আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
আসসালামু আলাইকু শাইখ।  বেশ কিছু ব্যাপার নিয়ে আপনাকে লিখতে বসেছি। আমার যাওজ একটু অন্য রকম, অনেক বই পড়তে নিষেধ করেন, কিছু আলেম দের মোটেই পছন্দ করেন না। কারণ তাঁদের সাথে উনার মতের মিল নেই। মূল সমস্যা টা আক্বীদা তে। তার তথা এখানকার সকলের বিশ্বাস,  নবিজী (ﷺ) নূরের তৈরি,  নবিজী আমাসের মতো মানুষ নন।আর নবিজী গায়েবে জানেন (তখন আমি এমন বলি নবিজী তো আমদের মতো মানুষ নন তিনি রহমাতুল্লিল আলামীন,  আল্লাহ পাক উনার কাছে ওহী পাঠাতেন এমন আর  ও কিছু উনি তখন অল্প একটু কনভিন্স হন, তবে অতো টা না) আর ও বেশ কিছু।  আর এই যে চল্লিশা কুলখানি এগুলো  নাকি বিধাত নয়, এগুলো নবীজির যুগে দরকার ছিলো না এখন আছে, তাহলে তো, ট্রান্সপোর্ট সুবিধা, মোবাইল ফোন সহ সবই বিধাত। আমি উনাকে ইবাদাতের মধ্যে বিধাত আর জীবন যাপনের মধ্যে বিধাত এগুলো একটু বোঝানোর চেষ্টা করি। উনি শুনতে নারাজ।
উল্লেখ্য, উনি ২০ বছর আগে ফাযিল পাশ করেছেন আলিয়া থেকে, এখন অবশ্য সবই ভুলে গেছেন। নজরের হেফাজত কী এই জিনিসটা কী উনার ধারণা-ই নাই। পর্দার ব্যাপারে খুব একটা আইডিয়া নেই। আমাকে পর্দা নিয়ে স্ট্রাগল করতে হয় এখানে এসে। এখন যদিও পর্দা করছি আলহামদুলিল্লাহ।
এখানের পরিবেশ আমার উপর খুব বাজেভাবে প্রভাব ফেলেছে। আমার হৃদয় শক্ত হয়ে গিয়েছে।
ফাযায়েলে আমাল  বইটা আমাকে কিনে দিতে বলেছিলাম, বলে এটা কওমীদের বই পড়া যাবে না। আর তাবলীগ ও উনার ভীষণ অপছন্দ।  এখন উনার যে এই বিশ্বাস এগুলো নিয়ে আমি ভীষণ চিন্তিত, আমার আর ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে। উনি জানেন না, আমার আর উনার বিশ্বাসে এত তফাৎ।  যদি জানে খবর আছে। এখন আমার করনীয় কী? আমার ফ্যামিলি,  উনার ফ্যামিলি, এই এলাকার মোটামুটি সবাই এমন। অনেক আবার মাজারভক্ত।
আমার জাওজ আবার মাজার ভক্ত না
।তবে খারাপ কথা শুনতে পারেন না। এগুলো বাদ দিলে উনি খুবই ভালো মানুষ,  ভাল হাজবেন্ড, ভালো বাবা।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসুল সাঃ বলেন-

وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.

আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)

আরেক হাদীসে আছে-

مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .

‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭

বিদ'আত কাকে বলে?
বিদআত বলা হয় দ্বীন ও ইবাদতে নব আবিষ্কৃত কাজকে। অর্থাৎ দ্বীন বা ইবাদত মনে করে করা এমন কাজকে বিদআত বলা হবে, যে কাজের কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর কোন দলীল নেই। 

নব আবিষ্কৃত পার্থিব কোন বিষয়কে বিদআত বলা যাবে না। যেমন শরীয়াতে নিষিদ্ধ কোন কাজকে বিদআত বলা হয় না। বরং তাকে অবৈধ, হারাম বা মাকরূহ বলা হয়।

বিদআত বলা হয় দ্বীন বিষয়ক কোন নতুন কর্মকে, যার কোন দলীল শরীয়তে নেই। 

মহানবী (সঃ) বলেছেন, “ অবশ্যই তোমাদের মধ্যে যারা আমার বিদায়ের পর জীবিত থাকবে তাঁরা অনেক রকমের মতভেদ দেখতে পাবে। অতএব তোমরা আমার ও আমার সুপথপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের সুন্নাহ অবলম্বন করো, তা দাঁত দ্বারা দৃঢ়তার সাথে ধারণ করো। (তাতে যা পাও মান্য কর এবং অন্য কোনও মতের দিকে আকৃষ্ট হয়ো না।) আর (দ্বীনে) নবরচিত কর্মসমূহ হতে সাবধান! কারণ, নিশ্চয় প্রত্যেক বিদআত (নতুন আমল) হল ভ্রষ্টতা।”(আবু দাঊদ ৪৪৪৩, তিরমিযী ২৮১৫, ইবনে নাজাহ ৪২ নং)

পারিভাষিক অর্থে বিদআত হলো, যে আমল বা কাজ নবীজী ও তার সাহাবা এবং তাবেয়ী যুগে ছিল না। সেই কাজ বা আমলকে সওয়াব মনে করে ইসলামের অংশ মনে করে করার নাম হল বিদআত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার স্বামীর মনে কওমি,তাবলিগ ইত্যাদি বিষয়ে ঘৃণা জমে রয়েছে,তিনি বিদ'আতকে বিদ'আত বলে বিশ্বাস করতে চাননা।

ফাজায়েলে আমাল ক্রয় করে নিয়ে আসতে বললে তিনি নারাজ।
এখানের পরিবেশ আপনার উপর খুব বাজেভাবে প্রভাব ফেলতেছে। 

সুতরাং এক্ষেত্রে আপনার জন্য করনীয় হলো নিজের কবরের বিষয় স্বরন করে নিজে পূর্ণ শরীয়ত মোতাবেক চলা।
পূর্ণ পর্দা করা,পূর্ণ পর্দা,ও পূর্ণ শরীয়ত মোতাবেক চলতে বাধা দিলে তাকে বুঝাবেন,আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে দোয়া চালিয়ে যাবেন।

এতেও কাজ না হলে নিজ পরিবারকে অবহিত করে উভয় পরিবারের মুরব্বিদের মাধ্যমে আপনার স্বামীকে বুঝাবেন।
বুঝিয়ে আপনার জন্য পূর্ণ পর্দা,ও পূর্ণ শরীয়ত মানা নিশ্চিত করবেন।

সাহাবা ও বুযুর্গানে দ্বীনের ঘটনা সম্বলিত বই ক্রয় করে পড়বেন।
আপনার স্বামী হতে অন্যান্য হাদীসের বই ক্রয় করে নিতে পারেন।
বুখারী শরীফ,মিশকাত ইত্যাদি হাদীসের কিতাব গুলোর বাংলা ব্যখ্যা গ্রন্থ গুলো ক্রয় করে দিতে বলতে পারেন।
,
আপনি আপনার স্বামীকে হক্কানী উলামায়ে কেরামদের বয়ান শুনতে বলতে পারেন,তাদের নিকটে যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
তার জন্য দোয়া অব্যাহত রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...