আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by
★আসসালামু আলাইকুম হুজুর ,আমার একটা কথা জানার ছিল আশা করি উত্তর দিবেন সম্পূর্ণ পড়ে,অনেক বড় হয়ে গেছে তার জন্য মাফ করবেন, একটু কষ্ট করে দেখবেন।অনেক পেরেশানিতে আছি।

★আমাদের বিয়ে হয়েছে কিন্তু আমরা দুজন দুজন আলাদা থাকি এখনো সহবাস হয়নি,নির্জনাবাস হয়েছে,পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয়েছে কিন্তু আমি তাকে পছন্দ করতাম না এর জন্য দুজন দুজনের সময় চেয়েছি তাই এখনো সহবাস হয়নি,এখন ধীরে ধীরে তার উপর ভালোবাসা আসতেছে আমার সে তার বাসায় থাকে আমি আমার বাসায় থাকি।

★হুজুর আমার স্বামীর দূর সম্পর্কের ভাস্তি ,ওই মেয়েটা শুধু আমার স্বামীর সাথে মিশামিশি করতো অনেক কথা বলতে এটা আমার সহ্য হতো না,এক পর্যায়ে ঝগড়া হয় তাকে আমি শর্ত দিই প্রথমে যদিও সে  রাজি হয় না, তারপর আমার অবস্থা দেখে সেই শর্তে রাজি হয়। কিন্তু সে আমাকে আজ বলল যে কথা বলছো তখন আমি মনে মনে না করছি মানে সে রাজি হয় নাই কিন্তু আমাকে বুঝিয়েছে সে রাজি হয়েছে কসমটা সে নেয়নি।

★আমি তাকে বলি তুমি গ্রামে গেলে ওই তোমার ভাস্তির  সাথে অতটাও কথা বলবা না কম কথা বলবে আর মেসেঞ্জারে মেসেজ দিলে তুমি একদিন পর মেসেজের উত্তর দিবে। যদি ওই মেয়ে মেসেজ দেয়ার পর পর উত্তর দিয়ে দাও তাহলে আমাদের তালাক হয়ে যাবে। এই কথা রাজি হয় আমার স্বামী , যে হ্যাঁ ঠিক আছে আমি তার সাথে কম কথা বলব একদিন পর মেসেজের রিপ্লাই দিব।মেনে নিলাম তোমার কথা।আমার স্বামী তালাকের কথা বলেনি মুখে উচ্চারণ করেনি যে তালাক হয়ে যাবে,কিন্তু সে মনে মনে না করছিল আমি তো ভাবছি সে রাজি হয়েছে কিন্তু তার মনে রাজি না ছিল সে আজ বলল আমায়।

★ঘটনা হচ্ছে ওই মেয়ে জুলাইয়ের ২৪ তারিখে ১২:৩৮ AM এ চাচ্চু বলে মেসেজ দিয়েছিল আর আমার স্বামী ২৪ তারিখেই ৪:২৫PM এ উত্তর দিয়েছে হ্যা বলে।তারিখ তো একই দিনে ছিল ২৪ তারিখ,ওই মেয়ে রাত বারোটায় দিয়েছে আর আমার স্বামী  বিকেল চারটায় উত্তর দিয়েছে ২৪ ঘন্টা সমান সমান একদিন হয় আমার স্বামী ২৪ ঘন্টা পর মেসেজ দেয় নাই  ১৭ ঘণ্টার পর মেসেজ দিছে আর সাত ঘন্টা পর হলে ২৪ ঘন্টা একদিন হতো। তো একদিনের আগেই দিয়ে ফেলছে এখন একদিন আগেই দিছে মানে তারিখ টা তো একই ছিল,আমি যখন শর্ত দিয়েছিলাম তখন তারিখ বলিনি বলেছি একদিন পরে মেসেজের উত্তর দিবে,তাই ওই মেয়েটা রাতে দিয়েছে আর আমার স্বামী একদিন ভেবে মানে বিকাল হয়ে গেছে এর জন্য বিকেলে মেসেজটা দিয়েছে তালাক হয়েছে কি?
তারপর ও যে মেসেজটা দিছে ওই মেয়ের ওই মেসেজের রিপ্লাই দিছে তারপর ও তার অনেকক্ষণ পর আটটা সাতাশের দিকে ওইটারও রিপ্লাই দিছে, একই দিনে দুইটা কথা বলছে ইয়েস আর ওকে ইয়েস টা বলছে হচ্ছে চারটার দিকে আর ওকে আটটার দিকে।
১/আমার স্বামী মনে মনে না করছিল আমার কথায় রাজি না,কিন্তু আমাকে বুঝিয়েছে যে সে রাজি তালাক কি হয়েছে?
২/একই দিনে দুটো কথা বলেছে তাহলে  কি দুইটা তালাক হয়েছে কারণ আমি বলেছিলাম একদিন পরপর মেসেজের উত্তর দিবে?
★দুটো রিপ্লাই দিয়েছে একটা  বিকেল চারটায় আরেকটা রাত আটটায়।
৩/ নাকি এক তালাক পতিত হয়েছে?

৪/আমি কি শর্তটা উঠিয়ে নিতে পারবো? নাকি উঠিয়ে নিতে পারবো না?
কারন এই ভুল তো বারবার হবে যদি একদিন আসার আগেই মেসেজের উত্তর দিয়ে দেয় তালাক হয়ে যায় যদি আবারো?

৫/আর হুজুর আমি আমি তো মেয়ে আমার তালাক দেওয়ার অধিকার নেই, আমি এতোটুকু জানতাম।আমার স্বামী বলে নাই যে তালাক দিবে সে উচ্চারণও করেনি সে শুধু বলেছে আচ্ছা ঠিক আছে আমি এই কথা রাজি হয়েছি মেনে নিলাম তোমার কথা।আমি তালাক হবে বলেছি  আর সে  শুধু রাজি হয়েছে এভাবে কি তালাক হয়ে যায়? কিন্তু আমার স্বামীর মনে না ছিল সে তখন মনে মনে রাজি হয়নি, কিন্তু আমাকে বুঝিয়েছে রাজি হয়েছে।
৬/আমার স্বামী যে মনে মনে না টা বলেছে সে যদি মনে মনে ওই না টা  বলতো না রাজি থাকতো তাহলে কি তালাক হত?
৭/এখন কি সে আমার জন্য হারাম হয়ে গিয়েছে?
★আমারা কি আবার বিবাহ করতে পারব?
 ★নাকি বিবাহ করতে পারব না?

৮/আমি তাকে বলেছি আমাদের তালাক হয়ে গেছে এক তালাক পতিত হয়েছে সে বলে তালাক হয়নি আমি বলছি হয়েছে সে বলে হইলে হইছে তাহলে কি তালাক হয়েছে সে যে বলেছে হইলে হইছে এই কথা তে ও কি তালাক হয়?

আমাকে প্রশ্নের উত্তরটা দিয়েন সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েন।
by (1 point)
edited by
উপরের প্রশ্ন পড়ে নিচের ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিবেন দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (690 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ মুহতারমা/মুহতারাম 
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 

by (1 point)
আমার কোন ওয়াসওয়াসা আছে রোগ নেই আমি প্রথম আপনাদের গ্রুপে পোস্ট করেছি আমার প্রশ্নের উত্তর দিবেন দয়া করে 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...