بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا
آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ
الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه
وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ
فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ
دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ
وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ
عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের
সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন
আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার
কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ
তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে
তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক
প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই
/ বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি
যার যার সাথে এরকম ব্যবহার
করেছেন, জুলুম করেছেন, প্রত্যেকের কাছে
গিয়ে মাফ চেয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করতে হবে।
এই দুই কাজ করলে আপনি দুনিয়ার
শাস্তি ও আখিরাতের শাস্তি থেকে বাঁচতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। তবে হক নষ্টকারী মাফ চাওয়ার
পরও তাঁকে যদি মাফ না করা হয়, তাহলে এর বদলা তাকে হাশরের মাঠে দিতে হবে কি না? সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। তবে যিনি
মাফ করবেন না, উনাকেও আল্লাহ মাফ করবেন না। এমনটাই হাদীসের ভাষ্য
থেকে বুঝা যায়।
যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে তাকে
খুঁজে পাওয়া না গেলে বা তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনো সুযোগই যদি না থাকে তাহলে আল্লাহর
কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এবং মাল সম্পদ সম্পর্কীয় হক হলে তা সদকাহ করে দিতে হবে। যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে তার গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর
কাছে দোয়া করা শর্ত নয়, তবে কেউ করলে
তা অবশ্যই উত্তম বলে বিবেচিত হবে। হ্যা, সর্বদা আল্লাহর কাছে
ক্ষমা চাইতে হবে।