জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(ক,গ)
(খ)
জানাজার সালাতে সানা পড়ার সময় শেষের দিকে "ওয়াজাল্লা সানাঊকা" অংশটি বৃদ্ধি করা সংক্রান্ত কোনো হাদীস নেই।
তবে ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছে,তাই কেহ চাইলে জানাযার নামাজে এটি পড়তে পারেন।
কোনো সমস্যা নেই।
وقرأ کما کبر سبحانک اللّٰہم تارکاً وجل ثناء ک إلا في الجنازة۔ (الدرالمختار مع الشامي ۲/۱۸۹ط:زکریا دیوبند)
সারমর্মঃ এবং তাকবির দিয়ে ছানা পড়বে, وجل ثناء ک শুধু জানাযার নামাজে পড়বে।
وفي منیة المصلي: وإذا زاد ”وجل ثناء ک“ لا یمنع، وإن سکت لا یؤمر بہ۔ وفي الکافي: أنہ لم ینقل في المشاہیر، وفي البدائع: أن ظاہر الروایة الاقتصار علی المشہور۔ (البحر الرائق ۱/۳۱۰)
সারমর্মঃ وجل ثناء ک পড়া নিষেধ নয়,তবে কাউকে এটি পড়ার আদেশ করা হবেনা।
فإذا کبر الأولیٰ أثنی علی اللّٰہ تعالیٰ وہو أن یقول: سبحانک اللّٰہم وبحمدک إلیٰ آخرہ۔ وذکر الطحاوي أنہ لا استفتاح فیہ، ولکن النقل والعادة أنہم یستفتحون بعد تکبیرة الافتتاح، کما یستفتحون في سائر الصلوات، وإذا کبر الثانیة یأتي بالصلاة علی النبي صلی اللّٰہ علیہ وسلم وہي الصلاة المعروفة، وہي أن یقول: ”اللّٰہم صلِّ علی محمدٍ وعلی آل محمدٍ“ - إلی قولہ - ”إنک حمید مجیدٌ“۔ (بدائع الصنائع ۲/۵۱)
সারমর্মঃ প্রথম তাকবিরের পর سبحانک اللّٰہم وبحمدک إلیٰ,,, পড়বে।
(এখানে অতিরিক্ত অন্য কিছু পড়ার কথা নেই।)
(ঘ)
মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার সময় কবরে খেজুরের ঢাল পুঁতে দেওয়ার যে নিয়ম প্রচলিত রয়েছে,
এটার উপর যেই হাদীস দিয়ে দলিল দেওয়া হয়,সেই হাদীস নিম্নরূপ।
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﺮَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺑِﺤَﺎﺋِﻂٍ ﻣِﻦْ ﺣِﻴﻄَﺎﻥِ ﺍﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔِ ﺃَﻭْ ﻣَﻜَّﺔَ ، ﻓَﺴَﻤِﻊَ ﺻَﻮْﺕَ ﺇِﻧْﺴَﺎﻧَﻴْﻦِ ﻳُﻌَﺬَّﺑَﺎﻥِ ﻓِﻲ ﻗُﺒُﻮﺭِﻫِﻤَﺎ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻳُﻌَﺬَّﺑَﺎﻥِ ، ﻭَﻣَﺎ ﻳُﻌَﺬَّﺑَﺎﻥِ ﻓِﻲ ﻛَﺒِﻴﺮٍ ، ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ : ﺑَﻠَﻰ ، ﻛَﺎﻥَ ﺃَﺣَﺪُﻫُﻤَﺎ ﻻ ﻳَﺴْﺘَﺘِﺮُ ﻣِﻦْ ﺑَﻮْﻟِﻪِ ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻵﺧَﺮُ ﻳَﻤْﺸِﻲ ﺑِﺎﻟﻨَّﻤِﻴﻤَﺔِ ، ﺛُﻢَّ ﺩَﻋَﺎ ﺑِﺠَﺮِﻳﺪَﺓٍ ﻓَﻜَﺴَﺮَﻫَﺎ ﻛِﺴْﺮَﺗَﻴْﻦِ ، ﻓَﻮَﺿَﻊَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﻗَﺒْﺮٍ ﻣِﻨْﻬُﻤَﺎ ﻛِﺴْﺮَﺓً . ﻓَﻘِﻴﻞَ ﻟَﻪُ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻟِﻢَ ﻓَﻌَﻠْﺖَ ﻫَﺬَﺍ ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻠَّﻪُ ﺃَﻥْ ﻳُﺨَﻔَّﻒَ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻴْﺒَﺴَﺎ ، ﺃَﻭْ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻥْ ﻳَﻴْﺒَﺴَﺎ ) . ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻟﻤﺴﻠﻢ ( ﻻ ﻳَﺴْﺘَﻨْﺰِﻩُ ﻋَﻦْ ﺍﻟْﺒَﻮْﻝِ ﺃَﻭْ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﺒَﻮْﻝِ ) . ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻟﻠﻨﺴﺎﺋﻲ ( ﻻ ﻳَﺴْﺘَﺒْﺮِﺉُ ﻣِﻦْ ﺑَﻮْﻟِﻪِ )
তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা মাদ্বীনা বা মক্কার বাগানগুলোর মধ্য হতে কোন এক বাগানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি এমন দু’ ব্যক্তির আওয়ায শুনতে পেলেন যে, তাদেরকে কবরে আযাব দেয়া হচ্ছিল। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এদের দু’জনকে আযাব দেয়া হচ্ছে, অথচ কোন গুরুতর অপরাধে তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। তারপর তিনি বললেনঃ ‘হ্যাঁ, এদের একজন তার পেশাব করতে গিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করত না। অপর ব্যক্তি চোগলখোরী করত। অতঃপর তিনি একটি খেজুরের ডাল আনতে বললেন, এবং তা ভেঙ্গে দু’ টুকরা করে প্রত্যেকের কবরের উপর এক টুকরা করে রাখলেন। তাঁকে বলা হল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কেন এমন করলেন?’ তিনি বললেনঃ আশা করা যেতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত এ দু’টি শুকিয়ে না যায় তাদের আযাব কিছুটা হালকা করা হবে।(সহীহ বুখারী-২১৬,সহীহ মুসলিম-২৯২,সুনানে নাসাঈ-২০৬৮)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কবরের উপর কাঁচা খেজুরের ডাল না গেড়ে দেওয়াই উত্তম।
কারন হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর যেই ঘটনা এসেছে,উলামায়ে কেরামগন বলেন যে এটা রাসুল সাঃ এর সাথেই খাছ।
তাই সতর্কতামূলক ইহা থেকে বেঁচে থাকা দরকার।
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ৫/২৮২
তবে কেউ যদি জরুরি মনে না করে এটা গেড়ে দেয়,তাহলে এটাকে নাজায়েজ বলা যাবেনা।