بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
خُذُوا
عَنِّي، فَقَدْ جَعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا، الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ،
وَالْبِكْرُ بِالْبِكْرِ، الثَّيِّبُ جَلْدُ مِائَةٍ، ثُمَّ رَجْمٌ
بِالْحِجَارَةِ، وَالْبِكْرُ جَلْدُ مِائَةٍ، ثُمَّ نَفْيُ سَنَةٍ»
তোমরা আমার নিকট থেকে জেনে
নাও যে, আল্লাহ
তাআলা ব্যভিচারীদের ব্যাপারে পন্থা বাতলে দিয়েছেন। বিবাহিত পুরুষ বিবাহিত নারীর সঙ্গে
ব্যভিচার করলে এবং অবিবাহিত পুরুষ অবিবাহিতা নারীর সঙ্গে ব্যভিচার করলে তাদেরকে শাস্তি
দেয়া হবে। (সুতরাং শাস্তি হল যে,) বিবাহিতকে একশ’ বেত্রাঘাত করা হবে অতঃপর প্রস্তর নিক্ষেপ করে
হত্যা করা হবে। আর অবিবাহিতকে একশ’ বেত্রাঘাত করা হবে অতঃপর এক বছরের জন্য দেশান্তর
করা হবে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস
নং-১৬৯০]
عَبْدَ
اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ جَالِسٌ
عَلَى مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ
مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ فَكَانَ
مِمَّا أُنْزِلَ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ قَرَأْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا
وَعَقَلْنَاهَا فَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ
فَأَخْشَى إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ مَا نَجِدُ
الرَّجْمَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ أَنْزَلَهَا
اللَّهُ وَإِنَّ الرَّجْمَ فِي كِتَابِ اللَّهِ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا
أَحْصَنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ إِذَا قَامَتِ الْبَيِّنَةُ أَوْ كَانَ
الْحَبَلُ أَوْ الاِعْتِرَافُ
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমার
ইবনু খাত্তাব (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মিম্বারের উপর বসা
অবস্থায় বলেছেন, নিশ্চয়
আল্লাহ তাআলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সত্য ধর্ম সহকারে প্রেরণ
করেছেন এবং তার উপর কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহর নাযিলকৃত বিষয়ের মধ্যে آيَةُ الرَّجْمِ (ব্যাভিচারের
জন্য পাথর নিক্ষেপের আয়াত) রয়েছে। তা আমরা পাঠ করেছি,
স্মরণ রেখেছি এবং হৃদয়ঙ্গম করেছি। আর রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ব্যাভিচারের জন্য) রজম (এর হুকুম বাস্তবায়িত) করেছি।
আমি ভয় করছি যে, দীর্ঘ
দিন অতিবাহিত হওয়ার পর কেউ একথা হয়তো বলবে যে, আমরা আল্লাহর কিতাবে (ব্যভিচারের শাস্তি) রজমের নির্দেশ
পাচ্ছিনা। তখন আল্লাহ কর্তৃক নাযিলকৃত এই ফরয কাজটি পরিত্যাগ করে তারা মানুষদেরকে পথভ্রষ্ট
করে ফেলবে। নিশ্চই আল্লাহর কিতাবে বিবাহিত নর-নারীর ব্যাভিচারের শাস্তি رجم (পাথর নিক্ষেপ
করে হত্যা) এর হুকুম বাস্তব বিষয়। যখন সাক্ষ্য দ্বারা তা প্রমাণিত হয়,
কিংবা গর্ভ প্রকাশ পায়,
অথবা (সে নিজে) স্বীকার করে। [সহীহ মুসলিম,
হাদীস নং-১৬৯১,
ইফাবা-৪২৭১]
হযরত আবু হুরাইরা রাঃ থেকে
বর্ণীত একটি হাদীসে
سعد بن عبادة
قال لرسول الله صلى الله عليه وسلم: يا رسول الله، أرأيت إن وجدت مع امرأتي رجلا،
أمهل حتى آتي بأربعة شهداء؟ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “نعم”
হযরত সা’দ ইবনে উবাদাহ রাঃ
রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন , হে আল্লাহর রাসূল সাঃ আমি যদি আমার স্ত্রীর সাথে কাউকে দেখি
তাহলে আমি কি চারজন সাক্ষী উপস্থিত করা পর্যন্ত ছেড়ে দিব?
উত্তরে রাসূল সাঃ বললেন : হা। শায়েখ শুয়াইব
আরনাউত বলেন; হাদীসের
সনদটি সহীহ। ((সহী ইবনে হিব্বান , তাহকীক, শুয়াইব আরনাউত, হাদীস নং ৪৪০৯। ” মুসলিম,
আস-সহীহ,
হাদীস নং ১৪৯৮।))
শাস্তি বা দন্ডবিধি কার্যকর
করবে শাসক বা প্রশাসন। যে কেউ যখন তখন যেখানে ইচ্ছা এই বিধান কার্যকর করলে একটি দেশের
প্রশাসনিক অবকাঠামোই শুধু নষ্ট হবে না বরং সুষ্ঠু সমাজের সার্বিক সুখ ও শান্তি হুমকির
সম্মুখীন হবে। ফলে হদ্দ বা শাস্তির মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য ব্যহত হবে। কারণ অপরাধীকে শাস্তি
দেয়া হলে অন্যরা এ থেকে শিক্ষা নেবে এবং অপরাধ সমূলে উৎপাটন হবে। অবশেষে শাস্তির মূল
উদ্দেশ্য শান্তি, শৃখংলা
ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হবে।
★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হদ তথা শরয়ী দন্ডবিধি কার্যকর করা তাওবাহ
কবুল হওয়ার কোনো শর্ত নয়। গোনাহকে লুকিয়ে রাখাই মুস্তাহাব। খালিছ নিয়তে তাওবাহ করা
হদ কায়েমের জন্য গোনাহ স্বীকার করার চেয়ে উত্তম।
খালিছ নিয়তে তাওবাহ করলে আল্লাহ তা'আলা অতীতের সকল প্রকার গোনাহ সমূহকেও নেকি দ্বারা পরিবর্তন
করে দেন।
সুতরাং অতীতের গোনাহের জন্য
তারা উভয়ে তাওবা করে নিবেন এবং উক্ত গুনাহের কথা গোপন
করবেন। যিনি দেখেছেন তিনিও যেন কারো কাছে প্রকাশ না করেন। এদ্বারাই আল্লাহ
তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/7936/