আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
199 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম উস্তায,
আল্লাহ আপনার ওপর সর্বদা রাজী খুশী থাকুক।
১. আমি কখনো সেই ভাবে জন্মদিন পালন করিনি। বিয়ের আগে হয়ত বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে জন্মদিন এর খাবার খেয়েছি। বা  হয়ত এক দুবার কেক ও কেটেছি।
উস্তায বিয়ের পর আমার শশুর , শাশুড়ির জন্মদিন পালন করেছে , কেক কেটেছে , আমিও কেক খেয়েছি, আনন্দ করেছি।  শুধুমাত্র বাড়ির কয়েকজন মিলে করেছে। আমি আমার স্ত্রীর জন্ম দিন এ বাড়ির কয়েক জন মিলে কেক কেটেছে দিয়ে একটু আনন্দ করেছে , আমি তাকে জন্ম দিন এ উপহার দিয়েছি,  একটু আনন্দ করেছি ,  এক্ষেত্রে কি ঈমান চলে যাবে??  বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যাবে??
২.  আমাদের বিয়ের এক বছর হলে , আমার স্ত্রী বলে বিবাহবার্ষিকী তে একটু ঘর সাজাবে, একটু মিষ্টি মুখ করবে , এই সব বলছিলো। তাই বিবাহ বার্ষিকী তে বাড়ির ৫ জন্য মিলে একটা কেকে কেটে খেয়েছি। এবং একটু আনন্দ করেছি। একে অপরকে উপহার দিয়েছি। স্বামী স্ত্রী র আনন্দের জন্য এইরকম আনন্দ করলে কি ঈমান চলে যাবে? বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যাবে?
৩. আমি আমার স্ত্রী কে বলেছি এই সব করতে হয়না । সে বলেছে , স্বামী স্ত্রী র মধ্যে এইটকু আনন্দ করাযায়।
আমি আমার স্ত্রী কে বলছি জন্ম দিন এ কেকে কাটতে হয়না। ইসলাম ধর্ম এটা সমর্থন করে না। হাদীস এ আছে এগুলো জায়েজ নয়। আমার স্ত্রী বলে আমি ছোটো থেকে দেখে আসছি আমার বাবা মা জন্ম দিন এ কেক খেয়েছে, বা কেটেছে। বাড়ির কয়েকজন মিলে।  তাই আমিও একটি আনন্দ করি। তাই বললো , এই কথা শুনে আমি বললাম , তুমি সমস্ত হাদীস মেনে চলার চেষ্টা করো তাহলে এটা ও মেনে চলো, তখন আমার স্ত্রী বলছে , আমি এটা মানিনা। আমি সঙ্গে সঙ্গে বললাম তুমি হাদীস অস্বীকার করছো?? আমার স্ত্রী বললো সে কখনই হাদীস অস্বীকার করছে না। সে বলল এই হাদীস টা তার মেনে চলা হয়না, তাই বললো সে হাদীস অস্বীকার করেনি।
আমার স্ত্রীর কি ঈমান চলে যাবে??
৪.  বিয়ের পূর্বে আমি আমার বন্ধু দের সামনে বলতাম ,    বিয়ের পর আমার স্ত্রী যদি আমার বাবা মায়ের  দেখা সোনা না করে, বা খারাপ ব্যাবহার করে তাহলে ডিভোর্স দিয়ে দিবো। বা বলতাম ডাইরেক্ট  ডিভোর্স, বা বলতাম বাপের বাড়ি রেখে আসবো, এই রকম বলতাম, এর জন্য কি শর্ত তালাক হবে?? আমার স্ত্রী যদি বাবা মায়ের দেখা সোনা না করে তাহলে কি তালাক পতিত হবে??
 ৫. আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার বিয়ের আগে প্রেম ছিল,  সম্পর্ক ছিল , যখন ফোনে গল্পঃ হতো বিয়ের আগে, তখন হয়তো  তাকে  বলেছি , বিয়ের পর যদি অমুক কাজ করো তাহলে   তালাক । বা বলতাম আব্বা মা এর দেখা সোনা না করলে ডিভোর্স দিবো, বা তালাক এই রকম বলতাম  এখন বিয়ের পর যদি স্ত্রী সেই কাজ করে, তাহলে কি তালাক পতিত হবে?? বা আব্বা মার দেখা শোনা না করে  তাহলে কি তালাক পতিত হবে??
৬.  কেউ যদি  বিয়ের পূর্বে বলে, আমার যার সঙ্গে বিয়ে হবে ,বা আমি যাকে বিয়ে করবো , বিয়ের পর   অমুক কাজ করে তাহলে, ডিভোর্স দিবো বা  তালাক । এক্ষেত্রে কি শর্ত তালাক হবে??  বিয়ে কে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেনি।

