জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনাকে এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন।
বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত দুশ্চিন্তা মাথায় আসতেই দিবেননা। যেখানে গেলে বা যেসব কাজ করলে এহেন দুশ্চিন্তা আসবে,সেসব জায়গা/কাজ পরিহার করতে হবে।
এহেন দুশ্চিন্তার মাথায় আসলেই
لا حول ولا قوة الا بالله العلي العظيم
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم
বেশি পাঠ করবেন।
(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার বিবাহ করতে সমস্যা নেই।
(০৩)
ইহ-পরকালীন সকল বিষয়ে ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাওয়ার হুকুম প্রদান করা হয়েছে।
সুতরাং আপনি ধৈর্য ধারন করবেন,ও ফরজ নামাজের পাশাপাশি বেশি বেশি নফল নামাজ পড়বেন।
মহান আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اسْتَعِينُوْا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ إِنَّ اللهَ مَعَ الصَّابِرِيْنَ،
‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে থাকেন’ (বাক্বারাহ ২/১৫৩)।
অনুরূপ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ)-কে আদেশ করেন, ‘জেনে রেখো অবশ্যই সাহায্য ধৈর্যের সাথে রয়েছে’।
ইসতিক্বামাত তথা দ্বীনের উপর অটল থাকার ব্যাপারে ধৈর্য বিশেষ গুরুত্ব রাখে। ছাহাবায়ে কেরাম যে ঈমান ও আমলের ক্ষেত্রে দ্বীনের উপর অটল থাকতে সক্ষম হয়েছিলেন, তার বড় কারণ ছিল ধৈর্য।
মহান আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ،
‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ কর। পরস্পরে দৃঢ় থাক এবং সদা প্রস্ত্তত থাক। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হ’তে পার’ (আলে ইমরান ৩/২০০)।
বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করবেন।
বেশি বেশি যিকির করবেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
اَلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ تَطۡمَئِنُّ قُلُوۡبُہُمۡ بِذِکۡرِ اللّٰہِ ؕ اَلَا بِذِکۡرِ اللّٰہِ تَطۡمَئِنُّ الۡقُلُوۡبُ ﴿ؕ۲۸﴾
যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের মন প্রশান্ত হয়; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকিরেই মন প্রশান্ত হয়।
(সুরা রা'দ ২৮)
তবে যিকির করার সময় কিছু নিয়ম মেইনটেইন করতে হবে।
যিকিরের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কয়েকটি শর্ত পূরণ করা অত্যাবশ্যক। যথা : ১. লোক দেখানোর উদ্দেশ্য থেকে মুক্ত হওয়া।
২. কোনো ব্যক্তির নামাযে বা অন্য কোনো ইবাদতে বিঘ্ন না ঘটানো।
৩. কোনো ব্যক্তির বিশ্রামে সমস্যা না হওয়া।
৪. আওয়াজ স্বাভাবিক হওয়া, চিৎকার করে বা অতিরিক্ত উঁচু আওয়াজে না হওয়া।
৫. সাধারণভাবে এবং সহীহ-শুদ্ধ করে যিকির করা।
,
শায়েখ মাশায়েখ গন বলেছেনঃ
প্রথমে উযূ করে নিতে হবে। তারপর অতি উত্তম পোশাক পরিধান করে, শরীরে সুগন্ধি মেখে, দুই জানু হয়ে নামাযের সুরতে কিবলামুখী হয়ে বসতে হবে।
এখন দুই চোখ বন্ধ করে যিকিরের নিয়্যাত করে ক্বলবের দিকে মনোযোগের সাথে ধ্যান করতে হবে।
হালকা আলো বা অন্ধকারে যিকির করা ভাল। তাতে মন (mind) ও একাগ্রতা (concentration) ভালভাবে চলে আসে। যথাসম্ভব কোলাহলমুক্ত নিরিবিলি পরিবেশ যিকিরের জন্য উত্তম।
,
যিকির করার সময় অমনোযোগী হওয়া যাবে না। অন্তরে খেয়াল করতে হবে যে, আমি আল্লাহ তায়ালাকে দেখতে পাচ্ছি। যদি এ খেয়াল না আসে তাহলে অন্তত মনে করতে হবে, আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেখছেন। তিনি আমার যিকির শুনছেন।
হক্কানি শায়েখদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। অসৎ সঙ্গ নয় বরং সৎ সঙ্গ লাভের চেষ্টা করবেন।
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হতে পারেন।