আসসালামু আলাইকু শাইখ। বেশ কিছু ব্যাপার নিয়ে আপনাকে লিখতে বসেছি। আমার যাওজ একটু অন্য রকম, অনেক বই পড়তে নিষেধ করেন, কিছু আলেম দের মোটেই পছন্দ করেন না। কারণ তাঁদের সাথে উনার মতের মিল নেই। মূল সমস্যা টা আক্বীদা তে। তার তথা এখানকার সকলের বিশ্বাস, নবিজী (ﷺ) নূরের তৈরি, নবিজী আমাসের মতো মানুষ নন।আর নবিজী গায়েবে জানেন (তখন আমি এমন বলি নবিজী তো আমদের মতো মানুষ নন তিনি রহমাতুল্লিল আলামীন, আল্লাহ পাক উনার কাছে ওহী পাঠাতেন এমন আর ও কিছু উনি তখন অল্প একটু কনভিন্স হন, তবে অতো টা না) আর ও বেশ কিছু। আর এই যে চল্লিশা কুলখানি এগুলো নাকি বিধাত নয়, এগুলো নবীজির যুগে দরকার ছিলো না এখন আছে, তাহলে তো, ট্রান্সপোর্ট সুবিধা, মোবাইল ফোন সহ সবই বিধাত। আমি উনাকে ইবাদাতের মধ্যে বিধাত আর জীবন যাপনের মধ্যে বিধাত এগুলো একটু বোঝানোর চেষ্টা করি। উনি শুনতে নারাজ।
উল্লেখ্য, উনি ২০ বছর আগে ফাযিল পাশ করেছেন আলিয়া থেকে, এখন অবশ্য সবই ভুলে গেছেন। নজরের হেফাজত কী এই জিনিসটা কী উনার ধারণা-ই নাই। পর্দার ব্যাপারে খুব একটা আইডিয়া নেই। আমাকে পর্দা নিয়ে স্ট্রাগল করতে হয় এখানে এসে। এখন যদিও পর্দা করছি আলহামদুলিল্লাহ।
এখানের পরিবেশ আমার উপর খুব বাজেভাবে প্রভাব ফেলেছে। আমার হৃদয় শক্ত হয়ে গিয়েছে।
ফাযায়েলে আমাল বইটা আমাকে কিনে দিতে বলেছিলাম, বলে এটা কওমীদের বই পড়া যাবে না। আর তাবলীগ ও উনার ভীষণ অপছন্দ। এখন উনার যে এই বিশ্বাস এগুলো নিয়ে আমি ভীষণ চিন্তিত, আমার আর ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে। উনি জানেন না, আমার আর উনার বিশ্বাসে এত তফাৎ। যদি জানে খবর আছে। এখন আমার করনীয় কী? আমার ফ্যামিলি, উনার ফ্যামিলি, এই এলাকার মোটামুটি সবাই এমন। অনেক আবার মাজারভক্ত।
আমার জাওজ আবার মাজার ভক্ত না
।তবে খারাপ কথা শুনতে পারেন না। এগুলো বাদ দিলে উনি খুবই ভালো মানুষ, ভাল হাজবেন্ড, ভালো বাবা।