আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in পবিত্রতা (Purity) by (11 points)
আমার ছোট বাচ্চা আছে।সে সারাদিন সারাঘর ঘুরে বেড়ায়।অনেক কিছু ধরে।এমন কিছুও ধরে যেটা নাপাক।এভাবে ওর নখে ময়লা জমে।এই ময়লা কি পাক ময়লা নাকি নাপাক ময়লা আল্লাহ জানে তবে আমার সন্দেহ হয় নাপাক।গতকাল তাকে গোসল করানো পরে দেখি ওর হাতের নীচে কিছু ময়লা মনে বাচ্চাদের শরীরে যেমন কাপড়ের সুতা থাকে সেগুলো আটকে আছে।তাকে গোসল করলে সে প্রতিদিনই গোসলখানায় প্রসাব করে।আর এই কাপড়ের সুতা পাক জায়গার না নাপাক জায়গার কে জানে।যায় হোক আমি এটাকে নাপাক ধরে নিয়ে আজকে তার গামছা আমার গামছা সব ধুয়ে ডিসি ।আমার গুলো ধুইসি কারণ বাবু যেহেতু নাপাক তাই ওরে ধরে আমি আমার মাথায় ভিজা গামছায় হাত দিসি সুতরাং আমার গামছা নাপাক হয়ে গেছে বাবুর হাত ও আমার ভিজা গামছায় লাগসে।তাই আমি সব ধুয়ে দিসি।যেহেতু আগেরদিন সে নাপাক ছিল তাই ওর ওই নখের ময়লা যদি ওর শরীর চুলকিয়ে সেই শরীরের ছাতা ময়লা আটকে থাকে নখের মধ্যে তাহলে এটাও নাপাক।আবার বাবুকে গোসল করানো সময় সে প্রসাব করে সেখানে হাত দিসে।তো সেই প্রস্রাবটাওবাবুর নখের ওই ময়লার মধ্যে ঢুকসে।তাই এটাও নাপাক।

1।আমার প্রশ্ন হলো বাবুর ওই নখের ময়লা কি সত্যিই নাপাক রয়ে গেছে।তাই বাবুকে ভিজা হাতে ধরে আবার আমার ভিজা চুলে ধরার জন্য কি আমার নামাজ হবেনা

2।ওরে যেই গামছা দিয়ে মুচসি আবার বাবুর হাত এমনিতেই ধুয়ে আমার গামছা দিয়ে মুছে দেখি ওর নখে এই ময়লা এরপরই আমার সন্দেহ হলো এটা নাপাক।আমার ওই গামছা বাবুর গামছা কি ধুতে হবে?ওই ভিজা গামছা যেই জায়গায় রাক্ষসী সেটাও ধুতে হবে আমার গামছা ভিজে অন্য জায়গায় পানি লাগসে।

3।বাবা হাতের নীচে লেগে থাকা সুতা গুল কি নাপাক রয়ে গেছে।বাবুকে গোসল করানো সময় আমি প্রচুর পানি দেয়।আমারদের কলটা ঝর্ণার মতো তাই প্রচুর পানী ঢালা হয়ে যায়।এখন গোসল করানো সময় পানি হাতের নীচে পৌঁছাইসে কিনা পানি প্রবাহিত হয়ে সেটা পাক হইসে কিনা আমি জানিনা।আমার মনে হয় বুঝি পানি যায় নাই।পানি গেলেতো সেটা নিকর পরে যেত ঐটা হাতের সাথে লেগে থাকতোনা।আল্লাহই ভালো জানে।এটাকি আমি পানাক ধরে নিব।আমার সবকিছু ধুয়ে পরিষ্কার করা কি ঠিক হইসে নাকি পানির অপচয় হইসে।এটাকি শয়তানের ধোকা নাকি সত্যিই আমি জানি ভাবি এগুলো ঠিক

4।হাতের থাকা সুতার কারণে আমার হাত নাপাক হয়ে থাকলে সেই হাত দিয়ে আমিজে আবার ভাসেলিনে ধরসি তাহলে ঐ ভাসেলিনের কৌটার ভাসেলিনেও ও নাপাক হয়ে গেছ?

5।এই নাপাকির সন্দেহ আমার প্রতিদিন কোননা কোনো কারণে হয় আর আমি প্রতিদিনই নামাজ পড়তে পারিনা।কারণ বাবু আমাকে ধরে আমি বাবুকে ধরি ভিজা হাতেও ।বাবু ঘর ঘুরে বেড়াই আমাদের ঘর নাপাক মনে হয় আমার কাছে কারণ বাথরুমের জুতা নিয়ে পাড়ায় সবাই ঘরে আর গোসল খানার বাইরে ওয়ানী প্রবাহিত হওয়ার মতো জায়গা নেই সেই জায়গায় ওয়ানী পড়লে মুছে দিতে হয়।বাবু যেহেতু গোসলখানায় প্রসাব করে তাই ওই প্রসবের চিতা ওই ফ্লোর এ পরে যেটা মুছে দিতে হয় কিন্তু জুতার মধ্যেতো সেই নাপাক পানি লেগেই থাকে যেটা নিয়ে আমরা সারা ঘর হাতি।অনেক সময় অনেক বিচ্ছু ভিজা ফ্লোর এ রাখি এগুলো আবার ভালো শুকনা জায়গায় তুলি।এরকম করে আমার পুরা ঘর নাপাক লাগে।শুধু আমার বিছানা আর কিছু জায়গা আমি প্রতিদিন মুছে রাখি সেগুলো পরিষ্কার মনে হয় পাক মনে হয়।এর কারণে ঘরের কোথাও আমার শরীর লাগলে ভিজা শরীর মনে হয় নামাজ হবেনা।কারণ আমার হাত ওয়া খুব ঘামে।ওই হাত দিয়ে নামাজের হিজাব ধরে হিজাব নাপাক হবে।আমার হাত দিয়ে আমি ভিজা মাথায় ধরি।এভাবে ভিজা চুল নিয়ে নামাজ পড়লে ওই চুলের ওয়ানী হিজাবে লেগে সেটাও নাপাক হবে।আমার এই ভাবনা গুলো কি যৌক্তিক নাকি অমূলক??আমি কি করবো আমি নামাজ পড়তে পারছিনা।

