ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লামা তাক্বী উসমানি রাহ এবিষয়ের মূলনীতিকে ঘুচিয়ে এভাবে লিখেন যে,
মানুষের কাছে অনেক সময় ঋণ হিসাবে টাকা দেয়া হয়ে থাকে,কখনো বা বাকীতে পণ্য বিক্রয় করা হয়।অদূর ভবিষ্যতে তা পাওয়া যাবে,এ বিষয়টিও থাকে নিশ্চিত । এমতাবস্থায় যাকাতের অর্থ হিসাব করে বের করার সময় এগুলোকেও হিসাবের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া উত্তম।যদিও শরীয়তের হুকুম হলো যে,অনাদায়ী ঋণের ওপর যাকাত ওয়াজিব নয়।কিন্তু এই সম্পদ হস্তগত হওয়ার পর বিগত বছরগুলোর যাকাত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হিসাব করে আদায় করতে হবে।দৃষ্টান্ত হিসাবে বলা যেতে পারে,একব্যক্তিকে একলাখ টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছিল।পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর প্রদত্ত ঋণের টাকা সে ফেরৎ পেল।যদিও এই একলাখ টাকার যাকাত বিগত পাঁচ বছর আদায় করা তার জন্য ওয়াজিব ছিল না।কিন্তু একলাখ টাকা উসূল হওয়ার পর এখন তাকে বিগত পাঁচ বছরের যাকাত আদায় করে দিতে হবে।
যেহেতু একসঙ্গে কয়েক বছরের যাকাত আদায় করা কোনো কোনো সময় কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়ায়,এ জন্য প্রতি বছর হিসাব করে এসব সম্পদের যাকাত আদায় করে দেয়াই উত্তম।(ফাতাওয়ায়ে শামী-২/৪,বাদায়ে সানায়ে-২/৬) - ব্যক্তি ও রাস্ট্রীয় পর্যায়ে যাকাতের বিধান-৩৪আরো বর্ণিত রয়েছে।(আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল-৩/৩৫২)
মোটকথাঃ
উক্ত টাকার যাকাত এখনই আপনাকে দিতে হচ্ছে না।কেননা আপনার উপর ওয়াজিব হচ্ছে না।বরং যখনই উক্ত টাকা আপনার হস্তগত হবে,তখন পূর্বের সকল বৎসরের যাকাত আপনি আদায় করে নেবেন।যদি উক্ত টাকাগুলি আপনার কাছে থাকা টাকার সাথে মিলে নেসাব পরিমাণ হয় তখনই যাকাত ওয়াজিব হবে।নতুবা তো যাকাত ওয়াজিব হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1483