৭. বিয়ের পূর্বে কেউ যদি বলে  আমার স্ত্রী যদি অমুক কাজ করে , তাহলে তালাক তাহলে কি তালাক হবে??
৮. কেউ যদি বিয়ের পূর্বে কারো সামনে কথার কথাই  বলে,  আমি বিয়ের আগে আমার স্ত্রী এর সঙ্গে কথা বলবো ,  বলে দিবো সব করবা, কিন্তু অমুক কাজ করবে না  অমুক কাজ করলে ডিভোর্স বা ডিভোর্স দিবো।  দিয়ে হয়ত বিয়ের আগে তার স্ত্রী র সঙ্গে গল্পঃ করতে করতে বলেছে বিয়ের পর অমুক কাজ করলে ডিভোর্স ।    এক্ষেত্রে কি সর্ত তালাক হবে??

৯. বিয়ের পূর্বে কেউ যদি বলে,  বিয়ের পর বউ যদি কথা না শুনে তাহলে ডিভোর্স , এর জন্য কি শর্ত তালাক হবে??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
জন্মদিন পালন করলে বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন হয়,তাই ইসলামে জন্মদিন পালন জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه رَضِىَ اللهُ عَنْهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لَا تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودِ وَلَا بِالنَّصَارٰى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُودِ الْإِشَارَةُ بِالْأَصَابِعِ وَتَسْلِيمَ النَّصَارَى الْإِشَارَةُ بِالْأَكُفِّ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

আমর ইবনু শু‘আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর পিতামহ হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছাড়া অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য করো না। কেননা ইয়াহূদীরা অঙ্গুলির ইশারায় সালাম দেয়, আর খ্রিষ্টানরা হাতের তালু দ্বারা সালাম করে।
(হাদীসটির হুকুক হাসান : তিরমিযী ২৬৯৫, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২১৯৪, আল জামি‘উস্ সগীর ৯৫৬৫, সহীহুল জামি‘ ৫৪৩৪, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৭৩৮০, ইরওয়া ১২৭০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৭২৩।)
,
 قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ " 

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদেরই অন্তরভুক্ত (হয়ে যাবে)।
(হাদিস টির হুকুম হাসান : আবূ দাঊদ ৪০৩১, মুসনাদে আহমাদে এরূপ শব্দে হাদীসটি নেই; আল জামি‘উস্ সগীর ১১০৯৪, সহীহুল জামি‘ ৬১৪৯, ইরওয়া ২৬৯১।

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
জন্মদিন পালন করা এ উপলক্ষ্যে খাবার দাবারের আয়োজন করা বা কারো জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো স্পষ্টই নাজায়েয ও হারাম।


তবে এর দরুন প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের ঈমান চলে যাবেনা।  আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবেনা। আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 
তবে জন্মদিন পালনের কারনে মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করে নিবেন।

আল্লাহর কাছে ওয়াদাবদ্ধ হবেন,যে আর কোনোদিন জন্মদিন পালন করবেননা,কাহারো জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও যাবেননা,জন্মদিনের খাবার খাবেননা।

আরো জানুনঃ  

(২-৯)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...