আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
১. আসসালামু আলাইকুম শায়েখ মেয়ে কোন ছেলেকে পছন্দ করে প্রেম করতো । বার মা এক ছেলেকে নিয়ে আসে দেখাতে তাকে। মেয়ে তখন কান্নাকাটি করে ঐ ছেলেকে বিয়ে করতে চায়নি। বিয়ে ভেঙে দিছিলো। মাকে শুধু প্রেম করতো তাই বলছিল৷ মা তখন প্রেমিক এর সাথে বিয়ে দিতে চায়নি। মেয়েটাও আমাকে ওর সাথে বিয়ে দাও এমন কথা বলে নাই। শুধু বলছিলো প্রেম করি পছন্দ আছে। পরবর্তী তে মেয়ে ঐ ছেলেকে বিয়ে করতে চায়নি প্রেম ও করতে চায়নি ঐ প্রেমকিকে। মাকি উকিল হয়ে ঐ প্রেমিকের সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে পারতো? যেখানে মেয়ে প্রেম করলেও বিয়ে করতে চায়নি ঐ প্রেমিক ছেলেকে।

২. শায়েখ বেয়াদবি নিবেন না। দয়া করে উত্তর দিবেন যারা এই মত মানে যে মোবাইল ফোন কলে বা ভিডিও কলে বিয়ে হয় তাদের সাক্ষী লাগে দুই টা। মানে ফোন কলের বিয়েতে সাক্ষী না থাকলে যারা মানে এভাবে বিয়ে হয় তাদের তো বিয়ে হয় না। সাক্ষী না থাকলে সাক্ষী না শুনলে। তাই তো শায়েখ?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ইজাব ও কবুলটি বলতে হবে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

★বিবাহে উকিল বানানোর পদ্ধতিঃ- 
একজন উকিলকে কনে বা বর বলবে যে, তুমি আমাকে অমুকের সাথে বিয়ে দাও, অতঃপর উকিল অপর পক্ষের সামনে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে উক্ত ব্যক্তির পক্ষ্য থেকে ইজাব কবুল সম্পন্ন করে বিয়ে করবে। এবং এদ্বারা বিয়ে হয়ে যাবে। 

পাত্র বা পাত্রী যে কোনো একজন উকিল নিয়োগ করবেন।নিয়োগকৃত উকিল অন্যজনের নিকট গিয়ে বলবে,আমি অমুকের পক্ষ্য থেকে আপনাকে এতটাকা মহরের বিনিময়ে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছি,আপনি রাজি থাকলে হ্যা বলুন।যদি শরয়ী  সাক্ষীর উপস্থিতিতে উনি কবুল করে নেন,তাহলে বিয়ে হয়ে যাবে।

 الھندیۃ(۲۹۴/۱): الباب السادس في الوكالة بالنكاح وغيرها: يصح التوكيل بالنكاح وإن لم يحضره الشهود كذا في التتارخانية ناقلا عن خواهر زاده ۔
সারমর্মঃ
বিবাহের ক্ষেত্রে ওকালত ছহীহ আছে যদিও সাক্ষী উপস্থিত না থাকে। 

আরো জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মাকে যেহেতু মেয়ে উকিল বানায়নি,তাই এক্ষেত্রে মা উকিল হয়ে ঐ ছেলের সাথে বিবাহ দিয়ে দিতে পারবেনা।

(০২)
হ্যাঁ, তাদের মতে বিষয়টি এমনই । 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
শায়েখ ২ নং প্রশ্নের ক্ষত্রে যারা ফোন কলে ও ভিডিও কলে বিয়ে হয় এটা মানে। মোবাইল ফোনকলে দুজন সাক্ষী না  শুনতে পেলে বিবাহ হয় না। । আপনার উত্তর দ্বারা এটা বোঝা যায় তাই ত শায়েখ?
by (574,050 points)
মোবাইল ফোন কলে সাক্ষী শুনতে পারলেও বিবাহ হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...