بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
প্রতিটি মুমিন
সবসময়ই চাইবে— তার শুভ ইচ্ছে ও চাওয়াগুলো যেন পূর্ণতা পায়। তাই আপ্রাণ চেষ্টার
পাশাপাশি কায়মনো বাক্যে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা ও দোয়া করে।
হাদিসে মানুষের
দোয়া কবুল হওয়ার বিভিন্ন মাধ্যম উল্লেখ করা হয়েছে। সময়কাল ও ধরনও আলোচিত হয়েছে। দোয়া
কবুল হওয়ার অন্যতম মাধ্যম ইসমে আজমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
হাদিসে রয়েছে- একবার হজরত আনাস (রা.) রাসূল (সা.)-এর সঙ্গে বসা
ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে নামাজ আদায় করল এবং নিচের এ দোয়াটি পাঠ করল-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي
أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ
الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি। তুমিই তো সব
প্রশংসার মালিক, তুমি
ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তুমি দয়াশীল। তুমিই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা!
হে মহান সম্রাট ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, হে চিরঞ্জীব, হে সর্বময় ক্ষমতার
অধিকারী।’
তখন নবীজি (সা.) বললেন, এ ব্যক্তি ‘ইসমে আজম’ পড়ে দোয়া করেছে, (‘ইসমে আজম’ মহান
আল্লাহর এমন নাম) যে নামে ডাকলে মহান আল্লাহ সাড়া দেন এবং যে নামে তার কাছে চাওয়া হলে
তিনি সব চাওয়া পূরণ করেন। (আবু দাউদ) অর্থাৎ এই দোয়াটি হল ‘ইসমে আজম’।
দোয়াটি পাঠ করলে মহান আল্লাহ মুমিন বান্দার মনের সব ইচ্ছা পূরণ
করবেন (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৪)
** সালাতুল হাজাত
বা ‘প্রয়োজনের নামাজ’— একটি বিশেষ
নফল ইবাদত। মানুষের বিশেষ কিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক-মানসিকভাবে কোনো দুশ্চিন্তা
দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়। সালাতুল হাজত একটি সাধারণ নফল নামাজ। এই নামাজ পড়ার নির্দিষ্ট
কোনো দিন বাধা নেই,
যে এতো দিন পড়তেই হবে।
নিজের যেকোনো প্রয়োজনে ধারাবাহিকভাবে সারাজীবন সালাতুল হাজত
পড়া যায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন,
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اسۡتَعِیۡنُوۡا
بِالصَّبۡرِ وَالصَّلٰوۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ
‘সঙ্গত
কোনো প্রয়োজন পূরণের জন্য বান্দা নিজ প্রভুর কাছে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য
প্রার্থনা করবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩)
‘সালাতুল
হাজত’ নামাজের আলাদা কোনো নিয়ম নেই। স্বাভাবিক নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই
রাকাত নফল নামাজ পড়বে। চাইলে চার রাকাতও পড়া যাবে। নামাজ শেষে আল্লাহ তাআলার হামদ ও
ছানা (প্রসংসা) এবং নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ শরিফ পাঠ করে— নিজের মনের কথা ব্যক্ত করে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
১. প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি উপরে উল্লেখিত আমলগুলির মাধ্যমে
আল্লাহ তায়ালার নিকট নিজের মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য ফরিয়াদ করতে পারেন।
২. আপনি যদি অবিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আপনার বিয়ের আলামত বহন করছে
এবং আপনাকে আল্লাহ তায়ালা ধনসম্পদেও বরকত দান করেবেন ইনশাআল্লাহ। সুতরাং আল্লাহ তায়ার
উপর পূর্ণ ভরসা করে চেষ্টা ও দোয়া চালিয়ে যান, আল্লাহ তায়ালা যেন আপনার জন্য কল্যাণের
ফায়সালা করেন।