাহান্নামের আগুন তোমাকে ঝলসিয়ে দিত।
(সহীহ : মুসলিম ১৬৫৯, আবূ দাঊদ ৫১৫৯, তিরমিযী ১৯৪৮, সহীহ আত্ তারগীব ২২৭৭, আহমাদ ২২৩৫০, সহীহ আল জামি‘ ৫০৩৪।)

باب النَّهْىِ عَنْ ضَرْبِ الْخَدَمِ، وَشَتْمِهِمْ 
খাদিমকে প্রহার করা এবং গালি দেয়া নিষেধ।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كُنْتُ أَضْرِبُ مَمْلُوكًا لِي فَسَمِعْتُ قَائِلاً مِنْ خَلْفِي يَقُولُ " اعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ اعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ " . فَالْتَفَتُّ فَإِذَا أَنَا بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لَلَّهُ أَقْدَرُ عَلَيْكَ مِنْكَ عَلَيْهِ " . قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ فَمَا ضَرَبْتُ مَمْلُوكًا لِي بَعْدَ ذَلِكَ . 
আবূ মাসউদ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কোন এক সময় আমি আমার এক গোলামকে প্রহার করছিলাম। তখন আমার পিছন হতে একজন লোককে আমি বলতে শুনলাম, আবূ মাসউদ, জেনে রাখ, আবূ মাসউদ, জেনে রাখ! আমি পিছনে তাকানো মাত্রই দেখতে পাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বললেনঃ তুমি এর উপর যে পরিমাণ ক্ষমতার অধিকারী, তোমার উপর আল্লাহ তা’আলা এরচাইতে অনেক বেশি ক্ষমতার অধিকারী। আবূ মাসউদ (রাঃ) বলেন, এরপর হতে আমি আমার কোন গোলামকে আর কখনো মারিনি।
(মুসলিম,তিরমিজি ১৯৪৮।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই খাদেমকে (চাকরকে) প্রহার করা জায়েজ হবেনা।
দোষ করলে প্রয়োজনে তাকে ধমক দেয়া যেতে পারে।

যদি ধমক দিয়ে কাজ না হয়,সেক্ষেত্রে তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাজের লোক রাখা যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...