আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামুয়ালাইকুম
আমি আপনার কাছে একটা বিষয় জানতে চাই।

১। আমাদের বিবাহ জীবন চার বছর পার হল এর মধ্যে প্রথমের দিকে দুই বছর দুই জনের মধ্যে টুকিটাকি সাংসারিক ঝামেলা ছিল তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে হয়তোবা আমি ওকে বা ও আমাকে অনেক বার বলেছে /বলেছি তেমাকে তালাক দিব,সংসার করবো না, সংসার করলাম না, ডিভোস দিবো বা তালাক দিবো। কোন সময় ডিভোর্স বা তালাক দিলাম একথা বলি নাই। একথা গুলো বলার সময় ঐ সময় আমার মনে কোন  তালাক দেওয়ার নিয়ত ছিল না।এই কথা গুলো বললে যে তালাক বা ডিভোর্স হবে আমরা দুইজন জানতাম না।  সব সময় মনে হইছে তালাক দিলে ওর কি হবে। ওতো অসহায় হয়ে যাবে তালাক হলে মেয়ে মানুষের বেশি সমস্যা হবে সবসময় এই কথা গুলো সব সময় আমার মনে হত।
২.এর মধ্যে আমিও ওকে অনেক বার বলছি তুমি তালাক দিলে দিতে পারো তার কিছু দিন পর একদিন ঝামেলা হলে ও আমাকে রাগের মাথায় এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক দেয়। পরে সে বলে আমি রাগ করে দিয়েছি পরে সে অনুতপতো হয় ও তওবা করে।
৩. আবার অনেক সময় ওর মামা বাড়ী,খালা বাড়ী যায় আমাকে না বলে জাওয়ার কারনে, ও যখন ওদের বাড়িতে থাকতো তখন আমাদের বাড়িতে ফোন দিত না আরও অন্যান কিছু কারনে আমি ওকে বলেছি যে আমি তোমাকে মুক্ত করে দিলাম,তুমি স্বাধীন,তুমি মুক্ত  তোমার ইচ্ছে মতো চলাফেরা কর তুমি,  আমি তোমাকে ছেড়ে দিলাম, মূলত এগুলো ওর চলাফেরার কারনে রাগে বলেছি। যাতে ও ওর ইচ্ছে মতো চলতে পারে। তালাকের নিয়তে বলিনি ভয় দেখানো নিয়তে বলেছি আবার হয়তো বা রাগ করে বলেছি এগুলো হয়তো অনেক সময় অনেক বার বলেছি। যাতে ও ভালোভাবে চলাফেরা করে।এগুলো বললে যে তালাক পতিত হবে আমরা দুইজন কেউ জানতাম না।এই কথাগুলো দুজন দুজন কেই বলেছি।
৪। আবার অনেক সময় দুজন দুজনকেই বলছি দুই পরিবারের লোকজন বসে আলোচনা করে একটা মিমাংসা কর।এটা অনেক সময় রাগেই বলা হইছে।আবার অনেক সময় ও আমাকে বলছে ঝগরার মাঝে আমি তোমার সাথে সংসার করতে চাইনা আমিও বলছি তোমার সাথে আমিও সংসার করতে চাইনা।  আমাদের ফোনে সবসময় ঝগরা হত।ফোন দিয়ে কিছু সময় ভাল থাকতাম তারপর আমাদের মাঝে ঝামেলা হইতো।

৫।ঝামেলার কারনে বা বিভিন্ন মনোমালিন্যর কারণে আমাদের মধ্যে সাত মাস শারিরিক মেলা মেশা হয়নি কারন ও থাকতো রংপুর আমি চাকরি করতাম ফেনি(তারপর ছিল করোনার লকডাউন) এর মধ্যে সাত মাসের মধ্যে একবার বাড়ি গিয়েছিলাম ওর সাথে আমার দেখাও হয়নাই মেলামেশা হয়নাই।কিন্তুু আমরা সব সময় মোবাইলে কথা হইতো ওকে আনতে আমার বাড়ি থেকে আমার বড় ভাই এবং চাচা আনতে গিয়েছিল ও আসেনাই। ও যখন আসে নাই তখন আমার পরিবার এবং আমি মনে করছিলাম আমাদের আর সংসার হবে না। আর দুই তিন মাস দেখে একটা ডিসিশন নেব।বিভিন্ন কাজী বা এ্যাডভোকেট,  মহুরির এবং লোকজনের কাজ থেকে পরামর্শ নেই। কিন্তুু ডিভোর্স আর হয়না। পরে দুই পরিবার এক হয়ে আমাদের মিলে দেয় সেই থেকে আমরা সংসার করছি।আমার স্ত্রী আট মাসের অন্তসত্তা।
৬৷কোন স্বামী-স্ত্রী এর মধ্যে কোন কারনে নিজের অজান্তেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।কিন্তুু তারা জানেনা। কিন্তুু তারা সারা
জীবন সংসার করে যায়। তারা তো    
সারা জীবন  জেনার পাপ করবে। এই ভাবে তারা যদি মারা যায় তাহলে আল্লাহ কি তাদের মাফ করে দিবে।

* হুজুর উপরোক্ত বিবরনে আমাদের    কি তালাক হয়েছে কি জানতে চাই আপনার কাছে।তালাক হলে কয় তালাক হয়েছে। আমাদের সম্পক কি বৈধ আছে না অবৈধ সম্পকের মধ্যে আছি।আমরা অবৈধ সম্পকের মধ্যে থাকলে আমরা কি আবার বৈধ সম্পকে ফিরে আসতে পারবো।আমাদের আনাগত সন্তান এর কি হবে।
হুজুর একটু তারাতাড়ি জানাবেন খুব পেরেশানির মধ্যে আছি।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
"তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে হয়তোবা আমি ওকে বা ও আমাকে অনেকবার বলেছে /বলেছি, তোমাকে তালাক দিব,সংসার করবো না, সংসার করলাম না, ডিভোর্স দিবো বা তালাক দিবো। কোন সময় ডিভোর্স বা তালাক দিলাম একথা বলি নাই।"

এদ্বারা তালাক হবে না। কেননা এখানে ভবিষ্যতে তালাকের কথা বুঝানো হচ্ছে।
صيغة المضارع لا يقع بها الطلاق الا اذا غلب فى الحال كما صرح به الكمال بن الهمام (الفتاوى الحامدية، كتاب الطلاق-38، رشيدة)
وفى الدر المختار، بخلاف قوله طلقى نفسك فقالت أنا طالق، أو أنا اطلق نفسى، لم يقع لأنه وعد، (رد المحتار، كتاب الطلاق، باب تفويض الطلاق-3/319


(২)
যদি স্ত্রী নিজের উপর তালাক গ্রহণ করে থাকে, তাহলে এদ্বারা তিন তালাক পতিত হয়ে যাবে।

(৩)
প্রশ্নের বিবরণমতে এতে তালাক পতিত হবে না।

(৪)
এতে কোনো তালাক পতিত হবে না।

(৫)
এতে কোনো সমস্যা হবে না।তালাক হবে না।

(৬)
উক্ত বিবরণ অনুযায়ী তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
মুফতী সাহেব এই বিষয় গুলো আমার জানা ছিলো না।ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
মুফতি সাহেব মেহেরবানি করে ফতোয়া গুলো জানালে উপকৃত হতাম।
by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 232 views
...