আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
347 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।

আমি নতুন বিবাহ করেছিলাম। কিন্তু অনেক কারণে স্ত্রীর সাথে আমার মনমালিন্য হয়।সে আমাকে তুই করে আজেবাজে কথা বলে এবং আমার মায়ের নামেও কথা বলে তখন আমি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চর দিয়েছি দুইদিন মায়ের নামে বলায়।পরবর্তীতে মেয়েও আমার উপর চড়াও হয়। পরে আমি ম্যানেজ করে তার সাথে ভালো ব্যবহার করলেও নিজেই মাফ চাইলেও এভাবে চলতে চলতে মেয়ে আরও কিছু ক্ষেত্রে বেপরোয়া আচরণ করতে থাকে।

যেমন: গ্লাস ভেংগে নিজেকে আঘাত করার চেষ্টা, নিজের কাপড়ে নিজে আগুন ধরিয়ে আমাকে ভয় দেখানো, রাগারাগি করে বাসা থেকে দুপুর কিংবা রাতে বের হয়ে চলে যাওয়া, বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে আসতে চাইলে রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি করে গাড়ির সামনে ঝাপ দিতে চলে যায়।এসব আরও অনেক কিছুই যা জীবন মরন এর ব্যাপার।

মেয়ে সম্পুর্ন সুস্থ। তার কোন সমস্যা নাই। সে মূলত আমাকে ভয় দেখানোর জন্য আর অত্যধিক রাগে এসব কাজ করে।

উভয় ফ্যামিকি বৈঠক করলে তার বাবা মায়ের কাছে এসব ব্যাপার উল্লেখ করলে আমাকেই দোষারপ করে যে আমি তাকে অত্যাচার করি। অথচ,ওকে শাসন করার জন্য আমি কিছুটা হালকা প্রহার করি কারণ সে অবাধ্য হয়ে রাগে বাড়ি থেকে চলে যায় আর আমার সাথে খারাপ আচরণ করে।


অতঃপর, মেয়ে ও মেয়ের ফ্যামিলি উল্টো আমাকেই দোষারপ করে আর আমার বাবা মাকেও মেয়ের ফ্যামিলি অপমানিত করে। এইভাবে মেয়ে সাতমাস থেকে বাপের বাসায় আছে। কোন ভুলত্রুটি স্বীকারের মানসিকতা নাই উল্টো বলছে আমার সব ভুল ছিল আমি এসে মাফ চেয়ে নিয়ে যেতে।এভাবে ভবিষ্যতে পুনরায় সে যদি এসব আচরণ করে সেই সংকায় আমরা আছি।

প্রশ্ন:

আমার বাবা মা ও মুরব্বিরা উল্লেখ করছেন,যে মেয়ে বারবার ঘর থেকে বের হয়ে গাড়ির সামনে ঝাপ দেওয়া, নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে ভয় দেখানো, গ্লাস ভেংগে নিজের পেটে আঘাত করার চেষ্টা করা,স্বামীকে তুই তুই করে কথা বলা এবং যে মেয়ের পরিবার উল্টো মেয়ের সাপোর্ট করে ছেলে এবং আমাদেরকেই দোোষারপ করছে সেখানে সংসার করানো যাবেনা।

ভবিষ্যতে মেয়ে স্বেচ্ছায় কোন অঘটন ঘটালে ছেলে, ছেলের মা বাবা সবাই দায়ী হয়ে যাবে৷ এই অবস্থায় ছেলের মা বাবা ছেলেকে তালাকের নসিহিত দিচ্ছেন এবং ছেলেও সেরকম উপলব্ধি করছে।
পিতামাতা সন্তানের কল্যানকামী ও দ্বীনের বুঝ রাখেন। এই অবস্থায় আমার পিতামাতা আমাকে যে পরামর্শ দিচ্ছেন তা অবশ্যই পালনীয় আমি মনে করছি। এক্ষেত্রে পিতামাতার আদেশ পালন করা চলায় ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী যুক্তিউপযুক্ত তাই না হুজুর?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)

মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1722

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনি মাতাপিতার পরামর্শ অনুযায়ী তালাক দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিনা কারণে তালাক হবে না।তালাক দিয়ে পৃথক হওয়ার জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
বিনা কারণে তালাক সম্পর্কে  জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/468


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...