আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

আমার বাবার টাকা সুদমিশ্রিত হওয়ায় আমি উনার থেকে কোনো টাকা নিবো না। আমার ইচ্ছা শুধু নিজের হালাল টাকা দিয়ে বিয়ের পরদিন ওলিমা করাবো। কিন্তু নগদ দেনমোহর দেওয়া এবং নতুন বাসার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার পর বড় করে ওলিমা করা কষ্টকর হয়।
১. এক্ষেত্রে কি বাবার হারাম টাকা দিয়ে হলেও বড় করে ওলিমা করে সব আত্মীয়কে খাওয়ানো জরুরি কিনা?

২. যদি নিজের টাকায় ছোট করে সকল চাচা, মামা, খালা, ফুফুদের পরিবার দাওয়াত না দিয়ে শুধু পাত্র পাত্রীর দুই পরিবারের বাবা, মা, ভাই, বোন, দুলাভাই, ভাইয়ের বউ এরকম একান্ত পারিবারিক মানুষদের নিয়ে এবং সাথে কিছু আলেম-ওলামা ও এতিম হাফেজদের নিয়ে সব মিলিয়ে মোট ২৫-২৬ জনকে নিয়ে ওলিমা করলে কি ওলিমার হক আদায় হবে?

৩. ওলিমার নূনতম কোনো মানুষ সংখ্যা কিংবা কোন কোন আত্নীয়কে দাওয়াত দেওয়া জরুরি এরকম কোনো ইসলামিক নির্দেশনা আছে কি?
closed
by (597,330 points)
শিরোনাম টি চেঞ্জ করে নিবেন

ওলিমার জন্য কি বকরি জবাই করা জরুরী?

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিয়ের ক্ষেত্রে ওয়ালিমার আয়োজন করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটি বিয়ের প্রচারণার অন্তর্ভুক্ত এবং আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করার শামিল।
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুর রহমান বিন আউফ (রাঃ) যখন বিয়ে করেছেন তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেন: “একটি ছাগল দিয়ে হলেও তুমি ওয়ালিমার আয়োজন কর”[সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম]

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عن أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ قَدِمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فَآخَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ الأَنْصَارِيِّ وَعِنْدَ الأَنْصَارِيِّ امْرَأَتَانِ، فَعَرَضَ عَلَيْهِ أَنْ يُنَاصِفَهُ أَهْلَهُ وَمَالَهُ فَقَالَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ دُلُّونِي عَلَى السُّوقِ، فَأَتَى السُّوقَ فَرَبِحَ شَيْئًا مِنْ أَقِطٍ وَشَيْئًا مِنْ سَمْنٍ فَرَآهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ أَيَّامٍ وَعَلَيْهِ وَضَرٌ مِنْ صُفْرَةٍ فَقَالَ " مَهْيَمْ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ". فَقَالَ تَزَوَّجْتُ أَنْصَارِيَّةً. قَالَ " فَمَا سُقْتَ ". قَالَ وَزْنَ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ. قَالَ " أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ "
তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবনু আউফ (রাঃ) মদিনায় এলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এবং সা’দ ইবনু রাবী আল আনসারী (রাঃ) এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে দেন। এ আনসারীর দু’জন স্ত্রী ছিল। সা’দ (রাঃ) আবদুর রহমান (রাঃ) কে বললেন, আপনি আমার স্ত্রী এবং সম্পদের অর্ধেক নিন। তিনি উত্তর দিলেন, আল্লাহ আপনার স্ত্রী ও সম্পদের বরকত দিন। আপনি আমাকে বাজার দেখিয়ে দিন। এরপর তিনি বাজারে গিয়ে পনির ও মাখনের ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করলেন। কিছুদিন পরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর শরীরে হলুদ রং-এর ছিটা দেখতে পেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, হে আবদুর রহমান। তোমার কি হয়েছে? তিনি উত্তরে বললেন, আমি জনৈকা আনসারী রমণীকে শাদী করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, তুমি তাকে কত মোহর দিয়েছ। তিনি উত্তরে বললেন, একটি খেজুরের আটির সমপরিমাণ স্বর্ণ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ওয়ালীমার (বিবাহ ভোজ) ব্যবস্থা কর, যদি একটি বকরি দিয়েও হয়।(সহীহ বোখারী-৫০৭২)

গোশত ছাড়াও ওয়ালিমা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা বৈধ। সহিহ বুখারীর বর্ণনায় (৪২১৩) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খায়বার ও মদিনার মাঝে তিনদিন অবস্থান করেছিলেন। এ সময় তিনি সাফিয়্যাকে (রাঃ) বিয়ে করেন। আমি মুসলমানদের সকলকে তাঁর বিয়ের ওয়ালিমার দাওয়াত দিলাম। সে ওয়ালিমাতে রুটি বা গোশত কিছুই ছিল না। সে ওয়ালিমাতে কিছুই ছিল না; শুধু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিলাল (রাঃ) কে চামড়ার চাটাই বিছানোর নির্দেশ দিলেন; চাটাই বিছানো হল। এরপর সে চাটাই এর ওপর খেজুর, পনির ও ঘি ছিটিয়ে দেয়া হল।”

عن أَنَسً ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ أَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ خَيْبَرَ وَالْمَدِينَةِ ثَلاَثَ لَيَالٍ يُبْنَى عَلَيْهِ بِصَفِيَّةَ، فَدَعَوْتُ الْمُسْلِمِينَ إِلَى وَلِيمَتِهِ، وَمَا كَانَ فِيهَا مِنْ خُبْزٍ وَلاَ لَحْمٍ، وَمَا كَانَ فِيهَا إِلاَّ أَنْ أَمَرَ بِلاَلاً بِالأَنْطَاعِ فَبُسِطَتْ، فَأَلْقَى عَلَيْهَا التَّمْرَ وَالأَقِطَ وَالسَّمْنَ، فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، أَوْ مَا مَلَكَتْ يَمِينُهُ قَالُوا إِنْ حَجَبَهَا فَهْىَ إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، وَإِنْ لَمْ يَحْجُبْهَا فَهْىَ مِمَّا مَلَكَتْ يَمِينُهُ. فَلَمَّا ارْتَحَلَ وَطَّأَ لَهَا خَلْفَهُ، وَمَدَّ الْحِجَابَ( رواه البخاري ٤٢١٣)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) এক্ষেত্রে বাবার হারাম টাকাকে পরিহার করে শুধুমাত্র হালাল টাকা দিয়ে প্রয়োজনে ছোট করে হলেও ওলিমা করবেন। সব আত্মীয়কে খাওয়ানো জরুরী নয়। বরং যতজনকে সম্ভব ততজনকে খাওয়াবেন।

(২) নিজের হালাল টাকায় অত্যান্ত নিকটাত্মীয়দেরকে নিয়ে ঘরোয়াভাবে ওয়ালিমার অনুষ্টান করে নিবেন।

(৩) ওলিমার জন্য নূন্যতম বা সর্বোচ্ছ কোনো সংখ্যা নির্ধারিত নয়। যতটুকু তাওফিক, ততটুকু করলেই সুন্নত আদায় হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 307 views
...