আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
399 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (63 points)
শাড়ি বিক্রি  করার পর তার ব্যবহারের দায় কী আমার উপর আসবে?শাড়ির ব্যবসা কতটুকু জায়েজ  হবে?

1 Answer

0 votes
by (567,240 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ  করেন:- 
“হে মুমিন মুসলমানগণ! তোমরা কাফিরদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না”। (সূরা আন নিসা : আয়াত  ১৪৪)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ:: ” الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি [কিয়ামতের দিন] তার সাতে থাকবে যাকে সে মোহাব্বত করে। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-৬১৬৮, ৫৮১৬}

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ

হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}

এক হাদীসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি তাদের পোশাক পরবে সে আমার দলভুক্ত নয়। (তবারানী আওসাত ৩৯২১; ফাতহুল বারী ১০/২৮৪)

★শরীয়তের বিধান হলো যে সমস্ত বিষয়  ইহুদী খৃষ্টানদের কালচার ও ধর্মীয় বিষয়  হিসেবে বিবেচ্য ও প্রসিদ্ধ। তা ব্যবহার  করা জায়েজ নয়। 
,
শাড়ি একসময় হিন্দু নারীর পোশাক ছিল, কিন্তু এখন আর তাদের বিশেষ পোশাক থাকেনি। এখন এটা মিশ্র পোশাকের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। সুতরাং শাড়ি পরলে এবং অনুকরণের নিয়ত না করলে বিধর্মীদের সাদৃশ্যের গুনাহ হবে না বটে কিন্তু যেহেতু শাড়ি পরিধান করলে সাধারণত শরীরের বিভিন্ন জায়গা খোলা থাকে যেমন-পেট, পিঠ, বুক হাতের বাহু ইত্যাদি, তাই এভাবে শাড়ি পরিধান করা বৈধ হবে না। হ্যাঁ, কেউ যদি ব্লাউজ এমনভাবে বানায় যদ্দারা উপরোক্ত অংশগুলোও পুরোপুরি ঢেকে যায় এবং শাড়ির উপর থেকে পেট-পিঠ ও বুকের আকৃতি ফুটে না উঠে তাহলে তা পরিধান করা নাজায়েয নয়। (কেফায়াতুল মুফতী ৯/১৭০; আপকে মাসায়িল আওর উনকা হল্ ৭/১৬৩)
,
★যেহেতু প্রশ্নে উল্লেখিত  শাড়ী ক্রয় বিক্রয়,ব্যবহার সবই জায়েজ। 
এতে কোনো সমস্যা নেই।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...