জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সন্তানদেরকে ইসলামী সভ্যতা (তাহযীব) শেখানো, দ্বীন ও শরীয়তের মৌলিক বিষয়াদি শেখানো এবং একজন দ্বীনদার-নামাযী ও প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাও মা-বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
হাদীস শরীফে এসেছে- ‘জেনে রেখ, তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। পুরুষ তার পরিবারবর্গের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। তাদের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।’ -সহীহ বুখারী ১/২২২ হাদীস ৮৯৩
সুসন্তান যেমন মা-বাবার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের বড় সম্পদ এবং সদকা জারিয়া তেমনি সন্তান যদি দ্বীন ও শরীয়তের অনুগত না থাকে, দুর্নীতি ও গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায় তাহলে সে উভয় জগতেই মা-বাবার জন্য বিপদ। দুনিয়াতে লাঞ্ছনা, বঞ্চনা ও পেরেশানির কারণ।
আর কবরে থেকেও মা-বাবা তার গুনাহর ফল ভোগ করতে থাকবে। আখিরাতে এই আদরের দুলালই আল্লাহ তাআলার দরবারে মা-বাবার বিরুদ্ধে আপিল করবে যে, তারা আমাকে দ্বীন শেখায়নি। তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। তাই এই আমানতের হক আদায়ের প্রতি খুবই যত্নবান হতে হবে।
সুতরাং আপনি যদি আপ্রান চেষ্টা করেন দ্বীনের পথা চলানোর জন্য,তারপরেও সন্তান না শোনে,তাহলে পিতামাতার কোনো গুনাহ হবেনা
কবরে গিয়ে তারা গুনাহের ভাগিদার হবেনা।
কুরআন শরীফে এসেছেঃ
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۚ
আল্লাহ তায়ালা কাহারো গুনাহের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেননা।
(সুরা ফাতির ১৮)
,
(০১)
সন্তান মন্দ কাজ করলে সেই মন্দ কাজের একটা অংশ বাবা মা কবরে শুয়েও পেতে থাকবে।
হ্যাঁ যদি তারা তাকে দ্বীন শেখায়,দ্বীনের পথে আনার আপ্রান চেষ্টা করে থাকে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
পিতা মাতা তার গুনাহ কবরে শুয়ে পাবেনা।
,
(০২)
যদি বাচ্চা কে দুনিয়াতে চেষ্টা করে যায় মা বাবা,দ্বীনের শিক্ষা দেয়,ভালো লোকদের সাথে উঠাবসা করার সুযোগ করে দেয়,মসজিদ মাদ্রাসা,দাওয়াত ও তাবলিগ ইত্যাদি সব দিক দিয়েই চেষ্টা করে,যাতে আল্লাহর পথে চলে কিন্তু সন্তান না শুনে বা নিজের মতন চলে।
এতে মা বাবা গুনাহগার হবেনা কিংবা মৃত্যুর পর এর ভাগ পাবেনা।