ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদদি তিনবার সুবহানাল্লাহ সমপরিমাণ সময় বসে না থাকেন, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। নতুবা সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
(২)
কোনো এক রুকুনে তথা নামাযে প্রত্যেকটি ফরযের কোনো একটি ফরযে তিন তাসবিহ সমপরিমাণ দেড়ী করা। সুতরাং সম্পূর্ণ নামাযের দেড়ীকে একসাথে হিসাব করা হবে না।বরং প্রত্যেকটি রুকুনের হিসাব পৃথক পৃথক থাকবে।
(৩)
সিজদায়ে সাহু ভুলে গেলে করণীয়
"وإعادتها بتركه عمداً" أي ما دام الوقت باقياً وكذا في السهو إن لم يسجد له وإن لم يعدها حتى خرج الوقت تسقط مع النقصان وكراهة التحريم ويكون فاسقاً آثماً، وكذا الحكم في كل صلاة أديت مع كراهة التحريم، والمختار أن المعادة لترك واجب نفل جابر، والفرض سقط بالأولى؛ لأن الفرض لايتكرر كما في الدر وغيره، ويندب إعادتها لترك السنة"
(حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح (ص: 247)
সিজদায়ে সাহু ভুলে গিয়ে সালাম ফিরিয়ে নিলে, যদি নামায ভঙ্গকারী কোনো জিনিষ নিজের দ্বারা সংগঠিত না হয়, তাহলে সাথে সাথেই দু'টি সিজদ দিয়ে তাশাহুদ এবং দুরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরিয়ে নিলেই হবে। মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর সাহু সিজদার কথা মনে পড়লে,তখন ওয়াক্তের ভিতরে ঐ নামাযকে দোহড়িয়ে নিতে হবে। ওয়াক্ত চলে গেলে আর দোহড়ানোর সুযোগ থাকবে না। বরং ঐ ব্যক্তিকে তখন ইস্তেগফার করতে হবে। ঠিক তেমনি প্রত্যেক ঐ নামায যা মাকরুহে তাহরিমীর সাথে আদায় হবে, সেই নামাযকেও ওয়াক্তের ভিতর দোহড়িয়ে পড়ে নিতে হবে।উপরোক্ত পদ্ধতিসমূহে নামাযকে দোহড়ানো তথা আবার পড়া মুস্তাহাব।কেননা প্রথমবারের নামায দ্বারা তো ফরয আদায় হয়েই গেছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/897
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি বুঝতে পারে যে, তার ১ বছরের সালাতে ওয়াজিব তরক হয়েছে কিন্তু সেই বিষয়ে তার সেই সময়ের ধারনা ছিলনা, বরং অনিচ্ছাকৃত তা হয়েছে। তাহলে এমতাবস্থায় তাকে ইস্তেগফার করতে হবে।