জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মৃত ব্যক্তির গোসল দেওয়ার সময় ডানদিক থেকেই অযুর কর্মসমূহ সম্পন্ন করা সুন্নাত।
এর খেলাফ কোনো দলিল নেই।
★তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ডান দিক থেকেই তাকে অযু করাতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ التَّيَمُّنَ مَا اسْتَطَاعَ فِي طُهُورِهِ وَتَنَعُّلِهِ وَتَرَجُّلِهِ. وَكَانَ قَالَ بِوَاسِطٍ قَبْلَ هَذَا فِي شَأْنِهِ كُلِّهِ.
ছহীহ বুখারী ৫৩৮০. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্রতা অর্জন, জুতা পরিধান এবং চুল আঁচড়ানোতে সাধ্যমত ডান দিক থেকে শুরু করতেন। [১৬৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৭৫)
,
(০২)
জানাযা নামাজে অতিরিক্ত وجل ثناءك
পড়া জায়েজ আছে,তবে এটাকে জরুরি মনে করা যাবেনা।
এটি সুন্নাহ দ্বারা প্রমানীত নয়।
তাই ফরজ নামাজে এটি কোনোভাবেই পড়া যাবেনা।
,
۔"تبیین الحقائق" :
''( قوله : ورواية جابر محمولة على التهجد ) أي التنفل ؛ لأنه مبني على المساهلة فيؤتي فيه بما شاء ، وأما الفرائض فيقتصرفيها على ما اشتهر، ولذا لم يؤت بقوله: جل ثناؤك فيها ؛ لأنه لم يذكر في المشاهير .''۔(2/49)
সারমর্মঃ জানাযা, নফল ইত্যাদি নামাজে এটা যার ইচ্ছা সে এটা পড়তে পারে।
তবে ফরজ নামাজে এটি পড়া যাবেনা।
"دررالحکام" :
"( ويثني ) أي يقرأ سبحانك اللہم إلا قوله:جل ثناؤك،فلا يأتي به في الفرائض، لأنه لم يأت في المشاهير"۔(1/299)
,
(০৩)
এ বিষয়ে তিনটি বক্তব্য ফুক্বাহায়ে কেরাম থেকে পাওয়া যায়। যথা-
১
চতুর্থ তাকবীরের পর উভয় হাতই ছেড়ে দিবে। সালাম ফিরানোর জন্য হাত বেঁধে রাখবে না।
২
উভয় হাতই সালাম ফিরানোর পর ছাড়বে।
৩
ডান দিকে সালাম ফিরানোর সময় ডান হাত আর বাম দিকে সালাম ফিরানোর সময় বাম হাত ছাড়বে।
সব ক’টি বক্তব্যই দলীল নির্ভর। তাই প্রতিটি বক্তব্যের উপরই আমল করা যায়।
মুফতী মাহমুদ গঙ্গুহী রহঃ, মুফতী আজীজুর রহমান দেওবন্দী রহঃ, মুফতী আব্দুর রহীম লাজপুরী রহঃ এর মতে উভয় দিকে সালাম ফিরানোর পরই হাত ছাড়াকে আমলযোগ্য এবং আকাবীরদের আমল বলে উল্লেখ করেছেন।
তাদের মতের পক্ষে দলীল হল-
وهو سنة قيام له قرار فيه مسنون فيضع حالة الثناء وفى القنوت وتكبيرات الجنازة (الدر المختار، كتاب الصلاة، فصل اذا اداء الشروع الخ-1/487-488)
যেহেতু জানাযা নামাযে চতুর্থ তাকবীরের পর মাসনুন জিকির হল সালাম। তাই এ সময় হাত বেঁধে রাখাই উচিত।
وفى الهداية: فيعتمد فى حالة القنوت وصلاة الجنازة، (الهداية، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة-1/102)
বাহ্যিকভাবে এটিই বুঝা যায় যে, পূর্ণ নামায শেষে সালাম ফিরানো হবে।
ويسلم بلا دعاء بعد تسليمتين، (الدر المختار، كتاب الصلاة، باب الجنائز-2/212)
সুতরাং বুঝা গেল যে, সালাম পর্যন্ত উভয় হাত বেঁধে রাখা উচিত। এসব দলীল ছাড়াও সমস্ত আকাবীরে উলামাগণের আমলও এটি ছিল যে, তারা সালাম ফিরানো পর্যন্ত উভয় হাত বেঁধে রাখতেন।
কিন্তু ফক্বীহুন নফছ মুফতী রশীদ আহমাদ লুধিয়ানবী রহঃ এবং আব্দুল হাই লাক্ষ্মৌবী রহঃ এর মতে চতুর্থ তাকবীরের পর হাত ছেড়ে দেয়া উচিত। সালাম ফিরানো পর্যন্ত হাত বেঁধে রাখা জরুরী নয়।
তাদের দলীল
وفى الخلاصة: ولا يعقد بعد الكتبير الرابع، لانه لا يبقى ذكر مسنون حتى يعقد فالصحيح انه يحل اليدين ثم يسلم تسليمتين، (خلاصة الفتاوى، كتاب الصلاة، الفصل الخامس والعشرون فى الجنائز، نوع منه اذا اجتمعت الجنائز-1/225)
ومن ههنا يخرج الجواب عما سئلت فى سنة وثمانين أيضا من أنه هل يضع مصلى الجنازة بعد التكبير الأخير من تكبيراته ثم يسلم أم يرسل، ثم يسلم، وهو أنه ليس بعد التكبير الأخير ذكر مسنون، فيسن فيه الإرسال، (سعاية، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة، بيان ارسال يدين….. بعد التكبير الأخير من تكبيرات صلاة الجنازة-2/159)
বিস্তারিত জানতে দেখুন-আহসানুল ফাতাওয়া-৪/২৩৯}
তবে সালাম ফিরানোর পর হাত ছাড়াটিই উত্তম বলে মনে হচ্ছে। বাকি আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন।
(০৪)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