بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/604 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .
ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী
উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন। (মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০)
ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ
প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয। অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম। তবে ঘুষ গ্রহণ করা
সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।
প্রয়োজনে ঘুষ দেয়া জায়েয।এ
বিষয়ের উপর উলামায়ে কেরাম নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করে থাকেন। হযরত উমর ইবনে
খাত্তাব রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ
ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇِﻥَّ ﺃَﺣَﺪَﻫُﻢْ ﻟَﻴَﺴْﺄَﻟُﻨِﻲ
ﺍﻟْﻤَﺴْﺄَﻟَﺔَ ﻓَﺄُﻋْﻄِﻴﻬَﺎ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻓَﻴَﺨْﺮُﺝُ ﺑِﻬَﺎ ﻣُﺘَﺄَﺑِّﻄُﻬَﺎ ، ﻭَﻣَﺎ ﻫِﻲَ
ﻟَﻬُﻢْ ﺇِﻻ ﻧَﺎﺭٌ ، ﻗَﺎﻝَ ﻋُﻤَﺮُ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻓَﻠِﻢَ ﺗُﻌْﻄِﻴﻬِﻢْ ؟ ﻗَﺎﻝَ
: ﺇِﻧَّﻬُﻢْ ﻳَﺄْﺑَﻮْﻥَ ﺇِﻻ ﺃَﻥْ ﻳَﺴْﺄَﻟُﻮﻧِﻲ ، ﻭَﻳَﺄْﺑَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻲ ﺍﻟْﺒُﺨْﻞَ
)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার কাছে যাকাতের মাল
থেকে কিছু দেওয়ার জন্য সুওয়াল করে।অতঃপর আমি তাকে কিছু দিয়ে দেই।তথা তার সুওয়াল আমার
কাছ থেকে কিছু নিয়ে নেয়।তবে এই গ্রহণকৃত জিনিষ তাদের জন্য আগুনের মত।তখন উমর রাযি বললেন,
হে রাসূলুল্লাহ! তাহলে আপনি কেন দেন?তারা আমারকে
লেপ্টে ধরেছে।অথচ আল্লাহ আমাকে কৃপণতা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছন। (মুসনাদে আহমদ-১০৭৩৯)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি
ভাই/বোন!
আপনার যোগ্যতা থাকার পরও যদি টাকা না দেওয়াতে আপনি পিছিয়ে পড়বেন
বা ফেল করবেন বলে মনে হয় তাহলে আপনার জন্য নিরুপায়
অবস্থায় ইস্তেগফারের সাথে প্রয়োজনে ঘুষ দিয়ে হলেও প্রাক্টিকেল
মার্কস গ্রহণ জায়েয হবে। তবে আপনার জন্য উচিত উক্ত কথাটির সত্যতা যাচাই করা।
যদি বাস্তবতাও তাই হয় যা আপনি শুনেছেন তাহলে তা জায়েয। অন্যথায় তা জায়েয হবে না।