আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
reopened by
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللّٰه وَبَرَكَاتُهُ

আমার বাচ্চার নাম হামযাহ্ বিন শাহাদাত। হামযাহ্ শব্দের অর্থ সিংহ, তবে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচার নাম ছিলো এটার কারণেই রাখা। এটা নাকি অনেক গরম নাম? আমার বাচ্চার মাথাটা সবসময় অনেক গরম থাকে,জ্বর এ যেমনটা গরম থাকে তেমনটা। আর প্রত্যেক মাসে বা এক মাস পর পর ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবাই বলছে নামের প্রভাব, আসলেই কি তাই? বাবু শান্ত স্বভাব এর,কিন্তু রাগ উঠলে চেহারা লাল হয়ে যায়,আর মেজাজী হয়ে যায় খুব।

1 Answer

+1 vote
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মানসিকতা ও স্বভাবের উপর নামের একটা প্রভাব থাকে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

أَخْبَرَنِي عَبْدُ الحَمِيدِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ، قَالَ: جَلَسْتُ إِلَى سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، فَحَدّثَنِي: أَنّ جَدّهُ حَزْنًا قَدِمَ عَلَى النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ فَقَالَ: مَا اسْمُكَ؟ قَالَ: اسْمِي حَزْنٌ، قَالَ: بَلْ أَنْتَ سَهْلٌ. قَالَ: مَا أَنَا بِمُغَيِّرٍ اسْمًا سَمّانِيهِ أَبِي قَالَ ابْنُ المُسَيِّبِ: فَمَا زَالَتْ فِينَا الحُزُونَةُ بَعْدُ.

আবদুল হুমাইদ বিন শায়বা বলেন, আমি হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিবের কাছে বসা ছিলাম। তিনি তখন বললেন, আমার দাদা ‘হাযান’ একবার নবীজীর দরবারে উপস্থিত হলেন। নবীজী তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কী? দাদা বললেন, আমার নাম হাযান। (হাযান অর্থ শক্তভূমি) নবীজী বললেন- না, তুমি হচ্ছ ‘সাহল’ (অর্থাৎ তোমার নাম হাযানের পরিবর্তে সাহল রাখো; সাহল অর্থ, নরম জমিন।) দাদা বললেন, আমার বাবা আমার যে নাম রেখেছেন আমি তা পরিবর্তন করব না। সাইদ ইবনুল মুসায়্যিব বলেন, এর ফল এই হল যে, এরপর থেকে আমাদের বংশের লোকদের মেযাজে রুঢ়তা ও কর্কশভাব রয়ে গেল। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬১৯৩

নামের একটি প্রভাব সন্তানের উপর পড়ে,তাই রাসুলুল্লাহ সাঃ কোনো নামের অর্থ মন্দ দেখলে সেই নাম পরিবর্তন করে দিতেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

«وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - أَنَّ بِنْتًا كَانَتْ لِعُمَرَ يُقَالُ لَهَا: عَاصِيَةُ فَسَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - جَمِيلَةً» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর কন্যাকে ‘আসিয়াহ্ বলা হত। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নাম পরিবর্তন করে রাখলেন ‘‘জামীলাহ্’’।সহীহ : মুসলিম ১৫-(২১৩৯), ইবনু মাজাহ ৩১৩৩, 

«وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: أُتِيَ بِالْمُنْذِرِ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ وُلِدَ، فَوَضَعَهُ عَلَى فَخِذِهِ فَقَالَ: " مَا اسْمُهُ؟ " قَالَ: فُلَانٌ. قَالَ: " لَا، لَكِنِ اسْمُهُ الْمُنْذِرُ» مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ.

সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুনযির ইবনু আবূ উসায়দ যখন ভূমিষ্ঠ হলো, তখন তাঁকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আনা হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে নিজের রানের উপর রাখলেন এবং জিজ্ঞেস করলেনঃ তাঁর নাম কী? উত্তরদাতা বলল : ‘‘অমুক’’। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ‘‘না’’; বরং তাঁর নাম ‘‘মুনযির’’।সহীহ : বুখারী ৬১৯১, মুসলিম ২৯-(২১৪৯), তিরমিযী ২৩৮, ইবনু মাজাহ ২৭৫,

আরো জানুনঃ- 

হামযাহ নামের অর্থ হচ্ছে সিংহ,উপযুক্ত, কর্মদক্ষ। 

حَمَزَ [ض] (حَمْز)
[হামাযা] শব্দের অর্থঃ-
ঝাঁজালো হওয়া
(জিহবায়) ঝাঁজ লাগা
তিতা লাগা

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার সন্তানের রাগ উঠলে চেহারা লাল হয়ে যায়,আর মেজাজী হয়ে যায় খুব,এক্ষেত্রে নামের প্রভাব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে "সব সময় জ্বর আসার ন্যায় মাথা গরম থাকা প্রত্যেক মাসে বা এক মাস পর পর ও অসুস্থ হয়ে পড়া" এগুলোর ক্ষেত্রে উক্ত নামের প্রভাব নেই।

এক্ষেত্রে চিকিৎসা জরুরি। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
edited by
আমি নামটা পরিবর্তন করে আবিদ (আবিদ বিন শাহাদাত)  রাখতে চাচ্ছি। আবিদ অর্থ ইবাদতকারী। এটা ঠিক হবে?
 আর ওর বাবা নেই, বাবু হওয়ার ৫ মাস আগেই তিনি আল্লাহর মেহমান হয়ে গিয়েছেন। তাই নাম রাখা নিয়ে ওর দাদা,চাচা,ফুফিরা বেশি বলছেন। আমি মা যেহেতু আমি পছন্দ করে রাখলে সমস্যা হবে কি? নাকি ওনারা নাম রাখার ক্ষেত্রে হক্বদার বেশি? 
by (559,140 points)
এটা ঠিক হবে।
সমস্যা নেই।
by (5 points)
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللّٰه وَبَرَكَاتُهُ
নাম পরিবর্তন করলে আবার কি আকিকা দেওয়া লাগবে? বাবুর আকিকা দেওয়া হয়েছে ১৪ দিনেই আলহামদুলিল্লাহ। 
جَزَاكِ اللَّهُ خَيْرًا كَثِيْرًا
by (559,140 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

নাম পরিবর্তন করলে এক্ষেত্রে পুনরায় আকীকা দিতে হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...