আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
193 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম,

১। আমি ফরজ নামাজ পড়ার পরে কিছু যিকির করি। তারপর  মোনাজাত করি। আমি এই মোনাজাতের সুন্নাহ পদ্ধতি জানতে চাচ্ছিলাম। ব্যাক্তিগত ভাবে ফরজ নামাজের পরে দোআ করার সময় দুই হাত তোলা কি সুন্নাত সম্মত? নাকি হাত না তুলে মনের সব কিছু আল্লাহর কাছে চাওয়া টা সুন্নাহ সম্মত।


২। শিশুর জম্মের দিন তাহনিক করার ব্যাপারে জানতে চাচ্ছিলাম। কোথাও শুনেছি আল্লাহওয়ালা যে কেউ তাহনিক করতে পারে আবার অনেক সময় শুনেছি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর থুথু তে বরকত ছিল, যা আর কারও তে নাই। হানাফি মাযহাব এ কোনটা ফলো করে জানতে চাচ্ছিলাম।
জাযাকাল্লাহ হুজুর আপনার সময়ের জন্য।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত সম্পর্কে ফুকাহায়ে কিরামের ভিন্ন রকম পরস্পর বিরোধী মতামত পাওয়া যায়।

অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাতকে বিদ'আত আখ্যায়িত করেছেন।
(আহসানুল ফাতাওয়া , ৩য় খন্ড , পৃঃ ৬৯৮)
অন্যদিকে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কিরাম এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন।(ইমদাদুল ফাতাওয়া-১/৬৪৫ - ৬৬৬)
সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য কথা হল,
যদি অাক্বিদা বিশুদ্ধ থাকে তথা এমন থাকে যে,নামাযের পর প্রচলিত মুনাজাত পদ্ধতি জরুরী কোনো বিষয় নয়,বরং ইচ্ছাধীন,তাহলে মুনাজাত বৈধ বা জায়েয।বিদ'আত ও নয় আবার মুস্তাহাব ও নয় বরং জায়েয তথা মুবাহ,করাও যেতে পারে আবার নাও করা যেতে পারে।
এই মুনাজাতের উপর পুরুস্কার-তিরস্কার কিছুই আসবে না।
এজন্য ইমাম সাহেব কর্তৃক মুসাল্লিদেরকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া উচিৎ,যাতে করে তাদের আক্বিদা- বিশ্বাস বিশুদ্ধ থাকে।মাঝেমধ্যে সম্মিলিত মুনাজাত পরিত্যাগ করাও উচিৎ,যাতে করে জনসাধারণের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয় যে,প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাত (বিধান হিসেবে)ফরয বা ওয়াজিব নয়।
বিশেষকরে উলামায়ে কেরামের জন্য মাঝেমধ্যে পরিত্যাগ করা উচিৎ এবং জরুরী। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/472

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যদি ফরয নামাযের পর ব্যক্তিগতভাবে মুনাজাত করতে চান, তাহলে ফরযের পর সুন্নত নফল আদায় করে শেষে মুনাজাত করবেন। এবং হাত তুলে আল্লাহর কাছে মুনাজাত করবেন।মনে রাখবেন, হাত তুলা ব্যতিতও মুনাজাত হয়।তবে হাত তুলে মুনাজাত করা মুস্তাহাব।

(২)
তাহনীক আল্লাহ ওয়ালা কারো মাধ্যমে করানো উচিৎ। যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এখন আর নেই, তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর সুন্নতের পাবন্দ এমন কারো মাধ্যমে তাহনীক করানোই সুন্নত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...