আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম। বিয়ে নিয়ে অনেক টেনশন এ আছি। মসজিদের ইমাম দের জিজ্ঞেস করলে এক এক জন এক এক উত্তর বলে। আমাকে দয়া করে একটু সমাধান দিন। প্রশ্নের উত্তর গুলো আলাদা ভাবে উওর দিলে ভালো হতো। দয়া করে পয়েন্ট করে একটু আলাদা করে উত্তর দিয়েন। আমি চিন্তায় পাগল হয়ে যাচ্ছি।


১- আমার একটা হারাম রিলেশন ছিল। অনেক বছর আগে। ২-৩ বছর আগে। এখন সেটা আর নেই।  তো হারাম রিলেশন থাকাকালীন আমি দুই জন সাক্ষী রেখে কোনোদিন ইজাব কবুল করিনি। কিন্ত আমার যার সাথে রিলেশন ছিল তার সাথে দেখা হলে হয়তো রেস্টুরেন্টে আমরা এমনি বিয়ে নিয়ে আলোচনা করেছি। কবে বিয়ে করবো, কিভাবে করবো,। এখন মনের ভুলে যদি ইজাব কবুল এর মত এমন বলে ফেলি, (আমাকে বিয়ে করো, আচ্ছা যাও করলাম, আচ্ছা ধরো এখন বিয়ে করলাম) আমার ঠিক মনে পরে না এমন বলেছিলাম কিনা, কেননা এভাবে শুধু ইজাব কবুল করলেই বিয়ে হয়ে যায় আমি জানতাম না। কিন্ত আলোচনার জন্য যদি এমন বলে থাকি আর আশে পাশের মানুষ শুনে ফেলে তাহলে কি তারা সাক্ষী হয়ে বিয়ে হয়ে যাবে? আমি জানি না আসে পাশের মানুষ শুনেছিল কিনা বা খেয়াল করেছিল কিনা। কারন আমরা তো আলোচনার জন্য বলতেছিলাম। কত মানুষ ই তো এমন করে কত কথা বলে। তো এভাবে কি সাক্ষী হয়ে বিয়ে হয়?
২) একজন যদি plz marry me বলে, আর একজন যদি শুধু yes bole তাহলে কি ইজাব কবুল হয়ে যাবে? yes মানে তো জি বা আচ্ছা। তো yes বলা এটাতে কি আমি রাজি আছি এটা বুঝায়? এভাবে কি ইজাব কবুল হবে?
৩) ছেলে মেয়ে যে একে অন্যকে বউ বা জামাই বলে ডাকে তাহলে কি বিয়ে হয়ে যাবে? যেমন-( তুমি ই তো আমার বউ/ জামাই, অপর জন বললো হ্যাঁ আমি ই তো তোমার বউ/ জামাই). এভাবে কি ইজাব কবুল হয়ে যাবে?
৩) বিয়ের মাসয়ালা জানার জন্য একজন এর সাথে ফোনে আলোচনা করতেছিলাম। এক সময় উনি আমাকে বুঝানোর জন্য উদাহরণ দিল যে, আপনারা তো এমন বলেন নি যে, আমি তোমাকে হাসবেন্ড হিসেবে গ্রহন করলাম বা আমি তোমাকে বউ হিসেবে গ্রহন করলাম। এখন উনি এটা বলার সাথে সাথে আমি বলেছিলাম যে জি। (আমি জি বলতে বুঝিয়েছি যে, আমি কোনোদিন এমন বলি নাই) উনি যখন কথা বলতেছিল তখন উনার আসে পাশে মানুষ ছিল। আমি শুধু জি বলে বলেছিলাম। আর কিছু বলি নি। এখন এই জি বলার কারনে কি ইজাব কবুল হয়ে যাবে?
৪) আমার এখন বিয়ের কথা চলছে বাসায়। কিন্ত আমি বিয়েতে রাজি হতে পারছি না। কারন আমার মনে হচ্ছে আমি যদি মনের ভুলে ইজাব কবুল করে থাকি তাহলে আমার কি এখন শুধু আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিলেই হবে?আমার শুধু মনে হয় আমার ইজাব কবুল হয়ে থাকলে আমার সারাজীবন জিনার পাপ হতে থাকবে। এখন আমি কি আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিলেই হবে? আমাকে দয়া করে সমাধান দিন।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য ইজাব কবুল হওয়া শর্ত।
لما في الفتاوي الهندية ج ١- ص:٢٧٠
ينعقد بالإيجاب والقبول وضعا للمضي أو وضع أحدهما للمضي والآخر لغيره مستقبلا كان كالأمر أو حالا كالمضارع،
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/79209

আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে  উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে....
(ومنها) سماع الشاهدين كلامهما معا هكذا في فتح القدير فلا ينعقد بشهادة نائمين إذا لم يسمعا كلام العاقدين، 
দুনু সাক্ষীকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইজাব-কবুল শুনতে হবে,(ফাতহুল ক্বাদীর)সুতরাং না শুনার ধরুণ ঘুমন্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারা বিবাহ সংগঠিত হবে না।(১/২৬৮;)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2679

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) না, এভাবে সাক্ষী ব্যতিত এবং ইজাব কবু্ল ব্যতিত বিয়ে হবে না।

(২) একজন যদি plz marry me বলে, আর একজন যদি শুধু yes bole তাহলে ইজাব কবুল হয়ে যাবে। যদি সাক্ষী না থাকে, তাহলে এরকম।ইজাব কবুলের দ্বারা বিয়ে হবে না।

(৩) ছেলে মেয়ে যে একে অন্যকে বউ বা জামাই বলে ডাকে তাহলে কি বিয়ে হয়ে যাবে? যেমন-( তুমি ই তো আমার বউ/ জামাই, অপর জন বললো হ্যাঁ আমি ই তো তোমার বউ/ জামাই). এটাও ইজাব কবুল হবে।তবে সাক্ষী না থাকলে, বিয়ে হবে না।

(৪) প্রশ্নের বিবরণমতে বিয়ে হবে না।

(৫) মনের ভুলে ইজাব কবুল হয়ে থাকলে, এবং সাক্ষী থাকলে, এখন ওর কাছ থেকে তালাক নিয়েই তারপর অন্যত্র বিয়ে বসতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...