আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in সালাত(Prayer) by (47 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি সালাতে ১ম ও ৩য় রাকাআতে সেজদাহের পর কিছুক্ষন বসতাম,এক তাসবিহ পরিমাণও না,খুবই কম সময়।আসলে খুব ভালোভাবে জানতাম না এ ব্যাপারে,জানতাম যে একটু বসলে কিছু হবেনা।এখন আর এমন করি না হানাফি ফিক্বহ জানার পরে।

১. এখন আমার এতদিনের সালাতে কোনো সমস্যা হবে?

২.তিন তাসবিহর হিসাব কীভাবে করতে হবে যদি সালাতে একাধিক রাকাআতে একই ভুল করি?সবমিলিয়েই হিসাব করতে হবে?

৩. সালাতের বাইরে কীভাবে সাহু সেজদাহ দেয়?কেউ যদি বুঝতে পারে যে তার ১ বছরের সালাতে ওয়াজিব তরক হয়েছে কিন্তু সেই বিষয়ে তার সেই সময়ে ধারনা ছিলনা,অনিচ্ছাকৃত। এ অবস্থায় কী করবে?

1 Answer

0 votes
by (588,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদদি তিনবার সুবহানাল্লাহ সমপরিমাণ সময় বসে না থাকেন, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। নতুবা সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।

(২)
কোনো এক রুকুনে তথা নামাযে প্রত্যেকটি ফরযের কোনো একটি ফরযে তিন তাসবিহ সমপরিমাণ দেড়ী করা। সুতরাং সম্পূর্ণ নামাযের দেড়ীকে একসাথে হিসাব করা হবে না।বরং প্রত্যেকটি রুকুনের হিসাব পৃথক পৃথক থাকবে।

(৩)
সিজদায়ে সাহু ভুলে গেলে করণীয় 
"وإعادتها بتركه عمداً" أي ما دام الوقت باقياً وكذا في السهو إن لم يسجد له وإن لم يعدها حتى خرج الوقت تسقط مع النقصان وكراهة التحريم ويكون فاسقاً آثماً، وكذا الحكم في كل صلاة أديت مع كراهة التحريم، والمختار أن المعادة لترك واجب نفل جابر، والفرض سقط بالأولى؛ لأن الفرض لايتكرر كما في الدر وغيره، ويندب إعادتها لترك السنة" 
(حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح (ص: 247)
সিজদায়ে সাহু ভুলে গিয়ে সালাম ফিরিয়ে নিলে, যদি নামায ভঙ্গকারী কোনো জিনিষ নিজের দ্বারা সংগঠিত  না হয়, তাহলে সাথে সাথেই দু'টি সিজদ দিয়ে তাশাহুদ এবং দুরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরিয়ে নিলেই হবে। মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর সাহু সিজদার কথা মনে পড়লে,তখন ওয়াক্তের ভিতরে ঐ নামাযকে দোহড়িয়ে নিতে হবে। ওয়াক্ত চলে গেলে আর দোহড়ানোর সুযোগ থাকবে না। বরং ঐ ব্যক্তিকে তখন  ইস্তেগফার করতে হবে। ঠিক তেমনি প্রত্যেক ঐ নামায যা মাকরুহে তাহরিমীর সাথে আদায় হবে, সেই নামাযকেও ওয়াক্তের ভিতর দোহড়িয়ে পড়ে নিতে হবে।উপরোক্ত পদ্ধতিসমূহে নামাযকে দোহড়ানো তথা আবার পড়া মুস্তাহাব।কেননা প্রথমবারের নামায দ্বারা তো ফরয আদায় হয়েই গেছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/897

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি বুঝতে পারে যে, তার ১ বছরের সালাতে ওয়াজিব তরক হয়েছে কিন্তু সেই বিষয়ে তার সেই সময়ের ধারনা ছিলনা, বরং অনিচ্ছাকৃত তা হয়েছে। তাহলে এমতাবস্থায় তাকে ইস্তেগফার করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 118 views
...