আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি আমার ৫ মাস বয়সী বাচ্চাকে কোলে নিয়ে কুরআন পড়ি। সে মুসহাফের পাতা ধরতে চায়। মাঝেমধ্যে হাত দেয়। তাকে কি মুসহাফের পাতা ধরতে দেওয়া যাবে নাকি মুসহাফ সরিয়ে নিতে হবে? আর কত বছর বয়স পর্যন্ত ছোট্ট শিশুদের কুরআন ধরতে দেওয়া যাবে ওযু ছাড়া?
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

শিশু বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত তার ওপর শরীয়তের কোনো বিধান চাপানো যায় না। সুতরাং নাবালেগ শিশু ওযু ছাড়াই কোরআন ধরলে তার কোন গুনাহ হবে না। কেননা, রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

رفع القلم عن ثلاثة: عن الصغير حتى يبلغ، وعن النائم حتى يستيقظ، وعن المجنون حتى يفيق

তিন ব্যক্তির উপর থেকে (দায়িত্বের) কলম উঠিয়ে নেয়া  হয়েছে, (১) ঘুমন্ত ব্যক্তি জাগ্রত হওয়া পর্যন্ত (২) শিশু বালেগ হওয়া পর্যন্ত এবং (৩) পাগল বিবেকবুদ্ধি ফিরে পাওয়া পর্যন্ত। (আবু দাউদ ৪৪০৩ তিরমিযী ১৪২৩ নাসাঈ ৩৪৩২ ইবনে মাজাহ ২০৪১)

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَشِبَّ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يَعْقِلَ " .

আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির উপর থেকে দন্ডবিধি রহিত করে দেওয়া হয়েছে, ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, শিশু যতক্ষন না সাবালক হয়, বেহুশ ব্যক্তি যতক্ষণ না তার হুশ ফিরে এসেছে। - ইবনু মাজাহ ২০৪১, ২০৪২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ৫ মাস বয়সী বাচ্চা অযু ছাড়া কুরআন ধরতে পারবে। এতে তার ও আপনার কোনো গোনাহ হবে ইনশাআল্লাহ। যদিও বাচ্চাদের জন্য বালেগ-বালেগার আগ পর্যন্ত অযু ছাড়া কুরআন ধরলে কোনো গোনাহ হবে না তবুও (বাচ্চা একটু বড় হলে অর্থাৎ ৫/৬ পাঁচ বছর হলে) বড়দের উচিত, শিশুকে এই শিক্ষা দেয়া যে, কোরআন ওযু ছাড়া ধরা যায় না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
উত্তর টা দিবেন মিন ফাদ্বলাক

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...