আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (24 points)

১. আমি গত কাল একটি প্রশ্ন করেছিলাম  যে  একটি স্থানে আমার কসর হবে কি না , আমি অনেক আগে  একজনকে জিগ্যাসা করেছিলাম উনি বলেছিলেন যে ্ এই খানে কসর করা যাবে না । তো আমি তো এতো দিন যে এখানে মাঝে মাঝে যেতাম কসর  না পরে পুরো নামাজ পরতাম , এখন আমার এই নামাজ গুলো নিয়ে কি কবনীয়? কিভাবে কি করবো?আমি সংখ্যা ওতো আন্তাজে আনতে পারছি না আর কাজা করা লাগলে তা কি কসরেই আদায় করব

২. আমাদের সমাজে মানুষ প্রায়ই একজন অপরজনকে কুফা/অলক্ষী ইত্যাদি বলে এরা জানে যে এগুলো কুসংস্কার ,বা ইসলাম সমর্থন করে না তও বলে । এরুপ কাজের জন্য কি তাদের ইমান চলে যাবে?এই কাজ কি শিরক?হলে ছোট না বড়?

৩. ছোট শিরক গুলো যদি কেও জানার পরেও করে ফেলে সে কি কাফের হয়ে যায়? 

৪. আমার বউ বলে  আমাকে কোনো কাজের কথা আগাম বললে তার সেই কাজ করা হয় না সে নাকি এটা সব সময় খেয়াল করে । তো যার ফলে মাঝে মাঝে আমাকে কুফা বলে । আমি তাকে বলি েএগুলো তো কুসংস্কাার , তাও আমাকে বলার পরে কোনো কাজ করতে না পারলেই কুফা বলে । আজকে আমাকে আবার বলে আমি কুফা । তার পরে আমি তাকে এটা লিখে সেন্ড করি “এমন বলা অমুসলিমদের সাথে সাদৃশ্য হওয়ায় জায়েজ নেই। তবে আকীদা ঠিক থাকলে এতে শিরক হবেনা। কাউকে কুফা মনে করা জায়েজ নয়।এক্ষেত্রে অনেকেই শিরক হবে বলেছেন। তবে এতে বড় শিরক হবেনা” পরে সে বলে আর বলবে না তাকে বলি যে তো জানে কুসংস্কার ও ইসলাম বিরোধী তাও কেনো বলো? সে বলে এমনিই বলি আরকি ...এর ফলে কি তার কুফর হবে?

৫ কৃফা বলা কি শিরক? আমাব বউকে জিগ্যাসা করিনাই যে সে এগুলো  বলা শিরক জেনে আমাকে বলতো কি না..তাকে কি এই বিষয়ে জিগ্যাসা করা জরুর ী?

৬. সুন্দর ভালোবাসে এমন বিবেচনায় কেও যদি তার নিজেকে সুন্দরের পুজারী বলে তবে কি ি গুনাহ হয়?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আয়েশা রাযি. বলেন,

فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ

মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)

শরীয়তের বিধান মতে মুসাফিরের জন্য যোহর আসর ও ইশার ফরয নামায দুই রাকাত পড়া  (কসর) ওয়াজিব;  চার রাকাত (পূর্ণ পড়া) নাজায়েয,এতে সে গুনাহগার হবে । কারণ মুসাফিরের নামাযের বিধান হল কসর।

তবে যদি ভুলে ৪ রাকাত পড়ে ফেলে তাহলে ২ রাকাত পড়ে যদি বৈঠক করে থাকে তাহলে প্রথম ২ রাকাত ফরয হবে, আর বাকি ২ রাকাত নফল হিসেবে ধর্তব্য হবে। কিন্তু সালাম ফিরাতে দেরী হওয়ায় সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 
(মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ২/৫৪১)

যদি নামাযের শেষে সেজদায়ে সাহু দেয়, তাহলে নামায হয়ে যাবে,(মাকরুহের সহিত)। আর যদি সেজদায়ে সাহু না দেয়, তাহলে নামায পুনরায় পড়তে হবে।
যদি ২ রাকাতের পর বৈঠক না করে থাকে, তাহলে নামায হয় নি, নামাযটি পূণরায় পড়তে হবে।
(মারাকিল ফালাহ ২৩১; শরহুল মুনইয়াহ ৫৩৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/১২৮)

وأما الثالث․․․ فہو تغییر بعض الأحکام فذکر المصنف منہا قصر الصلاة والمراد وجوب قصرہا حتی لو أتمّ فإنہ آثم وعاصٍ؛ لأن الفرض عندنا من ذوات الأربع رکعتان في حقہ لا غیر إلخ (۲/ ۲۲۹، ط: زکریا)
যদি মুসাফির পুরো নামাজ পড়ে,তাহল সে গুনাহগার হবে,,,,,,।

فلو أتمّ وقعد في الثانیة صحّ وإلا فلا أي وإن لم یقعد علی رأس الرکعتین لم یصحّ فرضہ الخ (البحر الرائق، ۲/۲۳۰، ط: زکریا)
যদি কেহ চার রাকাত নামাজই পড়ে নেয়,২য় রাকাতে বৈঠক করে,তাহলে নামাজ ছহীহ হয়ে যাবে।
অন্যথায় নামাজ ছহীহ হবেনা,,,,,।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত সালাত গুলোর ক্ষেত্রে আপনি যদি ২য় রাকাত গুলোতে বৈঠক করে থাকেন,তাহলে সেই সালাত গুলির কাজা আদায় করতে হবেনা।

আর যদি উল্লেখিত সালাত গুলোর ক্ষেত্রে ২য় রাকাত গুলোতে বৈঠক না করে থাকেন,তাহলে সেই সালাত গুলির কাজা আদায় করতে হবে।

(২-৬)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...