আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

আমি নাবালক থাকতে আমার দাদা আমার নামে কিছু টাকা ব্যাংকে রাখেন। Fixed Deposit Account হওয়ায় প্রতি বছর টাকার পরিমাণ বেড়ে যেত। যখন সাবালক হই তখন একাউন্টে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ছিল এবং স্বর্ণের চেইন,চুড়ি এবং কানের দুল ছিল। তখন যাকাত সম্পর্কে না জানার কারণে যাকাত আদায় করতে পারিনি। এতো বছর পর আমি যাকাত আদায়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছি। কিন্তু বর্তমান ব্যাংক একাউন্টে কোনো টাকা নেই সব খরচ হয়েছে। এখন আমার ২টা প্রশ্ন:
১. অতীত বছরগুলোর যাকাতের কি আদায় করতে হবে?

২. অতীত বছরগুলোর ওয়াজিব কুরবানী(কাযা) আদায় করতে হবে কি? অর্থাৎ প্রতি কুরবানীর জন্য একটি করে ছাগলের এর মূল্য সদকাহ করে দিতে হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
.ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা অথবা টাকা এভাবে থাকে যে, কোনোটিরই নেসাব পূর্ণ হয়নি, তাহলে এক্ষেত্রে রূপার নেসাবকেই মানদন্ড ধরে নেয়া হবে। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/121

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার দাদা যত টাকা ব্যাংকে রেখেছিলেন, সেই টাকা ব্যতিত অতিরিক্ত যত টাকা আপনার একাউন্টে যোগ হয়েছে,তথা ব্যাংক ইন্টারেস্ট, সেই সব টাকা আপনার জন্য হারাম। সেই সব টাকাকে সদকাহ করতে হবে। এই হারাম টাকা মালিক আপনি হবেন না।

আপনার দাদার প্রদত্ব টাকা আপনার একাউন্টে থাকার পর, যেই দিন আপনি বালিগ হয়েছেন, সেই দিন থেকে নেসাব পরিমাণ টাকা আপনার একাউন্টে থাকা পর্যন্ত যতটি বৎসর অতিবাহিত হয়েছে, সেই সব বৎসরের যাকাত আপনাকে দিতে হবে।এবং প্রতি বৎসরের জন্য একটি বকরির মূল্য আপনাকে সদকাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...