আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (22 points)
আসসালামুয়ালাইকুম, প্লিজ আমাকে সাহায্য করবেন। আমি একটা জবের জন্য ও একদিন আগে পোস্ট করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ উত্তর পেয়েছি। আমি জবটা আজকে ছেড়ে দিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু যেই আপু ঔনার উনি আমাকে বলেছেন কণ্ঠের পর্দার দলিল দিতে।কারণ তার মতে আমি যেভাবে কণ্ঠের পর্দা করছি এটা বিদআত আর ভুল আকিদা। আমি আল্লাহ এবং রাসূল যা বলেছেন তার থেকে বাইরে গিয়ে পর্দা করছি।তাই তিনি দলিল চাচ্ছেন।তাই আমার দলিল লাগবে।

আমি বলে নিই , আমি পারত পক্ষে পুরুষের সাথে কথা বলি না।

 কোনো গ্ৰুপে পুরুষ আছেন এমন জায়গায় অপ্রয়োজনে মেসেজ ও করি না (What's app, messenger etc).
বাসায় ও গায়রে মাহরাম আসলে কথা বলি না কিছু লাগলে ইশারা দেই, তালি দিয়ে আব্বু বা আম্মুকে ডাক দিই।

নরমালি দোকানে যাই না কিন্তু দোকানে গেলেও কাগজে লিখে দিই।

ভার্সিটিতেও কোনো ছেলের সাথে গত ২ বছরেও কথা হয় নি আলহামদুলিল্লাহ।

প্রেজেন্টেশন ও দিই আলাদা করে।কারণ কণ্ঠের পর্দার বিষয় থাকে এজন্য। আর পুরুষ টিচারকে অতি প্রয়োজনে মেসেজ করি বা যদি মেসেজ করার সময় না থাকে তখন কল দিয়ে প্রয়োজনীয় কথা বলে নিই কোমলীয়তা পরিহার করে (যেমন যেহেতু আমি কণ্ঠের পর্দা করি তাই আমি চাই আমার প্রেজেন্টেশনটুকু শুধু মাত্র আপনি শুনবেন অন্য কোনো পুরুষ থাকলে আমার তাকোওয়া চলে যেতে পারে তাই শুধু আপনি মেয়েরা থাকবেন)।

আর আত্মীয় গায়রে মাহরাম থেকে কিছু লাগলে তাদের মাহরামদের মাধ্যমে চেয়ে নিই। বাইরে গেলেও আস্তে কথা বলার চেষ্টা করি।


এখন জবের ক্ষেত্রে what's app e একটা গ্ৰুপ ছিলো ঐখানে একজন হাফেজ ছেলের ছিলো । তো আমাকে ঐখানে আপডেট দিতে হবে প্রতিটা কাজের। প্রয়োজনে তার সাথে গ্ৰুপেই মেসেজ করতে হবে। আমি বলেছি এতগুলো মেয়ে আছেন, আমার ট্রেইনারের কাছে কাজের আপডেট দিলেই তো হয়ে যায়। তারা মানেন নি। আমি বলেছি তাহলে আমিও আমার তাকওয়া বাদ দিতে পারবো না। then I left the job. The owner was so reputed person. So she asked me the dalil about modestly of  voice.


প্লিজ আমাকে সঠিক দলিল দিয়ে সাহায্য করুন।একি সাথে উনাকে কীভাবে আমার তাকওয়ার বিষয়টি বুঝাতে পারি একটু জানাবেন। এটা যে তাকোওয়া বরং বিদাত কিংবা ভুল আকিদা না এটা কীভাবে বুঝাবো?আমি যদি সঠিক দলিল এবং যুক্তি দিয়ে বুঝাতে না পারি তবে অনেক বড় একটা ভুল উনার মধ্যেও থাকবে আবার উনি যেহেতু অনেক renowned  একজন মানুষ তাই ভবিষ্যতে আমার উদাহরণ টেনে ভুল টাও মানুষকে বলতে শিখাতে পারেন। দয়া করে একটু সময় নিয়ে আমাকে সাহায্য করবেন। মঙ্গলবার আমার মিটিং আছে ঐখানেই বলতে হবে।

নীচে আমি লিংক দিচ্ছি একটু এটাও দেখবেন।


https://drive.google.com/file/d/1GbP_0NAPJGJaCavCX1M9fyC3mKyl_xUG/view?usp=drivesdk

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ    

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

লক্ষণীয় বিষয় হল, কন্ঠস্বরের কোমলতা পরিহারের নির্দেশ সরাসরি নবীযুগের নারীদেরকে দেয়া হয়েছে।
সুতরাং আমাদের যুগের মহিলাদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
,
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ;১৯/১৯৩ এ নারীদের আওয়াজ সতরের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার (মারজুহ) রেওয়াতকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অগ্রাধিকার দিয়ে বলা হয়েছে যে,পর-পুরুষের সামনে মহিলা বক্তৃতা দিতে পারবে না।বক্তৃতা প্রদান জায়েয হবে না।

মহিলাদের কণ্ঠ সতরের অন্তর্ভুক্ত কিনা,এই ব্যপারে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
গ্রহনযোগ্য মতানুসারে যেহেতু মহিলাদের কন্ঠও সতরের অন্তর্ভুক্ত,আর বর্তমান যেহেতু ফিতনার যামানা।
তাই এই মতটির উপরেই ফতোয়া প্রদান করা হয়।
,
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত দলিল জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে কোনো বেগানা নারীর সাথে কথা বলা নিষেধ।
গায়রে মাহরাম আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে প্রয়োজনে কথা বলতে হলে পর্দার আড়ালে থেকে বলার অনুমোদন রয়েছে। 
এক্ষেত্রে শরীয়াহ গন্ডির আওতায় থেকে কথা বলতে হবে,অপ্রয়োজনীয় কথা বলা যাবেনা।
ফিতনার আশংকা থাকলে জরুরী কথাও বলা যাবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার উল্লেখিত জবের ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা ছিলো।
সব চেয়ে বড় সমস্যা যেটা ছিলো,তাহা হলো উক্ত মেয়ের আইডি থেকে অনেকের সাথে মেসেজ করা,যেখানে পুরুষের সাথেও মেসেজ করতে হবে,আর তার প্রোফাইলে তার চেহারা খোলা ছবি দেয়া আছে।

কিছু মেয়েদের কাছে তার ছবি পাঠাতে হতো,সেক্ষেত্রে আশংকা থাকে যে সেই ছবি গুলো পুরুষ কেহ দেখতে পারে,এই আশংকা কে পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়া যায়না।

সর্বপরি সেই ছেলের সাথে অনলাইনে সরাসরি কথা বলতে হবে,সুতরাং সব দিক বিবেচনা করে আপনার জন্য উক্ত জব ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...