আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (18 points)
اَلسَلامُ عَلَيْكُم وَرَحْمَةُ اَللهِ وَبَرَكاتُهُ‎


আমার স্বামীর সাথে আমার মাসনা হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন দূরত্ব ছিলো,ইভেন আমি গর্ভবতী থাকাকালীন ও। গত মে মাসে আমার আট মাসের সন্তান গর্ভে মারা যাওয়ার পর স্বামীর আমার প্রতি দয়া ও ভালোবাসার সৃষ্টি হয়।একটা ভালো সম্পর্ক হয়। এরমধ্যে উনি আমাকে প্রায় ই সুলাসার কথা বলে, সুলাসা করবে আমার জন্য কারণ আমি সারাদিন একা থাকি আর আমাকে ঘরের কাজ ও পড়াশোনা সহ সকল ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। আমি সন্মতি জানাই।

কিন্তু তিনি বলেছেন উনার এখন বিয়ে করার আগ্রহ নাই। তবুও আমি কয়েকজনের সাথে কথা বলার পর তারা রিজেক্ট করে। এরপর থেকে উনিই বিভিন্ন বিবাহ ম্যাট্রমিডিয়ায় পাত্রী দেখতে থাকে।আমার কষ্ট দেখে বলেছিলেন এমনিই দেখবো কেউ দিবে না সুলাসার জন্য মেয়ে তুমি অতিরিক্ত চিন্তা করে নিজেকে কষ্ট দিও না। যাই হোক তিনি একজন পাত্রী পান আমিও কথা বলি পাত্রীর সাথে কিন্তু পাত্রীর আচরণ আমার পছন্দ হয় নি। সমস্যা হলো আমার স্বামী এখন ওই পাত্রীকেই বিয়ে করবেন। উনার ভাষ্যমতে পাত্রী টি অসহায় এবং বয়স বেশি ও অসুন্দরের কারণে তার বিয়ে হচ্ছে না।

আমার আপত্তি নেই যে তিনি সুলাসা করবেন।

প্রথমত আমি খুব অল্প সময় ধরে আমার স্বামীকে কাছে পাচ্ছি উনার ভালোবাসা পাচ্ছি আর আমার বয়স ও কম তাই উনাকে আপাতত নিষেধ করছি বিয়ে করতে।

অন্যদিকে এই পাত্রী বিয়ের পূর্বেই আমার ও আমার স্বামীর মাঝে কিছুটা দূরুত্ব সৃষ্টি করে দিয়েছে এবং তাকে আমার দৃষ্টিতে আমি কল্যাণকর দেখছি না,আল্লাহর কাছে স্বলাত পড়ে দু'আ ও করেছিলাম কিন্তু মন সায় দিচ্ছে না কিছুতেই।


আমার স্বামী ওই পাত্রীকেই বিয়ে করবেই করবে সেটা ফাইনাল।


এখন আমার উনার প্রতি খারাপ লাগা কাজ করছে এজন্য যে তিনি আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে নিজের পছন্দ ও স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।


অন্যদিকে আমার স্বামী প্রচুর অর্থ ঋণ আছে প্রায় দেড় কোটি টাকা।


এখন তিনি স্বপ্নে দেখেছেন তিনি কা'বা ঘর পরিষ্কার করছেন এবং আমি স্বপ্নে দেখছি কেউ আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন।

1 Answer

0 votes
by (711,240 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
 الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير) 
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)

হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ». 
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ যে, আপনি একটি মৃত সুন্নাহকে জীবিত করার চেষ্টায় আছেন।আল্লাহ আপনার দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ করুক।আমীন। আপনার স্বামীর ঋণ পরিশোধ হবে এবং জীবনে বারাকাহও হবে। আপনি বর্তমান পরিস্থিতিতে ভয় পাবেন না।যেই পরিস্থিতিই আপনার সামনে আসুক।আপনি ধর্য্য সহকারে সেই পরিস্থিতির মুকাবেলা করবেন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (711,240 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...