আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামোআলাইকুম
আমার স্বামীর পরিবারে আমার কোন সম্মান নাই কোন গুরুত্ব নেই।। আমাকে প্রতিনিয়ত অপমান অপদস্থ করে ছোট ছোট বিষয়ে।। কোন বিষয়ে আমার মতামতের কোন গুরুত্ব নাই এমনকি কেউ আমাকে কোন প্রাধান্য দেয় না।। আমার উপস্থিতি ই অধিকার নাই পারিবারিক বিষয়ে। এমনকি সেটা যদি সামান্য বাজারের স্লিপ কিংবা ওষুধ কিনার ও হয় তাও।। আর সবসময় ই স্বামী নিরব দর্শক।। শুধু আমাকে বলবে চুপ থাকো সহ্য করে মানাই যাও।। আমার বিয়ের 8 বছর চলছে আর 1টা মেয়ে ও আছে।। তাও আমাকে অপদস্থ করা হয় ওরা মাস্টার্স পাশ আমার ওদের পায়ের তলার ও যোগ্যতা নাই। আমি অনার্স পাশ। এখন আমি সম্পুর্ন নিজ যোগ্যতায় আল্লাহর রহমতে ঘুষ ছাড়া 1টা চাকরি পাইছি যেটার বেতন 30 হাজার মেডিক্যাল কোম্পানি তে।। যা এই ঘরের সবার ইনকাম থেকে বেশি।। আর সবার মাসিক ইনকাম আরো কম।।
এতদিন বলেছে আমাকে চাকরি করতে দিবে যেহেতু স্বামীর ইনকাম কম। এখন যখন আমি সবদিক সামলিয়ে চাকরি টা করতে চাচ্ছি তখন আবার সবাই নারাজ।। কারন আমার বেতন এখন সবার উপরে।। এত টাকার চাকরি করতে দিবেনা।। অল্প বেতনের ছোট খাট চাকরি করতাম।। আর মাস শেষে ওদের টাকা দিবো তাও করতে দিবেনা।।

স্বামী বেশি সমস্যা করছে।।
এখন আমার কি করা উচিত হবে?? আমি বুঝতে পারছি না।। আল্লাহুর কাছে কত চাওয়ার পরে আল্লাহ আমাকে সাহায্য করেছেন।। আমার দোয়া কবুল করে চাকরির ব্যবস্থা করছেন।।

এখন কি আবার ও আমার উচিত হবে আল্লাহর কাছে চেয়ে সেই জিনিসটা পাই ফেরত দেওয়ার??

চাকরিটা করতে হলে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে যেতে হবে আর নাহয় আবারো আল্লাহর দেয়া সুযোগ ছাড়তে হবে।। এর আগেও এরকম আরো অনেক সুযোগ আমাকে আল্লাহ দিছে আমি ওর জন্য সংসারের জন্য ছেড়ে দিছি।।
আমাকে দয়া করে সাহায্য করুন

1 Answer

0 votes
by (559,170 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِغَيْرِ اللهِ لأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَالَّذِى
نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ تُؤَدِّى الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّىَ حَقَّ زَوْجِهَا وَلَوْ سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِىَ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعْهُ-

“যদি আমি কাউকে নির্দেশ দিতাম আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে সিজদা করার, তাহ’লে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য।ঐ সত্তার শপথ করে বলছি যার হাতে আমার জীবন, মহিলারা ঐ পর্যন্ত আল্লাহর হক আদায় করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে স্বামীর হক আদায় না করে, এমনকি স্বামী যদি যাত্রা পথে ঘোড়ার পৃষ্ঠেও তাকেও আহবান করে তখনও তাকে বাধা না দেয়।” (ইবনে মাজাহ হা/১৮৫৩; সহীহাহ হা/১২০৩।)

ইফকের ঘটনায় মা আয়েশা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট তার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি চাওয়ার হাদিস:
তিনি বলেন:
أتأذن لي أن آتي أبوي

“(হে আল্লাহর রাসূল,) আপনি কি আমাকে আমার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি দিবেন?” (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)

لا يجوز للمرأة الخروج من بيت زوجها إلا بإذنه ، لا لوالديها ولا لغيرهم ؛ لأن ذلك من حقوقه عليها ، إلا إذا كان هناك مسوغ شرعي يضطرها للخروج

“কোন মহিলার জন্য স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া জায়েয নয়। পিতামাতা বা অন্য কারো নিকট নয়। কারণ এটি তার উপর স্বামীর হক। অবশ্য যদি শরিয়ত সম্মত বিশেষ কোনো কারণ থাকে তাহলে ভিন্ন কথা।” (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৯/১৬৫)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
স্ত্রীর জন্য জরুরি হল, বিশেষ কোনো কাজে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে স্বামীর নিকট অনুমতি নেয়া। স্বামী অনুমতি দিলে পরিপূর্ণ পর্দা সহকারে এবং নিজেকে ফিতনা থেকে হেফাযতে রেখে স্ত্রী বাইরে যেতে পারে। দূরে কোথাও যাওয়ার দরকার হলে অবশ্যই তার পিতা, ভাই ইত্যাদি মাহরাম পুরুষের সাথে যাবে। কিন্তু স্বামী যদি তাকে যেতে নিষেধ করে তাহলে স্ত্রীর জন্য তা লঙ্ঘন করা বৈধ নয়। অন্যথায় সে স্বামীর ‘অবাধ্য’ হিসেবে গণ্য হবে এবং গুনাহগার হবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামী যেহেতু আপনাকে চাকুরী ছেড়ে দিতে বলছে,চাকুরী করতে দিতে চাচ্ছেনা,তাই এক্ষেত্রে আপনার জন্য চাকুরী করা জায়েজ হবেনা।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
এক্ষেত্রে আপনার জন্য পরামর্শঃ-
এই আপনার অবস্থা,আপনার প্রতি সকলের অবহেলা ইত্যাদি বিষয় নিজ পরিবারকে অবহিত করে উভয় পরীবারের মুরব্বীদেরকে একত্রে বসে আপনাকে যে সকলে অবহেলা করে,সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলুন।
,
আপনার স্বামীর বেতন দ্বারা যদি আপনাদের ভরনপোষণ ও প্রয়োজন পূর্ণ না হয়,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত চাকুরী শরীয়াহ সম্মত শর্তমাফিক হলে সেক্ষেত্রে আপনার চাকুরীর বিষয়ে সকলের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নিতে বলতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...