6।ফ্লোরের চুল পায়ে ভিজা পায়ে লাগলে বা শুকনা পায়ে লাগলেও নামাজ পড়তে পারিনা সন্দেহ লাগে।আবার বাথরুমে গিয়ে ওয়া ধুব সেটাও ভয় লাগে যদি নাপাক ওয়ানী শরীরে মা মাথায় ছিটে আসে তখন কি হবে।তখন তো শরীর মাথা নাপাক হবে।

7।নাপাকির এই সন্দেহের কারণে বাসার প্রতিটা সদসকে আমার নাপাক মনে হয়।কেউ যদি বাবু ঘেমে ভিজে থাকা অবস্থায় বাবুকে ধরে আমার মনে হয় বাবু নাপাক হয়ে গেছে।আমিও সে জায়গায় বাবুদে ধরি বা আমার হাতে আর শরীরে লেগে যায় বাবুর ওই ঘামে ভিজে জায়গা তখন তো আমিও নাপাক সুতরাং নামাজ হবেনা।এরকমই চলে প্রতিদিন।আমি শুধু গোসলের পরে আসে জোহর আর আসরের নামাজ পড়তে পারি আর কোনো নামাজ পড়তে পারিনা

এই সন্দেহের জন্য আমি কি করতে পারি।আমি এসহক্ব ভাবতে চাইনা তবুও মাথায় ঘুরতেই থাকে যার জন্য আর নামাজ পড়িনা।যে নামাজ পড়লে আবার জায়নাম নামাহের হিজাব সব অপরিস্কার হবে।আমি কি করতে পারি

1 Answer

0 votes
by (560,520 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


নিশ্চিত ভাবে না জেনে অযথা সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো কিছুকে নাপাক বলার সুযোগ নেই।
,
যেই মূলনীতি নিম্নোক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم الرَّجُلُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْهِ فَقَالَ " لَا يَنْفَتِلُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا " . - صحيح : 

‘আব্বাদ ইবনু তামীম হতে তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অভিযোগ করল যে, কখনো সলাতের মধ্যে কিছু একটা সন্দেহ হয় যে, তার অযু হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বললেন, (বায়ু নির্গত হওয়ার) শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সলাত ছাড়বে না।

বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহ বশতঃ উযু করতে হবে না, হাঃ ১৩৭), মুসলিম ৩৬২ (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর উযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ হলেও ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়িয,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩০৬)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেনঃ

ব্যাখ্যা: قَوْلُهٗ (حَتّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَو يَجِدَ رِيْحًا) (যতক্ষণ না সে বায়ু বের হওয়ার শব্দ বা নির্গত বায়ুর গন্ধ পাবে ততক্ষণ নামাজ ছেড়ে আসবে না)। এর অর্থ হলো যতক্ষণ না সে শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়া বা অন্য যে কোন পন্থায় তার বায়ু নির্গত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় ততক্ষণ নামাজ পরিত্যাগ করবে না বা ছেড়ে আসবে না। তবে এতে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়াটিই শর্ত নয়।

এ হাদীস আরও প্রমাণ করে যে, শারী‘আতের কোন বিষয়ে সন্দেহের মাধ্যমে সুনিশ্চিত বিষয় বাতিল হয়ে যাবে না। অতএব যার সন্দেহ হবে বায়ু নির্গত হয়েছে কিনা তবে সে তার অজু ভঙ্গ না হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকবে। নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত এ সন্দেহ তার কোন ক্ষতি করবে না। আর এটি অন্যান্য বিষয়েও সমভাবে প্রযোজ্য।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
ঐ নখের ময়লাতে যদি নাপাকির গন্ধ/চিহ্ন পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে তাহা নাপাক বলে মনে হবে। নতুবা এমনিতেই সন্দেহের ভিত্তিতে সেই ময়লাকে নাপাক মনে করার সুযোগ নেই।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নামাজ হবে।

(০২)
গামছা দুটি হতে নাপাকির গন্ধ না পেলে তা ধোয়ার প্রয়োজন নেই।

(০৩)
এগুলো শয়তানের ধোকা। আপনি এক নং প্রশ্নের জবাব অনুযায়ী আমল করবেন। 

(০৪)
না,নাপাক হয়নি।

(৫.৬.৭)
আপনার এই ভাবনা গুলো যৌক্তিক নয়,  বরং তাহা অমূলক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...