আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
হেদায়াত পাওয়ার পর থেকে দ্বীন ইসলামকে পরিপূর্ণ   মানার ও জান্নাতের জন্য নিজেকে উপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা ও স্বপ্ন লালন করি।তারই পরিপ্রেক্ষিতে সহশিক্ষা থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছিলাম অনার্স তৃতীয় বর্ষ থেকে। কিন্তু নিজের শারীরিক মানসিক দূর্বলতার কারণে সক্ষম হয়নি। বিয়ের পর মাস্টার্স থেকে নিজেকে বিরত রাখতে চাচ্ছি শুধুমাএ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। কিন্তু হাজবেন্ড কে বুঝাতে সক্ষম হলে ও পরিবারের প্রধান ভূমিকায় থাকা শ্বশুর শ্বাশুড়িকে কনভিন্স করতে পারতেছিনা এখনো। আমি এখন হলে অবস্থান করছি।পরীক্ষা সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ। শ্বশুর শ্বাশুড়ির কথা অমান্য করলে হয়তো কথাবার্তা কমায় দিবে আর হয়তোবা আনুষঙ্গিক খরচ যা আগে বহন করতো তা করবে না। এই মূহুর্তে আল্লাহর জন্য অন্ততপক্ষে মাস্টার্স ছাড়তে চাওয়া এই বান্ধীর করণীয় কি হবে ইনশাআল্লাহ। আমার হাজবেন্ড আমার পাশে থাকবেন বলেছেন কিন্তু পরিবারে যোগ্য ভূমিকা না রাখার কারণে ওনি মা বাবার অবাধ্য হয়ে হল থেকে নিয়ে যাওয়া সমীচীন মনে করছেননা।
এ অবস্থায় আমি কি করবো??

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি নিজের ঈমান আ'মল বাঁচিয়ে শিক্ষাগ্রহণ করা আপনার জন্য সম্ভব হয়, তাহলে বর্তমান পরিস্থিতে মাস্টার্স কম্পিলিট করতে পারবেন। তবে নিজের ঈমান আ'মলের সাথে কোনো প্রকার কম্প্রোমাইজ করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...