আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
182 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ না বুঝে কাউ কে কোনো দোষের কারণে কাফির নাস্তিক বললে করণীয় কী?  এর ভয়াবহতা সম্পর্কে না জেনে কাউ কে কাফির বলে ফেললে করণীয় কী এতে? আল্লাহর থেকে মাফ পাওয়ার জন্য কি কি করা লাগবে? এর জন্য কি কোনো কাফফারা দিতে হবে,
কাউকে কাফির নাস্তিক তার দোষের কারণে রাগের মাথায় বলা উচিৎ না তা আবার নিজের উপর আসে কিন্তু এটা সম্পর্কে না জেনে ভুল করে যদি বলা হয় তাহলে এর জন্য কি করতে হবে। এই জিনিসটা সম্পর্কে আগে থেকে না বুঝার কারণে ভুল হলে এটার জন্য কি সাথে  কোনো কাফফারা দিতে হবে।

1 Answer

0 votes
by (643,650 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَى إِلَيْكُمُ السَّلامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا
‘‘হে মুমিনগণ, যখন তোমরা আল্লাহর পথে যাত্রা করবে তখন যাচাই করবে এবং যে ব্যক্তি তোমাদেরকে সালাম দেবে তাকে বলবে না যে, ‘তুমি মুমিন নও।’’’ সূরা ৪- নিসা: ৯৪ আয়াত।

বিভিন্ন সাহাবী থেকে বর্ণিত মুতাওয়াতির পর্যায়ের হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:

إِذَا كَفَّرَ الرَّجُلُ أَخَاهُ فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا (إِنْ كَانَ كَمَا قَالَ وَإِلا رَجَعَتْ عَلَيْهِ)

‘‘যদি কোনো ব্যক্তি তার ভাইকে কাফির বলে, তবে এ কথা দু জনের একজনরে উপর প্রযোজ্য হবে। যদি তার ভাই সত্যিই কাফির না হয় তবে যে তাকে কাফির বলল তার উপরেই কুফরী প্রযোজ্য হবে।’’(বুখারী, আস-সহীহ ৫/২২৬৩-২২৬৪ (কিতাবুল আদব, বাবু মান আকফারা আখাহু); মুসলিম, আস-সহীহ ১/৭৯ (কিতাবুল ঈমান, বাবু বায়ানি হালি ঈমান মান কালা.. ইয়া কাফির)

ঈমানের দাবিদারকে কাফির বলা হত্যার মতই পাপ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
مَنْ رَمَى مُؤْمِنًا بِكُفْرٍ فَهُوَ كَقَتْلِهِ
‘‘কোনো মুমিনকে কুফরীতে অভিযুক্ত করা তাকে হত্যা করার মত অপরাধ।’’(বুখারী, আস-সহীহ ৫/২২৪৭, ২২৬৪ (কিতাবুল আদাব, বাবুন নাহই আনিস সিবাব)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
না বুঝে কাউকে কোনো দোষের কারণে কাফির নাস্তিক বলে ফেললে এজন্য করণীয় হল, তাৎক্ষণিক তাওবাহ করে নেয়া।আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া,এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (643,650 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...