আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তায

,আমাকে ছেলে পক্ষ দেখতে আসছিলেন,ছেলে কে জিজ্ঞেস করছিলাম যে কয় ওয়াক্ত সালাত জামাত এর সাথে আদায় করেন ?

উনি বলছেন যে ,জামাত এ বেশি ভাগ পরি না ,একা পরি ,কারন জিজ্ঞেস করতে বললেন যে , জামাতে পরি না কারন দেখা যায় অনেক এর ভ্রান্ত আকিদা থাকে ,বা হারাম খায় ,এখন তার পিছনে ইকতেদা দিলে কি আমার নামাজ হবে !তাই আমি জামাত এ নামাজ আদায় করি না , শুনেছি উনারা কওমি ব্যাকরাউন্ড এ ,

এইটা কি আসলেই যুক্তি যুক্ত উস্তায,আসলেই কি নামাজ আদায় হবে না ,বা উনাদের এমন ধারনার কারনে কি?

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ

‘ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন’। (তিরিমিযী ২০৭)

রাসূল সাঃ গায়েবের খবর জানতেন।এমন আকিদা শিরকী আকিদা তথা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা।যা ঈমান নিয়ে নিবে। সুতরাং এমন আকিদার কারো পিছনে নামায বিশুদ্ধ হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2915

তাছাড়া অন্যান্য বিষয়, মিলাদ কিয়াম,দাড়ি ছাটাই কবিরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। কবিরাহ গোনাহে বরাবর লিপ্ত ব্যক্তির পিছনে নামায পড়লে নামায যদিও আদায় হয়ে যাবে। তথাপি তাদের পিছনে নামায পড়া মাকরুহ। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/291

ফাসিকের পিছনে নামায পড়লে কেন সেই নামাযকে দোহড়াতে হয়? সে সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1872

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কোনো ইমামের ব্যাপারে না জেনে না শুনে শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে সে হারাম খায়,তার আকীদা বিশুদ্ধ নয়,এমন মনে করা সহীহ নয়।

শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে এভাবে জামাত ছেড়ে দেয়া কোনোক্রমেই শরীয়ত কর্তৃক অনুমোদিত নয়।

★ইমাম হারাম খাবার খেলে তার পিছনে মুক্তাদীদের নামাজ হবেনা,এমন কথা শরীয়তের কোথাও নেই।

★ইমামের আকীদা ভ্রান্ত হলে বাসায় নামাজ আদায়ের অনুমতি নেই,প্রয়োজনে অন্য মসজিদে যেতে হবে।
তবুও জামাত ত্যাগ করার অনুমতি শরীয়তে নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبَّادٍ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الأَقْمَرِ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ حَافِظُوا عَلَى هَؤُلَاءِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ فَإِنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى وَإِنَّ اللهَ شَرَعَ لِنَبِيِّهِ صلي الله عليه وسلم سُنَنَ الْهُدَى وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنْهَا إِلَّا مُنَافِقٌ بَيِّنُ النِّفَاقِ وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيُهَادَى بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ حَتَّى يُقَامَ فِي الصَّفِّ وَمَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَلَهُ مَسْجِدٌ فِي بَيْتِهِ وَلَوْ صَلَّيْتُمْ فِي بُيُوتِكُمْ وَتَرَكْتُمْ مَسَاجِدَكُمْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ صلي الله عليه وسلم وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ صلي الله عليه وسلم لَكَفَرْتُمْ .

‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা সঠিকভাবে আযানের সাথে এই পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের প্রতি সবিশেষ নযর রাখবে। কেননা এই পাঁচ ওয়াক্ত সলাতই হচ্ছে হিদায়াতের পথ। মহান আল্লাহ তাঁর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য হিদায়াতের এ পথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমাদের (সাধারণ) ধারণা, স্পষ্ট মুনাফিক ব্যতীত কেউ জামা‘আত থেকে অনুপস্থিত থাকতে পারে না। আমরা তো আমাদের মধ্যে এমন লোকও দেখেছি, যারা (দুর্বলতা ও অসুস্থতার কারণে) দু’জনের উপর ভর করে (মাসজিদে) যেত এবং তাকে (সলাতের) কাতারে দাঁড় করিয়ে দেয়া হত। তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যার ঘরে তার মাসজিদ (সলাতের স্থান) নেই। তোমরা যদি মাসজিদে আসা বাদ দিয়ে ঘরেই (ফরয) সলাত আদায় কর তাহলে তোমরা তোমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতকেই বর্জন করলে। আর তোমরা তোমাদের নাবীর সুন্নাত ত্যাগ করলে অবশ্যই কুফরীতে জড়িয়ে পড়বে।
(আবু দাউদ ৫৫৯.মুসলিম)


حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمَلِيحِ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ الأَصَمِّ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ فِتْيَتِي فَيَجْمَعُوا حُزَمًا مِنْ حَطَبٍ ثُمَّ آتِيَ قَوْمًا يُصَلُّونَ فِي بُيُوتِهِمْ لَيْسَتْ بِهِمْ عِلَّةٌ فَأُحَرِّقُهَا عَلَيْهِمْ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার ইচ্ছা হয়, আমি আমার যুবকদের লাকড়ির বোঝা জমা করার নির্দেশ দেই, অতঃপর যারা কোন কারণ ছাড়াই নিজ নিজ ঘরে সলাত আদায় করে, সেগুলো দিয়ে তাদের ঘর জ্বালিয়ে দেই।
(আবু দাউদ ৫৪৯.তিরমিজি)

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَتُقَامَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً فَيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَنْطَلِقَ مَعِي بِرِجَالٍ مَعَهُمْ حُزَمٌ مِنْ حَطَبٍ إِلَى قَوْمٍ لَا يَشْهَدُونَ الصَّلَاةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ بِالنَّارِ "

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার ইচ্ছা হয়, (লোকদেরকে জামা‘আতে) সলাত আদায়ের নির্দেশ দেই এবং কাউকে লোকদের সলাত আদায় করাবার হুকুম করি, অতঃপর লাকড়ি বহনকারী কিছু লোককে সাথে নিয়ে আমি বেরিয়ে পড়ি। সেগুলো দ্বারা ঐসব লোকের ঘর-বাড়ি আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার জন্য যারা জামা‘আতে (সলাত আদায় করতে) উপস্থিত হয়নি।
বুখারী হাঃ ২৪২০), মুসলিম (অধ্যায়ঃ মাসাজিদ, অনুঃ জামা‘আতে সালাতের ফাযীলাত,) আবু দাউদ ৫৪৮)।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...