আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম,
Amake comments a janiye din kono somossa hobe kina. Plz mufti saheb khub duschinta te achi
আমি কোনো ওয়াসওয়াসা নিয়ে প্রশ্ন করছিনা মুফতি সাহেব। আমার আমার ভয় কে দুর করে শান্তি করে চিন্তা মুক্ত হতে চাই। আমার কোনো কোনো ওয়াসওয়াসা না। আমি জানতে চাইছি। ছোটো ভাই কে একটু সাহায্য করুন। আশা করছি জবাব দিয়ে সাহায্য করবেন। বিষয় টা একটু পড়বেন।

আমার তালাক সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিলনা,

বিয়ের আগে আমি এই এরকম বলেছি, তোকে বিয়ে করবো তোর মা বাপের সাতে আমার কোনো সম্পর্ক রাখবো না ,বা থাকবে না। তোদের বাড়ি যাবনা। তোদের বাড়ি হারাম। ইত্যাদি কথা বলেছি।

বিয়ের আগে, আমি নানা রকমের কথা বলেছি, এখন বুঝতে পারছি সেই গুলো শর্ত তালাক এর মত বাক্য। আসলে আমার শর্ত তালাক সম্পর্কে তখন কোনো ধারণাই ছিল না। এখন নানা রকমের কথা মনে হয় , মনে হয় এইরকম কথা বলেছি, যে গুলো শর্ত তালাক এর বাক্যের মত। কিন্তু বাক্যটা সম্পূর্ণ ভাবে , পরিষ্কার ভাবে নিশ্চিন্ত হতে পারিনা। মাঝে মাঝে নিশ্চিত ভাবে মনে হয় হয়ত বলেছি , আবার মনে হয় বলিনি। আমি নিশ্চিত হতে পারিনা। কিছু সময় মনে হয় এমন বাক্য বলেছি মনে পড়ে, কিন্তু ১০০% সিওর হয়ে পরিষ্কার ভাবে মনে পড়েনা , হয়ত বাক্য টা মনে পড়লো কিন্তু তালাকের কথা টা কি ধরনের বলেছি সেই বিষয় এ সন্দেহ হয়ে জাই , । কিছু কল্পনা ও হয়ে জাই হয়ত বলেছি এমন হয়। আমি হয়ত কোনো কথা বলেছি দিয়ে সিওর হতে পারছিনা। তাই আমি আমার স্ত্রী কে জিজ্ঞাসা করি আমি কি সেই রকম কোনো বাক্য বলেছি স্ত্রী বলেছে সেই রকম কিছু বলিনি। আর আমার স্ত্রী ও ভুলে জাই। সেই রকম মনে নেই সব কথা। আর আমিও মোটামুটি ভুলে জাই। হয়ত স্ত্রীর হালকা মনে পড়লো কিন্তু কনফ্রন হলো না। আমার ও সম্পূর্ণ ভাবে মনে পড়েনা কিন্তু মনে হয় বলেছি , এই রকম মনে হয়। হয়ত কোনো শর্তের বাক্য বলেছি স্ত্রীর মনে হালকা মনে আছে , কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি সন্দেহে আছি। সে ক্ষেত্রে স্ত্রী কে আমি আর জিজ্ঞাসা করলাম না, দিয়ে স্ত্রী সেই কাজ করলো তাহলে তালাক হবে না তো??

এমন কোনো বাক্য বলেছি , দিয়ে হয়ত বলেছি

এমন করলে ডিভোর্স দিবো বা এমন করলে ডিভোর্স  এই দুটো বাক্যের মধ্যে কোনটা বলেছি কোন ঘটনা কে নিয়ে সেইটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। বুঝতে পারছি না কোনটা বলেছি। আবার মনে হচ্ছে হয়ত দুই ধরনের বাক্য বলেছি,  কিন্তু সিওর ভাবে বলতে পারছিনা কোনটা বলেছি। এর জন্য কি তালাক হবে??

** আমার শুধু মনে হচ্ছে আমি এই রকম বাক্য বলেছি। ভালো করে মনে করার চেষ্টা করলে মনে হচ্ছে বলেছি। কিন্তু কনফ্রম হতে পারছিনা। " এই রকম করলে ডিভোর্স খাবা"

আমার এই সমস্ত ঘটনায় জন্য কি কোনো সর্ত তালাক হবে??

আর এই সব বলেছি এমন হলে , বা এমন করলে তালাক দিবো, ডিভোর্স দিবো, সোজা বাপের বাড়ি রেখে আসবো।, এমন করলে সোজা বাপের বাড়ি রেখে আসবো, ডিভোর্স পেপার এ সই করে পাঠিয়ে দিবো। ( এই সব বাক্যের জন্য কি কোনো তালাক হবে??

আমার এই সমস্ত ঘটনায় জন্য কি কোনো সর্ত তালাক হবে??যেহেতু আমার ১০০% নিশ্চিন্ত হতে পারিনা। বা কি ধরনের বাক্য বলেছি সেই নিয়ে সন্দেহ হয় ও মনে মনে কল্পনা হয়, দিয়ে মনে হয় হয়ত এই রকম বলেছি। শায়েখ এই সব ক্ষেত্রে কি শর্ত তালাক হবে? আমি কি নিশ্চিন্ত মনে সংসার করতে পারি?? মনে দ্বিধা দ্বন্দ থাকা সত্বেও।

শায়েখ plz আমাকে এইটুকু জানিয়ে দিন কোনো তালাক হবে কিনা। Plz

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...