বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ اشْتَرَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ يَهُودِيٍّ طَعَامًا بِنَسِيئَةٍ وَرَهَنَهُ دِرْعَهُ
‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ইয়াহূদী হতে বাকীতে খাদ্য ক্রয় করেন এবং নিজের লৌহ বর্ম তার কাছে বন্ধক রাখেন। (সহীহ বোখারী-২০৯৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার বাবা টাকার বিনিময়ে জমি বন্ধক দিয়েছেন, এই টাকা আপনার বাবার জন্য খরচ করা জায়েয হবে।তবে যাকে জমি বন্ধক দিয়েছেন, তিনি সেই জমিতে চাষাবাদ করতে পারবেন না।
(২) যদি আপনার বাবা পরবর্তীতে আর টাকা মেনেজ করতে পারেন, এবং আরো কিছু টাকা নিয়ে ঐ ব্যক্তির নিকট জমি বন্ধক দিতে চান, তাহলে সেটাও জায়েয হবে।
(৩) বিসমিল্লাহ বলে কোন হারাম কাজ করা কুফুরি। এখন কেউ যদি হারাম টাকায় কিনা কোনো হালাল জিনিস (যেটা বস্তুগত হালাল) বিসমিল্লাহ বলে খায়, তাহলে সেটা কুফুরি হবে না।কেননা খানা খাওয়া বিষয়টা তো হারাম নয়। যদিও হারাম টাকায় ক্রয় করা হয়েছে। ঐ পরিমাণ টাকা সদকাহ করে নিলেই হবে। হ্যা, কেউ কেউ কুফরির ফাতাওয়াও দিয়ে থাকেন
(৪) অনেক সময় একটা হালাল জিনিস, কিন্তু সেটা হালাল টাকায় নাকি হারাম টাকায় কিনা সেটা শতভাগ নির্ণয় করা যায় না। তো সেক্ষেত্রে যদি সেই জিনিসটা ভোগ না করাই উত্তম ও উচিৎ। তবে যদি ভোগ করতে অপারগ হয় তাহলে বিসমিল্লাহ বলা যাবে।
(৫) উমরায় যেতে হলে পাসপোর্ট, ভিসা এবং এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশনে মহিলাদের ছবি প্রদর্শন এবং মুখমন্ডল প্রদর্শন করতে হয়। সেক্ষেত্রে উমরা করার রুখসত বা সুযোগ রয়েছে।এবং হজ্ব করা ফরয।
(৬) সন্দেহ যুক্ত টাকায় কেনা কাপড় পড়ে নামাজ পড়লে নামাজ হবে। তবে সন্দেহমুক্ত কাপড় পরিধান করেই নামায পড়া উচিৎ।