আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
edited by
উস্তায , এমন  কারোর ব্যাপারে যদি গীবত হয়ে যায় বা অন্যের করা গীবত কানে আসার মাধ্যমে গুনাহ হয়ে যায়, যার ব্যাপারে গীবত করা হয়েছে সে দুনিয়াতে নেই বা তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব নয় কোনোভাবেই অথবা কোনো এই জামানার বিখ্যাত ব্যক্তি যার সাথে যোগাযোগ সম্ভব নয় বা এমন কেউ যার সাথে যোগাযোগ করতে গেলে অপমানিত হতে হবে অথবা তার সাথে সম্পর্ক ভালো নয় তাই যোগাযোগ করে ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করতে গেলে ঝামেলার সৃষ্টি হবে বা বিপদ আশঙ্কা করতে হবে । সেক্ষেত্রে করণীয় কী? একই শর্তাবলীর ব্যক্তির যদি হক্ব নষ্ট করা হয়, সেক্ষেত্র করণীয় কী?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهٗ تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ".

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গীবতের কাফফারাহ্ হলো, গীবতকারী যার গীবত করেছে, তার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো।
(আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর লিল বায়হাক্বী ৪৭৮,মেশকাত ৪৮৭৭)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় এসেছেঃ

(إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ) গীবতের কাফফারার মধ্য হতে এটি একটি। অর্থাৎ যথাযথভাবে তাওবাহ্ করার পর গীবতের কাফফারার মধ্যে একটি হচ্ছে :

(أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهٗ) তুমি যার গীবত করেছ তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে।

(تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ) এ কথা বলে, হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে ও তাকে ক্ষমা করে দাও। (এখানে বহুবচন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যদি গীবতকারী দলবদ্ধ জামা‘আত হয়, সেদিকে লক্ষ্য করে অথবা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি লক্ষ্য করে)

হাদীসের আলোকে প্রতীয়মান হয় যে, এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা তখন হবে যখন গীবত তার নিকট না পৌঁছে। যদি গীবত তার কাছে পৌঁছে থাকে তাহলে অবশ্যই তার নিকট থেকে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি নিতে হবে এভাবে : তার নিকট গিয়ে উক্ত কথা উল্লেখ করে ক্ষমা চাইবে। যদি তা করা সম্ভব না হয়, তাহলে প্রতিজ্ঞা করবে যে, যখনই তাকে পাবে তার নিকট গিয়ে ক্ষমা চাইবে। যদি সে ক্ষমা করে দেয় তাহলেই তার ওপর থেকে দায়িত্বমুক্ত হবে। আর যদি এ সমস্ত কাজ করতে অপারগ হয় গীবতকৃত ব্যক্তির মারা যাওয়ার কারণে বা তার অনুপস্থিতির কারণে সেক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং তার অনুগ্রহ ও দয়া কামনা করবে এবং প্রতিপক্ষকে নিজ দয়ায় যেন সন্তুষ্ট করে দেন সেই প্রার্থনা করবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি এভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেনঃ-
হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করে দাও।

এমন কেউ যার সাথে যোগাযোগ করতে গেলে অপমানিত হতে হবে অথবা তার সাথে সম্পর্ক ভালো নয় তাই যোগাযোগ করে ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করতে গেলে ঝামেলার সৃষ্টি হবে বা বিপদ আশঙ্কা করতে হবে । সেক্ষেত্রে তার কাছে গিয়ে গীবতের কথা উল্লেখ না করে এমনিতেই সাধারণ ভাবে ক্ষমা চাইবেন।
যে আমার দ্বারা কোনো ভূল হলে আপনি মাফ করে দিয়েন।

তবে এমনটি বলাও সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত পন্থায় আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।

★একই শর্তাবলীর ব্যক্তির যদি আর্থিক হক্ব ছাড়া অন্য কোনো হক্ব নষ্ট করা হয়, সেক্ষেত্রেও করণীয় করনীয় একই থাকবে।

হ্যাঁ, যদি আর্থিক হক্ব নষ্ট করা হয়,সেক্ষেত্রে সে জীবিত না থাকলে তার ওয়ারিশদের নিকট উক্ত টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। আর জীবিত থাকলে তার মোবাইলে ফ্ল্যাক্সিলোডের মাধ্যমে/বিকাশ নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে/অথবা তার ব্যাংক একাউন্টে অথবা অন্য কোনো পন্থায় তার টাকা তার কাছে পাঠাতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...