ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
প্রত্যেক মুসলমানের উপর নির্দিষ্ট সময়ে সালাত আদায় করা ফরয,নির্দিষ্ট সময় মানে প্রত্যেক নামাযের নির্দিষ্ট ওয়াক্ত,আর নামাযের ওয়াক্ত সূর্যের সাথে সম্পর্কিত।সূর্যের নড়াচড়াই নামাযের সময়কে নির্ধারণ করে অর্থাৎ সূর্যের পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকের গতিবিধিকে কেন্দ্র করে নামাযের ওয়াক্ত নির্ণয় করা হয়,তাই ওয়াক্তের পূর্বে নামায নাময আদায় হবেনা,এর থেকে বিরত থাকা সবার উচিৎ ।
হানাফি মাযহাবে গ্রহণযোগ্য মতানুসারে আসর দুই মিছিলের পর পড়া মুস্তাহাব।তবে এক মিছিলের পর যদি কেউ পড়ে নেয় তাহলেও আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু সাধারণত উত্তম হচ্ছে আসরকে দুই মিছিলের পর পড়া।(আহসানুল ফাতাওয়া ২/১১৩)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/705
যেহেতু উত্তম হল,আসরের নামাযকে দুই মিছিলের পর পড়া।তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত নামায-রোযার চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার দেখে নামায আদায় করবেন।অন্যান্য মাযহাবে এক মিছিলের সময় তথা আমাদের আসরের সময় থেকে এক ঘন্টা পূর্বে আসরের নামায আদায় করার কথা বর্ণিত রয়েছে।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) যেহেতু এক মিছিলে আসরে নামায পড়ার রুখসত বা সুযোগ রয়েছে, তাই বাসায় জামাত কায়েমের মত লোকসংখ্যা না থাকলে আপনি সালাফি মসজিদ সমূহে আসরের নামায জামাতের সাথে পড়তে পারবেন।
(২)
বিতিরের নামায একাকি পড়লে উচ্ছস্বর ও নিম্নস্বর উভয়ভাবেই পড়া যাবে। সুতরাং ২য় রাকাত এর বৈঠক শেষ করে দাড়িয়ে সূরা ফাতিহা ভুলে আস্তে পড়ে ফেললে,তারপর সূরা ফাতিহা শেষ করে সূরা ইখলাস উচ্চ স্বরে পড়ে নিলে, এতেকরে আপনার নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
রাতের সুন্নাত বা নফল সালাতে যেহেতু উচ্চ স্বরে বা নিম্নস্বর যেকোনোভাবেই পড়া যায়। তাই উচ্চ স্বরে পড়তে পড়তে ভুল করে নিম্ন স্বরে পড়ে নেয়ার পর আবার উচ্চস্বরে পড়ে নিলে, এতেকরে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(৪)
শরীর সুস্থ রাখার জন্য বাসার ভেতরে নারীরা ব্যায়াম করতে পারবে। দৌড়ানোর মেশিন গুলোর উপরে যদি হাটে বা আস্তে আস্তে দৌড়ায় তাহলে কোনো সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে শরিয়তের নিষেধাজ্ঞা নাই।