আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by

আসসালমুআলাইকুম শায়েখ,  

১.বিয়ের আগে যে শর্ত তালাক হয় সেটা আমার জানা ছিলো না। আমি আমার আব্বা মা কে খুব ভালো বাসি, তার জন্য কয়েক দিন আমি আমার বন্ধু দের সামনে বলেছিলাম , এমন মেয়ে বিয়ে করবো , বিয়ের পর সে যেনো আমার আব্বা মা কে খুব ভালোবাসবে, আমার আব্বু মা কে দেখবে। আর যদি দেখি বিয়ের পর কথা শুনছে না তাহলে, ভাত দিবো না,  ডিভোর্স দিয়ে দিবো বা  ডাইরেক্ট ডিভোর্স। তার জন্য যটা  বিয়ে করতে হয় করবো । উক্ত কথার জন্য কি তালাক হবে?
আমি এখন বিয়ে করেছি, এই শর্ত কি কার্যকর হবে? ভবিষ্যত এ যদি আরো বিয়ে করি তাহলে কি এই সর্ত কার্য কর হবে??
২.  আমি আমার বন্ধুদের সামনে বলতাম , বিয়ের আগে  মেয়ের সাতে কথা বলবো, যেনো ভবিষ্যত্ এ কোনো সমস্যা না হয়, বলবো আমার মা, আব্বা,  কে দেখাশোনা করবে । না হলে ছেড়ে দিবো, ডিভোর্স দিবো এই সব বলতাম । এমন বাক্য এর জন্য কি তালাক পতিত হবে??
৩.  আমি কোনো একটা বিষয়  নিয়ে  বন্ধুদের সামনে কথা বলেছিলাম কি বলেছিলাম সেটা সঠিক ধরতে পারছিনা , এবং বলেছিলাম এমন  হলে ডাইরেক্ট ডিভোর্স । মানে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম ।


( তিনটি বিষয় মনে হচ্ছে কিন্তু কনফ্রম না , ১.যদি স্ত্রী কে বোঝানোর পর কথা না শুনে, ২. আব্বু হয়ত খুশি হয়ে বললো বৌমা হাতের রুটি করে দাও তো , দিয়ে স্ত্রী হয়ত বললো পারবনা ,বা অপমান করলো। ৩. স্ত্রী কে একটা জিনিষ একবার ,দুবার , বোঝাবো তার বেশি বোঝাবো না। এই তিনটি বিষয় এর মধ্যে কোনো একটা বলেছিলাম  বেশির ভাগ মনে হচ্ছে ২ নাম্বার টা কিন্তু কনফ্রম না । )


৩.১ এই তিনটি ঘটনা বললাম এর মধ্যে যে কোনো একটা সর্ত পাওয়া গেলে কি তালাক পতিত হবে?? ( কোনটা বলেছি কনফ্রণ না  বেশির ভাগ মনে হচ্ছে ২ নম্বর টা )
৩.২ শায়েখ বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীর মাঝে টুক টাক ঝামেলা হয়েছে, বা স্ত্রী ছোটো খাটো কোনো কথা শুনেনি। এই রকম হয়েছে এর জন্য কি তালাক পতিত হয়েছে??
৪. আমার স্ত্রী কে আমি কিছু বলেছিলাম না , আমার চিন্তা দেখে স্ত্রী আমার মোবাইল এ সমস্ত লেখা পড়েছে এবং বলে তুমি যে সব প্রশ্ন করেছো সেই টা তো আমি করিনি তাই তালাক হবে না। ১ নম্বর প্রশ্নে যে ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে সেই টা বলেছে । স্ত্রী তো সমস্ত লেখা পড়েছে ওটা তো ভবিষ্যত্ সূচক বাক্য লেখা ছিল। স্ত্রী যেহেতু  ঘটনা টা পড়েছে এবং বলছে আমি তো ওইসব কিছু করিনি, করলে তো হবে , এই রকম বলছে । শায়েখ আমি তো ভবিষ্যত্ সূচক বাক্যে বলেছি, স্ত্রী যদি সেই কাজ করে  এর জন্য কি সর্ত তালাক হবে??
৫. বিয়ের পর একদিন আমাদের মধ্যে ঝামেলা হয় , জার জন্য এক তালাক বলেছিলাম। দিয়ে আমাদের মধ্যে আবার সব কিছু ঠিক করে নিয়েছি।

শায়েখ প্রচন্ড মানসিক পীড়া তে আছি। দয়া করে জবাব দিবেন।  সমস্ত ঘটনা বললাম , আমাদের  মোট কটা তালাক হয়েছে??? আমি কি নিশ্চিন্ত মনে ঘর সংসার করতে পারি?? আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক হালাল আছে তো ??। আমার মনে যতই দ্বিধা দ্বন্দ আসুক না কেন, বা বিয়ের আগে শর্ত তালাক নিয়ে  যতই উল্টোপাল্টা চিন্তা আসুক না কেনো ।
শায়েখ দয়া করে আমার প্রশ্নের জবাব দিয়েন। জাজাক আল্লাহ

by (2 points)
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ, জরুরী ভিত্তিতে জানতে চাইছি।

1 Answer

0 votes
by (559,410 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...