بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
আমাদের অজানা নয় যে, গভীর ভালোবাসা ও প্রেমের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে
জান, কলিজা, পাখি ইত্যাদি জাতীয় শব্দগুলো
ব্যবহার করা হয়। সুতরাং স্ত্রীর উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহারে কোন অসুবিধা নেই ইনশাআল্লাহ।
অনুরূপভাবে যে সকল নাম, শব্দ বা প্রশংসা মূলক বাক্য শুনলে স্ত্রী
খুশি হয় তার উদ্দেশ্যে সেগুলো ব্যবহার করতেও কোন আপত্তি নাই বরং উত্তম যদি তাতে শরিয়া
বিরোধী কোনও কিছু না থাকে।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আম্মাজান আয়েশা রা.
কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে সম্বোধন করতেন। হাদিসে এমন মোট ৬টি নাম/উপনাম পাওয়া যায়
যেগুলো ব্যবহার করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মা আয়েশা রা. কে সম্বোধন করেছেন।
যেমন:
১) আয়েশ (আয়শাহ থেকে শ এর পর আকার
অতঃপর হ অক্ষর বিলুপ্ত করে সংক্ষেপে আয়েশ)। ২) হুমায়রা (লাল রঙ্গের পাখি বিশেষ)। ৩)
ইবনাতুস সিদ্দিক/বিনতুস সিদ্দিক (সিদ্দিক এর মেয়ে)। ৪) ইবনাতু আবি বকর/বিনতে আবি বকর
(আবু বকরের মেয়ে)। ৫) মুওয়াফফাকাহ (আল্লাহর পক্ষ থেকে তওফিক প্রাপ্তা)। ৬) উম্মে আব্দুল্লাহ
(আব্দুল্লাহর মা-যদিও তার কোন সন্তান ছিলো না)।
নি:সন্দেহে প্রেম পূর্ণ ও
আদর মাখা সম্বোধন দাম্পত্য জীবনে ভালবাসা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এবং স্ত্রীর সাথে ‘সুন্দর
আচরণ ও সদ্ভাবে জীবন-যাপন’ এর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেন,وَعَاشِرُوهُنَّ
بِالْمَعْرُوفِ“আর
তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর।” (সূরা নিসা: ১৯) (সংগৃহীত)
★★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই / বোন!
স্বামী স্ত্রী পূর্ণ ভালোবাসার
সাথে একে অপরকে বিভিন্ন শব্দে মুহাব্বত করে ডাকতে পারবে। তবে শর্ত হলো শব্দগুলি যেন
শিরক বা কুফরের সমর্থক না হয়।
প্রশ্নেল্লিখিত শব্দগুলি যদি
একে অপরকে ভালোবাসার সাথে বলে এবং এতে কাউকে কষ্ট দেওয়া উদ্দেশ্য না হয় তাহলে তা নাজায়েজ
হবে না তবে অনুত্তম। বরং উত্তম হলো এজাতীয় শব্দের চেয়ে সুন্দর ও রুচিশীল শব্দ দ্বারা
একে অপরকে ডাকা, যা পারস্পরিক
সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে ইনশাআল্লাহ।