আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ!

আমাদের বিয়ের আগে আমার স্বামীর সাথে এক মেয়ের বিয়ের কথা চলছিল।শেষে গিয়ে মেয়েটির পরিবার থেকে বিয়েতে বাধা এসেছিল।মেয়েটি আমার স্বামীর কাছে দু তিন বছর সময় চেয়েছিল।আমার স্বামী রাজি হয়নি গুনাহের কথা ভেবে।তারপর আমাদের বিয়ে হয়।উল্লেখ্য দুজন দুজনকে বিয়ের জন্য পছন্দ করেছিল।

এখন প্রায় ২ বছর পর মেয়েটি আমার স্বামীকে একটা প্রয়োজনে নক দেয়।তারপর থেকে প্রায়ই কারননে,মেসেজ দেয়।আমি জানতে পারি।আমার স্বামী এ বিষয়ে যথেষ্ট লয়াল।উনার পক্ষ থেকে তেমন কোনো সাড়া নেই।কিন্তু এটা নিয়ে আমি কিছুদিন যাবৎ অনেক বেশি দুঃশ্চিন্তায় ভুগি।কষ্ট সহ্য করতে না পেরে শেষমেষ মেয়েটিকে আমি মেসেজে স্বাভাবিকভাবে বুঝাই যে তারা নন মাহরাম,কোনো প্রয়োজন থাকলে আমাকে বলতে বা তার ভাই কে দিয়ে আমার স্বামীকে বলাতে।এবং শেষে বলি যে আশা রাখছি আর কোনো আপনি আমার হাজব্যান্ডকে নক দেবেন না।

এতে উনি কষ্ট পান,আজ আবার আমার স্বামীকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করেন,দোষারোপ করেন।বলেন যে উনি আমাদের দুজনকে কোনোদিন ক্ষমা করবেন না,আমার স্বামী নাকি আমাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ওনাকে অপমান করিয়ে নিয়েছে।

এখন আমার প্রশ্ন,আমার এভাবে বলাতে কি কোনো গুনাহ হয়ে গেছে?উনি যদি ক্ষমা না করেন তাহলে কি আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাবনা?পরকালে এর কোনো খারাপ প্রভাব পড়বে কিনা।আমি মন থেকে শান্তি পাচ্ছিনা,আমার আমার স্বামী উভয়েই এই বিষয়ে অনেক পেরেশানিতে আছি।শায়েখ এখন আমাদের কি করনীয় যদি জানাতেন ইন শা আল্লহ।

1 Answer

0 votes
by (711,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছেন,
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَقُولُ : " لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ ، وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ ، فَقَامَ : رَجُلٌ ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا ، وَخَرَجَتِ امْرَأَتِي حَاجَّةً ، قَالَ : اذْهَبْ فَحُجَّ مَعَ امْرَأَتِكَ " .
الكتب » صحيح البخاري » كِتَاب الْجِهَادِ وَالسِّيَرِ » بَاب مَنِ اكْتُتِبَ فِي جَيْشٍ فَخَرَجَتِ امْرَأَتُهُ 
তরজমাঃ-আজনবী পুরুষ-মহিলা মাহরাম ব্যতীত পরস্পর খালওয়াত তথা নির্জনে সাক্ষাৎ করতে পারবে না।এবং মহিলা মাহরাম ব্যতীত কোথাও সফর করতে পারবে না।তৎক্ষণাৎ এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বলল,অমুক জিহাদে আমার নাম লিখা হয়েছে,অন্যদিকে আমার স্ত্রী হজ্বে যেতে চাচ্ছে।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্বে যাও।(বুখারী-২৮০০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি তো কোনো নাজায়েয বা অনুচিৎ কাজ করেননি।আপনি ভালো ও উত্তম পরামর্শ দিয়েছে। এজন্য কেউ অভিযোগ দিলে আপনাকে অভিশাপ দিলে,তা আপনার উপর পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...