ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس
প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন। এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে। তবে যদি নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪)
নাজাসত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
আরো বর্ণিত রয়েছে,
২. ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪৩
৩. হেদায়া-১/৭৬
৪. আহসানুল ফাতওয়া-২/৮৩,১০১
৫. ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-৫/১২৮,২৭৩
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
রাস্তায় জমে থাকা পানি বা কাদা পাক।তবে যদি তাতে কোনো নাজাসত দৃশ্যমান হয়, তাহলে সেই পানি/কাদা নাপাক হিসেবেই গণ্য হবে।
সুতরাং
সেই গলি দিয়ে নামাযে যাওয়ার সময় যদি পানি পায়ে লাগে, এবং উক্ত পানিতে দৃশ্যমান কোনো নাপাকি না থাকে,তাহলে পা ধৌত করতে হবে না। কেননা কুকুরের শরীর নাপাক নয় যে, পানির সাথে কুকুরের শরীর স্পর্শ করার কারণে পানি নাপাক হয়ে যাবে।
(২)যদি দেখা যায় যে, কুকুর ওই পানি জমে থাকা রাস্তা দিয়ে পাড় হচ্ছে, পরবর্তীতে আপনিও পাড় হলেন, এখন এই পানি পায়ে লাগার কারণে পা ধৌত করতে হবে না।
(৩) জুমার নামাযের জামাত পড়া কালিন ১ম রাকাতে আপনার ওযু ভেঙে যায় এবং ওই ভাবেই মুসুল্লিদের সাথে নামায শেষ করেন। পড়ে আপনি পূর্ন যোহর নামাজ পড়ে নেন, সুন্নত ফরজ একা একা।
অজু ভঙ্গ হওয়ার পর নামায পড়াটা উচিৎ হয়নি।বরং আপনি উচিৎ ছিলো যে, অজু করার জন্য মসজিদ বেড়িয়ে আসবেন। অথবা চুপচাপ বসে থাকবেন।অথবা নামায না পড়ে শুধুমাত্র নামাযির সাদৃশ্য গ্রহণ করবেন।
(৪) কোম্পানির ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য ব্যাংক থেকে ফর্ম আনা,ফর্ম ফিলাপ করা ও ব্যাংক এর সাথে মাঝে মধ্যেই কমিউনিকেশন করা,এই কাজ না জায়েয হবে না।বরং সরাসরি সুদি কাজে সহায়তা করাই নাজায়েয ও হারাম।