আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আমার ননদ কিছু দিন আগে ইন্দোনেশিয়ায় বালি তে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে আসার পর থেকেই সে রাতে অনেক আজব আজব আচরন করে। রাতে হঠাৎ চিতকার দিয়ে ঘুম ভেঙে যাওয়া। গভীর রাতে কান্নাকাটি করা। স্বপ্নে নানা ভয়ানক জিনিস দেখা, ঘুম থেকে উঠে সারা শরীরে ব্যথা অনুভব করা আরও নানান জিনিস। বাসার সবার সাথেও টুকটাক এসব হত। একদিন আমি চোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিলাম। তখন মনে হলো কেউ যেন, দরজা খুলে রুমে প্রবেশ করেছে। পরক্ষনেই মনে হলো, আমার কানে জোড়ে ফু দিয়েছে। চোখ খুলে দেখি কেউ নেই। এরকম আরও অনেক ভয়ানক জিনিস হয় বাসার সবার সাথে। এখন আমরা হুজুর এনে বাড়ি বন্ধ করিয়েছি৷ হুজুর বাসার বিভিন্ন দরজায়  আরবি তে কি কি যেন লিখে অনেক কিছু লাগিয়ে দিয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এটা ইসলামে জায়েজ আছে  কিনা?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনার ববাবাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন- http://ifatwa.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআন বিভিন্ন আয়াত ও হাদীসে বর্ণিত বিভিন্ন দু'আ পড়াই এজন্য মূল চিকিৎসা। হ্যা, যারা পড়তে জানেননা, বিশুদ্ধভাবে পড়া যাদের জন্য সম্ভব হয় না, তাদের জন্য পীর মাশায়েখগণ এই বাড়ি বন্ধের তদবির করে থাকেন। যিনি করবেন, এবং যার বাড়ীতে করা হচ্ছে, তাদের সবার আকিদা বিশ্বাস যদি এমন হয় যে, এগুলোর নিজস্ব কোনো পাওয়ার নেই, বরং সবকিছুই আল্লাহর হুকুমে হয়ে থাকে, তাহলে বাড়ী বন্ধের এই পদ্ধতিটি রুখসতযোগ্য হবে। তথা এর অনুমোদন থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।:

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...