আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমি দীর্ঘদিন যাবত হস্তমৈথুনে আসক্ত ছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে পর্ণ এবং হস্তমৈথুন ছাড়তে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু ইদানিং আবার হস্তমৈথুনের জন্য ওয়াসওয়াসা পাই এবং মাঝে মাঝে এমন অবস্থা হয় এইটি করেই ফেলব, তারপর আল্লাহর ভয় এবং শারীরিক ক্ষতি, বিভিন্ন চিন্তা করে বিরত থাকার চেষ্টা করি। তারপরও আমার মনে হচ্ছে আমি যেকোনো সময় এটিতে জড়িয়ে যেতে পারি। অনলাইনে এখন বিভিন্ন খেলনা/টয় বিক্রি হয়, যেইগুলোর ব্যবহারে শারীরিক ক্ষতি কম হয়ম জানতে চাচ্ছিলাম, শারীরিক ক্ষতি থেকে বাচার জন্য, খুব বেশি যখন এর ইচ্ছা জাগে, যখন সামলে রাখা যায় না এই অবস্থায় কি এইগুলো ব্যবহার করতে পারব?এই উদ্দেশ্যে কেনা কি জায়েজ হবে? কারণ এছাড়া আমি পর্ণ অথবা হস্তমৈথুনের দিকে যাওয়ার জন্য বার বার ওয়াসওয়াসা পাচ্ছি, যা প্রতিনিয়ত বাধা দেওয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এবং আমার এই মূহুর্তে বিয়ে করারও সামর্থ্য নেই

ধন্যবাদ

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/50877/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন বা হস্তমৈথুন করা কোরআন সুন্নাহ ও সুস্থ বিবেকের নির্দেশ মতে হারাম ও কবিরা গুনাহ।

 

আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

عبد الله بن عمرو بن العاص عن النبي صلى الله عليه وسلم سبعة لا ينظر الله عز وجل إليهم يوم القيامة ولا يزكيهم ويقول : ادخلوا النار مع الداخلين : الفاعل والمفعول به ، والناكح يده ، وناكح البهيمة ، وناكح المرأة في دبرها ، وناكح المرأة وابنتها ، والزاني بحليلة جاره ،والمؤذي لجاره حتى يلعنه

সাত শ্রেণীর লোকের উপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষণ করেন, কিয়ামতের দিন এদের দিকে তাকাবেন না এবং এদেরকে জাহান্নামে প্রবেশের আদেশ দিবেন। এরা হল–সমকামী, হস্তমৈথুনকারী, জীবজন্তুর সাথে সঙ্গমকারী, স্ত্রীর সঙ্গে পুংমৈথুনকারী, কোন মহিলা ও তার কন্যাকে একসাথে বিবাহকারী, প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারকারী এবং প্রতিবেশীকে এমন কষ্টদানকারী যে, যার কারণে সে তাকে অভিশাপ দেয় । তবে এরা যদি তাওবা করে তাহলে তারা সবাই হয়ত ক্ষমা পেতে পারে।” (বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান৭/৩২৯)

 

নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

নিয়মিত নামায আদায় করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে মুনাজাত করে, তাঁকে স্মরণ করে, তাঁর কিতাব তেলাওয়াত করে স্বাদ অনুভব করতে হবে।

আল্লাহ্ তাআলা বলেন,

اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা আনকাবুত ৪৫)

 

একবার সাহাবারা রাসূলুল্লাহ -কে বলল, অমুক সাহাবী বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন, সে কি এখনো নামাজ পড়ে? সবাই বলল, হ্যাঁ, পড়ে। রাসূলুল্লাহ বললেন, সে যদি নামাজ পড়তে থাকে তাহলে নামাজ তাকে অবশ্যই একদিন খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৭)

 

হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার বিস্তারিত আমল জানুনঃ

https://ifatwa.info/9968/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!


ক. আপনি দ্রুত বিবাহের চেষ্টা করুন, বিবাহের আগে এই মারাত্মক গুনাহ থেকে বাঁচতে রোযা রাখবেন এবং বিবাহের আগ পর্যন্ত রোযা চালিয়ে যাবেন।

দ্রুত বিবাহের আমল জানুনঃ- https://ifatwa.info/5258/

আপনি আল্লাহর কাছে দোয়ার পাশাপাশি নিজ অভিভাবকদের মাধ্যমে দ্রুত বিবাহের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

 

খ. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রেও খেলনা/টয় করা এবং তার মাধ্যমে হস্তমৈথুন করা কোরআন সুন্নাহ ও সুস্থ বিবেকের নির্দেশ মতে হারাম ও কবিরা গুনাহ। তাই এর থেকে পরিহার করা চায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...